নওদাপাড়া, রাজশাহী ১৩ ও ১৪ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতি ও শুক্রবার : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে দু’দিন ব্যাপী ৩৫তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা ২০২৫ রাজশাহী যেলার পবা উপযেলাধীন এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজারের নিকটবর্তী ময়দান সহ ২টি ময়দানে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফালিল্লা-হিল হাম্দ। ১ম দিন বাদ আছর তাবলীগী ইজতেমা’২৫-এর সভাপতি মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব-এর সভাপতিত্বে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান : বাদ আছর অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন মারকাযের মক্তব বিভাগের শিক্ষক হাফেয ওবায়দুল্লাহ। স্বাগত ভাষণ পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (মেহেরপুর)। অতঃপর উদ্বোধনী ভাষণ পেশ করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত। তিনি অহি-র বিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনার জন্য দেশের প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান এবং ‘আহলেহাদীছ আন্দোলনে’র সর্বস্তরের কর্মীদের হকের উপরে দৃঢ় থাকতে জোর তাকীদ প্রদান করেন। এ সময় তিনি সকলকে শৃংখলা ও সহমর্মিতার সাথে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রেখে ইজতেমায় দু’দিন অবস্থানের আহবান জানান। অতঃপর তিনি আল্লাহর নামে তাবলীগী ইজতেমা ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, ইজতেমা শুরুর আগের রাতে ও ভোরে বিপুল সংখ্যক শ্রোতার উপস্থিতির কারণে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পূর্বেই বাদ ফজর থেকে ইজতেমা ময়দানে বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য শুরু হয়ে যায়। যোহর পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য চলে।

নির্ধারিত বক্তৃতা পর্ব :

অতঃপর রাত দেড়টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বক্তব্য পেশ করেন যথাক্রমে (১) ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (বিষয় : ইবাদতে অলসতা দূরীকরণের উপায় সমূহ)। (২) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম (সমাজে প্রচলিত শিরকসমূহ ও তার ক্ষতিকর প্রভাব)। (৩) ‘আন্দোলন’ সঊদী আরব শাখার সহ-সভাপতি হাফেয মুহাম্মাদ আখতার (তাওহীদের গুরুত্ব ও আক্বীদাগত বিভ্রান্তি নিরসন)। (৪) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব (রাষ্ট্র বিনির্মাণে আধুনিক মতবাদসমূহের চ্যালেঞ্জ বনাম ইসলামী খেলাফত)। (৫) ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসান (রাজশাহী) (পেশাজীবনে সততা ও আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামের গুরুত্ব)। (৬) ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুুুুুুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (রাজশাহী) (‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ ও অন্যান্য ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য)। (৭) ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ (সাতক্ষীরা) (সমাজ সংস্কারের পূর্ব শর্ত আত্মসংস্কার-তাযকিয়াতুন নাফস)। (৮) মারকাযের সাবেক ছাত্র ড. আব্দুল্লাহিল কাফী (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) (সালাফদের মানহাজ অনুসরণের গুরুত্ব)। (৯) রূহুল আমীন (ভারত) (হাদীছ অস্বীকারকারীদের ভ্রান্তি বিলাস)। (১০) নওদাপাড়া মারকাযের শিক্ষক হাফেয আব্দুল মতীন (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) (ইসলামে নারীর মর্যাদা ও আদর্শ সমাজ গঠনে নারীদের ভূমিকা)। (১১) ঢাকা-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ (কুমিল্লা) (হালাল উপার্জনের আবশ্যকতা)। (১২) জামালপুর-উত্তর যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ ইসমাঈল (ইসলামী ভ্রাতৃত্ব)।

আমীরে জামা‘আতের ১ম দিনের ভাষণ : বাদ এশা মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সূরা নাহ্ল ৯৭ আয়াতের আলোকে হায়াতে ত্বাইয়েবা তথা পবিত্র জীবন লাভের উপায় সম্পর্কে সারগর্ভ ভাষণ পেশ করেন।

২য় দিন বাদ ফজর : মূল প্যান্ডেলে ‘দরসে কুরআন’ পেশ করেন ‘আন্দোলন’ সঊদী আরব শাখার সহ-সভাপতি হাফেয মুহাম্মাদ আখতার (জান্নাতী বান্দার বৈশিষ্ট্য)। একই সময়ে পশ্চিম পার্শ্বস্থ মারকাযী জামে মসজিদে ‘দরসে কুরআন’ পেশ করেন মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম (খুলনা) (সূরা আছরের শিক্ষা) এবং পূর্ব পার্শ্বস্থ ছোট মসজিদে ‘দরসে কুরআন’ পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (তাক্বওয়ার পরিচয় ও তা অর্জনের উপায়)।

