অল্পদিন আগেই মিয়ানমারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আলোচনায় এসেছে ১০,৩৮০ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট আফ্রিকান দেশ গাম্বিয়া। দেশটির মোট জনসংখ্যা বাংলাদেশের একটি যেলার চেয়েও কম। মাত্র ২০ লাখ। অনেকে গাম্বিয়ার নাম আগে শুনেনি, এবার শুনছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সাহস করে মামলার কারণে।

ছোট্ট এই দেশটি ওআইসি-এর পক্ষে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্মম নির্যাতনের বিচার চেয়ে মামলা করেছে। এতে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা আর সমর্থন দিচ্ছে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস।

গাম্বিয়ার রাষ্ট্রীয় নাম গাম্বিয়া ইসলামী প্রজাতন্ত্র। এটি আফ্রিকা মহাদেশের মূল ভূখন্ডের ক্ষুদ্রতম একটি দেশ। কৃষিপ্রধান এই দেশটির বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র। ১৯শ শতকে দেশটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভ করার পর একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৯৪ সালে এক রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক নেতা ইয়াহইয়া জাম্মেহ ক্ষমতা দখল করেন। গাম্বিয়ার জনসংখ্যার শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের অধিকাংশই সুন্নী এবং মালেকী মাযহাবের অনুসারী। মূলতঃ নবম ও দশম শতাব্দীতে গাম্বিয়া অঞ্চলে আরব ব্যবসায়ীদের আগমনের মধ্য দিয়ে এখানে ইসলামের প্রচার-প্রসার শুরু হয়। ২০১৫ সালে ইয়াহইয়া জাম্মেহ দেশটিকে ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র’ হিসাবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে সেখানে কর্মস্থলে নারীদের চুল খোলা রাখা, রামাযান মাসে নাচ-গান ও সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষিদ্ধকরণ সহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গাম্বিয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম থেকেই কুরআন ও ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক। শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে ইসলামকে প্রাধান্য দিয়ে। প্রায় প্রত্যেক পরিবারে রয়েছে হাফেযে কুরআন। সুপরিচিত ইসলামী ব্যক্তিত্ব ড. আবু আমিনা বিলাল ফিলিপস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউ) মূল ক্যাম্পাস গাম্বিয়ার কানিফিং শহরে। এই অনলাইন ভিত্তিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিশ্বের ২৫০টির মতো দেশে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চার লাখ ৩৫ হাযারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।

[আলহামদুলিল্লাহ! আমরা দেশটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা কামনা করি (স.স.)]






আরও
আরও
.