ইরাক যুদ্ধে জড়ানো ছিল ভুল সিদ্ধান্ত
ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের সম্পৃক্ততা নিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত চিলকট তদন্ত প্রতিবেদন অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত এই সামরিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ‘দি ইরাক ইনকোয়ারি’ নামের প্রায় আট হাযার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি তৈরীর জন্য স্যার জন চিলকটের নেতৃত্বে ২০০৯ সালে চিলকট কমিশন গঠিত হয়। দীর্ঘ ছয় বছর এই কমিশন ইরাক যুদ্ধের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে যুদ্ধের ১৩ বছর পর এ রিপোর্ট প্রকাশ করল। প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত রূপ হ’ল- (১) ইরাক যুদ্ধে সম্পৃক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি ভুল ছিল, যার ফল আজো ভোগ করতে হচ্ছে (২) ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে, ইরাকে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র রয়েছে। তাদের বিশ্বাস ছিল, সাদ্দাম হোসেন এসব অস্ত্র জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের এই দাবী তারা প্রমাণ করতে পারেনি (৩) ২০০৩ সালের মার্চ মাসে সাদ্দাম হোসেনের পক্ষ থেকে কোন হুমকি ছিল না। সেসময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্যের অভিমত ছিল যে, সেখানে জাতিসংঘের পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখা হোক। (৪) ইরাক যুদ্ধে সম্পৃক্ত হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বিতর্কিত সেনা সম্পৃক্ততা, যা যুদ্ধে যোগ না দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা যেত।
উল্লেখ্য, ইরাক যুদ্ধে ১৭৯ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়। সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ১০ বিলিয়ন পাউন্ড। এই যুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ ইরাকী নিহত হয় এবং ১০ লাখের বেশি বাস্ত্তহারা হয়।