এখন থেকে দেশে হালাল পণ্যের সনদ দেবে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি শরী‘আহ সম্মত পণ্য উৎপাদন, আমদানী-রফতানী ও বাজারজাতকরণের সুবিধার্থে ‘হালাল সনদ নীতিমালা-২০২৩’ তৈরি করেছে সরকার। এ নীতিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে কোন পণ্যের হালাল স্বীকৃতি পেতে হ’লে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে আবেদন করে হালাল সনদ ও লোগো নিতে হবে। এটি দেশে উৎপাদিত, বাংলাদেশ থেকে রফতানীযোগ্য এবং বাংলাদেশে আমদানী করা সব খাদ্যদ্রব্য, ভোগ্যপণ্য, প্রসাধনসামগ্রী ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের জন্য প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানে শরী‘আহ আইন মেনে পণ্য উৎপাদন, বিপণন বা বাজারজাতকরণ হচ্ছে কি-না, সেটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন তদারকি করবে। তারা সন্তুষ্ট হ’লেই শুধুমাত্র কোন প্রতিষ্ঠানকে এ সনদ দেয়া হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, খাদ্যপণ্য, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরি এবং মোড়কজাত প্রক্রিয়ায় ইসলামী শরী‘আহ অনুযায়ী হালাল নয়, এমন কোন কাঁচামাল, উপাদান বা উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া ওষুধের উপাদান বিশ্লেষণ করে শুধু হালাল ও ঝুঁকিহীন হ’লেই হালাল হিসাবে অনুমোদন দেয়া হবে। হারবাল, ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধও এ সনদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ওষুধের বাহন হিসাবে বা গুণগত মান ঠিক রাখতে সর্বোচ্চ ০.৫ শতাংশ অ্যালকোহল ব্যবহার করা যাবে।

এদিকে সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট ও পারফিউমের মতো প্রসাধনী তৈরিতে চর্বি বা অন্য কোন নিষিদ্ধ প্রাণীর অংশ ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন প্রসাধনী পণ্য হালাল হিসাবে গণ্য হবে না বলেও জানানো হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ঘুষ ও দুর্নীতির আখড়া হিসাবে পরিচিত। অতএব তাদের উপরে নিরপেক্ষ ও শক্ত তদারকী আবশ্যক (স.স.) ]







আরও
আরও
.