দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে আফগানিস্তান শাসন করছে তালেবান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অর্থনৈতিক অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছে তারা। সম্প্রতি আফগানিস্তানের যে প্রকল্প বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে, সেটি হ’ল কুশতেপা খাল। নদীর পানি মরুভূমির ভেতর দিয়ে নিয়ে সেচের ব্যবস্থা করতে ১০০ মিটার প্রশস্ত, ৮ মিটার গভীর এবং ২৮৫ কিলোমিটর দীর্ঘ এই খাল খনন করা হচ্ছে। এটি নির্মিত হচ্ছে বিদেশীদের কোন প্রকার সাহায্য ছাড়াই। ইতিমধ্যে প্রথম ফেজের ১০০ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৮০ মিলিয়ন ডলার। এ নিয়ে সম্প্রতি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রকল্পের বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার দুই বছর পর তালেবান প্রথম বড় অবকাঠামো প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটি উত্তর আফগানিস্তানের শুকনো সমভূমি জুড়ে আমুদরিয়া নদীর ২০ শতাংশ পানি নিয়ে যাবে। এমনভাবেই এটি ডিজাইন করা হয়েছে।
খালটি যাওজেজান প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামের জন্য গেম চেঞ্জার হবে। দেশটির অন্যান্য জায়গার মতো এখানকার বাসিন্দারাও ক্রমবর্ধমান খাদ্য ঘাটতি, চার দশকের যুদ্ধ, টানা তিন মৌসুমের তীব্র খরায় ধ্বংস হয়ে গেছে। খালটি সম্পন্ন হ’লে এটি সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর (২১০০ বর্গ মাইল) মরুভূমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানের আবাদ যোগ্য জমি এক-তৃতীয়াংশ বেড়ে যাবে। এমনকি প্রকল্পের সঠিক প্রয়োগ ও কার্যকর হ’লে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে সংকটের চরম সীমায় থাকা আফগানিস্তান।
প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছে তালেবান সরকার, যা আফগানিস্তানের বার্ষিক কর আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। প্রায় ৬ হাযার কর্মী দিনরাত চবিবশ ঘণ্টা প্রকল্পে কাজ করছেন। ১০০ মিটার প্রশস্ত এবং ৮ মিটার গভীর খালটি খনন করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। তালেবান কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক সাহায্যে নয়, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ কয়লা খনি থেকে আয়ের মাধ্যমে খালটি নির্মাণ ও অর্থায়ন করা হবে।
[ইহূদী-নাছারা বিশ্বের শোষণ ও যুলমের বিরুদ্ধে স্রেফ আল্লাহর দেওয়া নিজস্ব সম্পদের উপর দঁাড়িয়ে থেকে মানুষকে তারা এটাই জানিয়ে দিয়েছে যে, বান্দার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান এবং তার জন্য একটি পথ খুলে দেন’ (সূরা তালাক ৬৫/২-৩)]