চীনে
স্ত্রীর প্রতি অসামান্য কর্তব্যবোধের স্বাক্ষর রেখে খবর হয়েছেন এক স্বামী।
মাত্র ২০ বছর বয়সী জো ইয়ুয়াই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাইওয়ানের কয়লা খনিতে
কর্মরত স্বামী দু ইউয়ানফার কাছে খবর আসে। বাড়ি ফিরে দেখেন, স্ত্রীর সারা
শরীর শক্ত হয়ে গিয়েছে। এমনকি হাতও নাড়াতে পারছেন না। ডাক্তার দেখালে তারা
স্পষ্ট জানিয়ে দেন সারা জীবন এভাবে পাথরের মতই বিছানায় শুয়ে থাকতে হবে
জো-কে। নিরুপায় হয়ে ১৯৫৯ সালে কয়লা খনির কাজে ইস্তাফা দেন স্বামী দু
ইউয়ানফা। সে সময়ে তাদের বিবাহিত জীবনের মাত্র পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়েছে। তার
পরে স্ত্রীর সেবায় কেটে গিয়েছে ৫৬ বছর। দু ইউয়ানফার বয়স এখন ৮৪। কিন্তু
তবু স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা আর কর্তব্যে এখনও তিনি অটল। দু ইউয়ানফার
পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবরা নানাভাবে তাকে বুঝিয়েছিলেন জো-কে ছেড়ে নতুন
করে জীবন শুরু করতে। কিন্তু ভালোবাসা দু ইউয়ানফাকে হারতে দেয়নি। প্রায় ছয়
দশক যাবৎ একইভাবে স্ত্রীর সেবা করে যাচ্ছেন। এখনও যদি দেশের কোন প্রান্তে
কোন ভেষজ ওষুধের সন্ধান পান, তৎক্ষণাৎ ছুটে যান তার খোঁজে। আজও তার জীবনের
একটা লক্ষ্য, যদি কোনভাবে সুস্থ করে তোলা যায় স্ত্রীকে। সংসার চালানোর
জন্যে ক্ষেতে কাজ করেন। প্রতিবেশীরা সাহায্য করেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে
দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও। সবাই মুগ্ধ অসুস্থ স্ত্রীর প্রতি দু ইউয়ানফার
অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও কর্তব্য দেখে।
[মায়া-মমতাহীন হে মানুষ! এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর (স.স.)]