আমি
মুহাম্মাদ রাকীব হাসান। দিনাজপুর যেলার বীরগঞ্জ থানাধীন তুলশীপুর গ্রামে
আমাদের বসবাস। আমি মাসিক আত-তাহরীক-এর একজন নিয়মিত পাঠক। মাত্র ১ মাস
পূর্বে আমি ছহীহ আক্বীদা গ্রহণ করেছি। বর্তমানে আমি তুমুল সমালোচনার শিকার।
বহু সমস্যা আর নানামুখী বাধার সম্মুখীন। আমাদের গ্রামে শুধু আমি একাই
কুরআন ও ছহীহ হাদীছের অনুসারী। আমি প্রথম এই বিষয়ে উৎসাহ পাই যখন
ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি। সেটা প্রায় দুই বছর পূর্বের কথা। বিগত দুই বছর শুধু
চিন্তা-ভাবনা করেছি। অতঃপর এ আক্বীদা গ্রহণ করি। আমি আগে কুরআন পড়তে পারতাম
না। অনেক কষ্ট করে কুরআন পড়া শিখেছি। পরবর্তীতে আমি হাদীছের অনুবাদ পড়তে
লাগলাম, যদিও অনুবাদগুলো মাযহাবীদের লেখা। এসব কিতাবেও রাফঊল ইয়াদায়েন ও
জোরে আমীন বলার বহু ছহীহ হাদীছ পেলাম। ফলে ছহীহ আক্বীদা গ্রহণে এটা আমার
জন্য সহায়ক হয়। আমি এতদিন সমাজে যথাযোগ্য মর্যাদায় ছিলাম। হঠাৎ কি অপরাধ
করলাম যে, আমাকে নিয়ে মসজিদে সমালোচনা হয়। কেনইবা বৈঠকে আমার বিষয়টি
নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে? এমনকি যারা ছালাতই আদায় করে না তারাও আমার
সমালোচনা করছে। কেউ বলছে, সে মুহাম্মাদী হয়ে গেছে, সে লা-মাযহাবী হয়ে গেছে
ইত্যাদি। আমার চাচাত ভাই ওয়াক্তিয়া ছালাতে ইমামতি করে। সে যখন আমার সাথে
কথা বলে, তখন আমার কথা ঠিকই মেনে নেয়। কিন্তু কি আর্শ্চয যে, মসজিদে গেলে
সে উল্টে যায়। যে লোকগুলো কুরআন-হাদীছ পড়া তো দূরের কথা ওযূ-গোসলই জানে না,
তারাও তর্কে লিপ্ত হয়। আর অধিকাংশ লোকই বলে, সাঈদী ছাহেব মীলাদ পড়ে, তিনি
কি ভুল করেন? আবার মোনাজাত-এর বিরুদ্ধে গেলে তো কথাই নেই। সব মিলিয়ে
পরিস্থিতি এমন যে, আমি এখন নিদারুণ বিষন্নতায় ভুগছি। আমাকে যে কেউ বলবে,
‘হকের উপর অটল থাক’ এমন লোকও নেই। আমি খুব একাকী বোধ করছি। এমতাবস্থায় হকের
উপরে টিকে থাকা আমার পক্ষে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সবাই আমার জন্য দো‘আ করবেন,
আল্লাহ যেন আমাকে সরল-সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত রাখেন।
-মুহাম্মাদ রাকীব হাসান
তুলশীপুর, বাগানবাড়ী
বীরগঞ্জ, দিনাজপুর।