আধুনিক
কাতারের স্থপতি শেখ জাসেম বিন মুহাম্মাদ আল-থানীর নামে কাতারে প্রতিবছর
সরকারীভাবে জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর অনুষ্ঠিত কুরআন
প্রতিযোগিতায় তিন শাখার মধ্যে দুই শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশী
দু’জন হাফেয ও হাফেযা ওসামা ও আয়েশা।
কাতারে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ প্রতিযোগিতায় বয়স কিংবা নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শাখা থাকে না। এ কারণে এ দুই শাখায় অংশ নিয়েছেন কাতারে বসবাসরত আরব ও অনারব বিভিন্ন দেশের নানা বয়সের হাফেয নারী ও পুরুষেরা। আর তাদের সবাইকে পেছনে ফেলে দুটি শাখায়ই প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশী হাফেযরা। প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত কাতারের ধর্মমন্ত্রী বলেন, পবিত্র কুরআন মুখস্থবিদ্যায় বাংলাদেশীদের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়।
আয়েশা প্রথম হওয়ায় পুরস্কার হিসাবে পেয়েছে এক লাখ কাতারী রিয়াল তথা প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা। এর আগে আরও পাঁচবার পুরস্কার পেয়েছে আয়েশা। ২০১৫ সালেও প্রথম হয়েছিল সে। আয়েশার বোন আযীযা এবার অন্য আরেকটি শাখায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। সে পেয়েছে ৫০ হাযার কাতারী রিয়াল। অনুষ্ঠানে দুই মেয়ের পক্ষে তাদে পিতা ওমর ফারূক কাতারের ধর্মমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পিতা ওমর ফারূক বলেন, ওরা বাসায় কুরআন মুখস্থ করেছে। আমি ও আমার স্ত্রী ওদের শিক্ষাদান করেছি। আরেক শাখায় প্রথম স্থান অর্জনকারী ওসামা চৌধুরীর বয়স ১৪ বছর। সেও পিতা মাওলানা শিহাবুদ্দীনের কাছে হেফয সম্পন্ন করেছে। যিনি গত ৩ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে সে কাতারের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্র। ওসামা বলে, ‘পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠে পিতার কথা মনে পড়ছিল। আজ তিনি বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন’।