মালয়েশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মুহাম্মাদ (৯৪) বলেছেন, মিয়ানমার গোটা বিশ্বের
চোখের সামনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ
চালিয়েছে। সেখানে যা হয়েছে তা রাষ্ট্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাস। গত
২৮শে সেপ্টেম্বর শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে প্রদত্ত
ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অসংখ্য রোহিঙ্গা অবর্ণনীয় নৃশংসতার শিকার হয়েছে। এমনকি সেখানে পুরো একটা প্রজন্ম নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে দেখা গেছে। গণহত্যা ও ধর্ষণসহ অন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। কিছু সৌভাগ্যবান ব্যক্তি মিয়ানমার থেকে পালাতে পেরেছে। কিন্তু এখন তারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারছে না। এছাড়া মিয়ানমারে অবস্থানরত অনেক রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্ত্তচ্যুত। রাখাইন রাজ্যে তাদের স্থান হয়েছে অভ্যন্তরীণ ক্যাম্পে। রাখাইনে মিয়ানমারের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেন।
ড. মাহাথির বলেন, যুদ্ধের পরিবর্তে আবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবিলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রশমনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রস্ত্তত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের সবাইকে মুছে ফেলতে সক্ষম, তখন আমরা অর্থ ব্যয় করছি যুদ্ধের জন্য, আরও গণবিধ্বংসী অস্ত্র আবিষ্কারের জন্য! তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানুষ হত্যার পিছনে বাজেট হ্রাস করি, তবেই গবেষণা ও প্রস্ত্ততির জন্য তহবিল থাকবে’।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের সংস্কার চেয়ে মাহাথির মুহাম্মাদ বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোন্ আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তা আমরা জানি না।
তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে দু’টি ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন সদস্য দেশের সঙ্গে যদি আরও তিনটি সাধারণ সদস্য দেশ একমত হয়, তাহ’লে ভেটো কার্যকর হওয়া উচিত। এতে ভেটোর অপপ্রয়োগ কমে আসবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন সদস্য দেশগুলোর এটা মনে করা উচিত নয় যে, তারা আন্তর্জাতিক আইন এবং নীতি-আদর্শের ঊর্ধ্বে।