বিশ্বের
অধিকাংশ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতাকে স্বাভাবিক হিসাবেই ধরা হয়।
কিন্তু কিছু দেশ আছে, যেখানে জনসংখ্যা দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। তন্মধ্যে
বর্তমান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান অন্যতম। দেশটিতে
জনসংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমছে। নিম্ন মৃত্যু ও জন্মহারের কারণে আগামী ২০৬০
সালের মধ্যে বর্তমান লোকসংখ্যা ১২ কোটি ৭৩ লাখ থেকে কমে ৮ কোটি ৭ লাখে
পৌঁছবে এবং প্রতি ১০ জনে চারজন নাগরিকের বয়স ৬৫ বছরের চেয়ে বেশী হবে বলে এক
জরিপে বলা হয়েছে।
একদিকে গড় আয়ু বেশী হওয়ায় জাপানে বৃদ্ধদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অন্যদিকে নিম্ন মৃত্যু হার এবং যুবক-যুবতীদের মধ্যে চরম বিয়ে বিমুখতার কারণে জন্মহার আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবী করেছে।
যেমন মাত্র ৫০ বছরে জাপানের ইউবারি শহরের জনসংখ্যা কমেছে ৯০ শতাংশ। শহরের অবশিষ্ট বাসিন্দাদের বেশীর ভাগই বুড়োবুড়ি। শিশুরা নেই বলে বন্ধ হয়ে গেছে পাঠশালা! শহরের বেশির ভাগ দালান-কোঠাই এখন পরিত্যক্ত। শহরের পথ-ঘাটে ভয়-ডরহীনভাবে চরে বেড়ায় বুনো হরিণেরা। ১৯৬০ সালে কয়লা খনির কারণে সেখানে লোকসংখ্যা ছিল ১ লাখ ২০ হাযার। ১৯৯০ সালে জনসংখ্যা নেমে আসে ২১ হাযারে। পরবর্তী দুই দশকেই এই সংখ্যা নেমে আসে অর্ধেকে। এখানকার তরুণ-তরুণীরা কাজের খোঁজে পাড়ি জমিয়েছে দূর-দূরান্তে। ফলে প্রতি ২০ জনে মাত্র একজনের বয়স এখন ১৫ বছরের নিচে। একটা শিশু জন্মাতে জন্মাতে অন্তত এক ডজন মানুষ মারা যান ইউবারিতে। জাপানের আর সব শহরের মতোই ইউবারিতেও একসময় অনেক স্কুল-কলেজ ছিল। কিন্তু এখন মাত্র একটা স্কুলেই চলছে শিশু, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউবারি শহরের অবস্থা ভবিষ্যত জাপানেরই একটি মাইক্রো মডেল। সুতরাং এ অবস্থা নিরসনে সরকারকে এখন থেকেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
[স্বভাবধর্মের বিরোধিতা করলে এরূপ পরিণতি সবাইকে বরণ করতে হবে। অতএব বস্ত্তবাদীরা সাবধান হও। ইসলামের দিকে ফিরে এসো (স.স.)]