১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর প্রথম কোন পণ্যবাহী জাহায পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। গত ১৩ই নভেম্বর বুধবার পাকিস্তানের করাচী বন্দর থেকে একটি পণ্যবাহী জাহায ৩০০টির বেশী কন্টেইনার নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।
এ সময় উপস্থিত বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানী হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারূফ বলেন, এটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে একটি প্রধান পদক্ষেপ। এই নতুন রুটটি সাপ্লাই চেইনকে স্ট্রিমলাইন করবে, ট্রানজিট সময় কমিয়ে দেবে এবং উভয় দেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ খুলে দেবে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগ চালুর বিষয়টিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ককে মসৃণ করার একটি প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে।
একজন ভারতীয় পর্যবেক্ষক বলেছেন, ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ একটি রিসেট মুডে আছে এবং তাদের অগ্রাধিকার গুলোর মধ্যে একটি মনে হচ্ছে, ভারত থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখা এবং পাকিস্তানের আরও বেশী কাছাকাছি হওয়া। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের কারণে আমাদের উদ্বেগ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক নৌ মহড়া আমান ২০২৫-এ তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে একজন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ বলেন, এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে। গত মাসে এই উদ্দেশ্যে একটি ফ্রিগেট পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই বিষয়গুলো অবশ্যই ভারতকে উদ্বিগ্ন করতে পারে।