যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা চুরি হয়েছে। গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের সংকেতলিপি (কোড) থেকে মোট ৯৫ কোটি ডলার স্থানান্তরের ৩৫টি ‘পরামর্শ’ পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে। অতঃপর সেখান থেকে কার্যকর হয় মোট ৫টি পরামর্শ। তাতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে দু’টি ব্যাংকে। অতঃপর সেখান থেকে তার বড় অংশ চলে যায় শেষোক্ত দেশটির ক্যাসিনো বা জুয়ার মার্কেটে। যেখানে গেলে তা ফেরৎ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম। বাকি প্রায় ৭ হাযার ৬০০ কোটি টাকার ৩০টি পরামর্শে সন্দেহ হওয়ায় তা আটকে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ৫ই ফেব্রুয়ারী ঘটনাটি ঘটলেও তা প্রকাশ পায় ২৯ ফেব্রুয়ারী ফিলিপাইনের ইনকোয়েরার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের মাধ্যমে। এরপরই বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তা ফলাও করে প্রকাশ পায়। এর পরিপেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেছেন এবং আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটির তদন্তে সিআইডি, এফবিআই সহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা করছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা এ ঘটনার সাথে জড়িত এবং প্রায় ১ বছর পূর্ব থেকেই এ ব্যাপারে প্রস্ত্ততিমূলক কাজ শুরু হয়েছিল। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ লুটের এমন ঘটনা ঘটেনি।