উত্তর নাইজেরিয়ার জারিয়া শহরের তিন বছরের এক শিশু সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। প্রবল প্রতিভাধর ও মুখস্থ শক্তির অধিকারী ক্ষুদে এই হাফেযের নাম মুহাম্মাদ শামসুদ্দীন আলিয়্যু। আলোচিত এই শিশুটির বয়স যখন দেড় বছর, তখনই সে অ্যাঙ্গো আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হয়। সেখানে সে তিন বছরে পা দেওয়ার আগেই পুরো কুরআন মুখস্থ করে ফেলে। এই স্কুলটি মূলতঃ একটি আন্তর্জাতিক কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে শিশুদেরকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কুরআন শেখানো হয়।
অবাক করার মতো বিষয় হ’ল, আব্দুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটি এমন একটি স্কুল, যেখানে শিশুদের মাতৃদুগ্ধ ছাড়ার পরপরই ভর্তি করা হয় এবং এর জন্য পিতা-মাতাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। তবে এটা নাইজেরিয়ানদের ঐতিহ্য বিশেষ। তারা খুব অল্প বয়স থেকে ছেলে শিশুদের আবাসিকভাবে রেখে কুরআন শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিয়ে থাকে। তারা বিশ্বাস করে, যখন শিশুরা মায়ের দুধ পান ছেড়ে দেয়, তখন তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। যা শেখানো হয়, সহজেই ধরতে পারে। এ চিন্তা করে তারা এক বছর বয়স থেকে শিশুদের ভর্তি করায়। বিশেষ করে কুরআন শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়।
মুহাম্মাদের পিতা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. আলিয়্যু শামসুদ্দীন বলেন, এখানে মুহাম্মাদ ছাড়াও কম বয়সে কুরআন মুখস্থ করেছে অনেক শিশু। কিন্তু অন্যদের সঙ্গে তার পার্থক্য হচ্ছে- মুহাম্মাদ আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে এবং সম্প্রতি সে সঊদী আরবে শিশু বিভাগের প্রতিযোগিতায় সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মুহাম্মাদ আরবী ও ইংরেজীতে অনর্গল কথা বলতে পারে। বয়সের কারণে তার কুরআন পাঠের উচ্চারণ অতটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু গড়গড়িয়ে, কোন কষ্ট ছাড়াই সে তেলাওয়াত করতে পারে।