ইস্রাঈলের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে প্রাচীন জেরুযালেমের আল-আক্বছা মসজিদ প্রাঙ্গণ খোলার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াক্ফ কাউন্সিল। এই মসজিদ মুসলমানদের কাছে অন্যতম প্রধান ধর্মীয় স্থান। কিন্তু গত ৪ঠা মার্চ সোমবার মসজিদ প্রাঙ্গণ বন্ধের আদেশ দেয় ইস্রাঈলের একটি আদালত। সাম্প্রতিক সময়ে এই মসজিদ প্রাঙ্গণ ঘিরে পুলিশের সাথে সেখানে ছালাত আদায় করতে আসা ফিলিস্তীনীদের সংঘর্ষ বাধে। ৫ই মার্চ মঙ্গলবার এক যরূরী বৈঠকে ওয়াক্ফ কাউন্সিলের প্রধান শেখ আবদুল আযীম সালহাব ঘোষণা দেন, ‘রহমতের দরজা’ নামে পরিচিত আল-আক্বছা মসজিদের ‘বাবুর রাহমা’ গেটটি মুসলমানদের জন্য খোলা থাকবে। কাউন্সিলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাবুর রাহমাহ এবং আল-আক্বছা মসজিদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইস্রাঈলের আদালতের দেয়া কোন আদেশ মানবে না তারা।

সালহাব বলেন, ওকায়ক্ফ কাউন্সিলকে ভবন সংস্কারের অনুমতি দিতে হবে ইস্রাঈলকে। একই সাথে পবিত্র প্রাঙ্গণ থেকে ওয়াক্ফ কর্মকর্তা, প্রহরী এবং এখানে ছালাত আদায় করতে আসা লোকজনের প্রবেশে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। জেরুযালেম ভিত্তিক ওয়াদি হিলওয়ে ইনফরমেশন সেন্টারের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারীতে আল-আক্বছা মসজিদ প্রাঙ্গণে ১৩৩ ফিলিস্তীনীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। এদের মধ্যে কাউন্সিল প্রধান সালহাবও ছিলেন। তার ওপর ৪০ দিনের জন্য আল-আক্বছা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

এছাড়া কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক শেখ নাজেহের ওপরও মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশে চার মাসের নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। ঐ রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারীতে ২২৯ জনকে আটক করে ইস্রাঈলী পুলিশ। গত মাসে ফিলিস্তীনীরা ‘বাবুর রাহমাহ’ খুলে দেয়ার পর থেকেই জেরুযালেমে উত্তেজনা শুরু হয়। তখন থেকেই ফিলিস্তীনী মুসলিমরা সেখানে অবস্থান নেন। উল্লেখ্য, একটি নিষিদ্ধ সংগঠন ভবনটিকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার করছে এমন অভিযোগ এনে ২০০৩ সালে আল-আক্বছা মসজিদ বন্ধ করে দেয় ইস্রাঈল।






আরও
আরও
.