অতঃপর ইজতেমা প্যান্ডেলে বেলা সাড়ে ১১-টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আলোচনা পেশ করেন (১) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার (কুষ্টিয়া) (আহলেহাদীছ আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের গুণাবলী) (২) ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমাদুল্লাহ (কুমিল্লা) (তরুণদের অধঃপতনের কারণসমূহ ও তা থেকে বাঁচার পথ)। (৩) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন (সাতক্ষীরা) (দ্বীন প্রচারে নববী পদ্ধতি)। (৪) কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা দুররুল হুদা (রাজশাহী) (জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপনের অপরিহার্যতা-বায়‘আত ও ইত্বা‘আতসহ) (৫) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম (যশোর) (সমাজ পরিবর্তনের স্থায়ী কর্মসূচী) (৬) শূরা সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন (নরসিংদী) (নারী-পুরুষের পোষাক ও পর্দা) (৭) মাওলানা শফীকুল ইসলাম (নারায়ণগঞ্জ) (জান্নাতের নে‘মত সমূহ)। (৮) আল-‘আওনের কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক দেলাওয়ার হোসাইন (গাইবান্ধা) (মানবসেবার গুরুত্ব ও আল-‘আওন) (৯) আব্দুল্লাহ আল-মামূন (নরসিংদী) (জাহান্নামীদের বৈশিষ্ট্য)। অতঃপর শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ও হাফেয মুহাম্মাদ আখতার। (১০) প্রবাসীদের মধ্য হ’তে শুভেচ্ছা বক্তব্য পেশ করেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী মু‘আয্যাম হোসাইন (বগুড়া)।

জুম‘আর খুৎবা : ইজতেমার মূল প্যান্ডেলে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সূরা হূদের ১১১-১৩ আয়াত তেলাওয়াত করে আল্লাহর আদেশ-নিষেধের উপর অবিচল থাকার বিষয়ে, মারকাযী জামে মসজিদে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (মেহেরপুর) ‘ইনফাক্ব ফী সাবীল্লিাহ’ বিষয়ে ও মহিলা মাদ্রাসায় ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম (রাজশাহী) ‘আদর্শ নারীর বৈশিষ্ট্য’ বিষয়ে জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। এ সময় প্যান্ডেলে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। প্যান্ডেলের বাইরে বিভিন্ন স্থানে বসে বিপুল সংখ্যক মুছল্লী খুৎবা সমূহ শ্রবণ করেন।

উল্লেখ্য যে, মূল প্যান্ডেলে জুম‘আর খুৎবার পূর্বে বেলা সাড়ে ১১-টার দিকে আমীরে জামা‘আতের সংগৃহীত জামালপুরের মরহূম মাওলানা আব্দুল্লাহ ইবনে ফযল (১৯৩০-১৯৮৪ খৃ.)-এর স্মৃতিচারণ করে তাঁর সুললিত কণ্ঠের রেকর্ডকৃত আরবী খুৎবা, ফার্সী হামদে খোদা এবং বাংলা প্রার্থনা মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে শুনানো হয়। একই সাথে তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী ও আমীরে জামা‘আতের সাথে তাঁর ৫টি অভিজ্ঞতা শুনানো হয়। এতে মুছল্লীগণ দারুণভাবে আপ্লুত হন।

২য় দিন বাদ আছর থেকে পরদিন ফজর পর্যন্ত :

জুম‘আর বিরতির পর আছর ছালাতের পর থেকে ভোর ৫-টা ২০মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত বিষয়বস্ত্ত সমূহের উপর বক্তব্য পেশ করেন যথাক্রমে, (১) চট্টগ্রাম যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক আরজু হোসাইন ছাববীর (আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?)। (২) ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক রবীউল ইসলাম (সুসন্তান গড়ে তোলার উপায়সমূহ) (৩) জামালপুর-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক ক্বামারুয্যামান বিন আব্দুল বারী (বিদ‘আত ও তার ভয়াবহতা-শবেবরাতসহ) (৪) ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আব্দুন নূর (জয়পুরহাট) (ফিৎনার সময় দ্বীনের উপর অবিচল থাকার উপায় সমূহ) (৫) ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবুল কালাম (জয়পুরহাট) (সমাজ ও রাষ্ট্র সংস্কারে যুবকদের দায়িত্ব)।

বাদ মাগরিব বক্তব্য পেশ করেন (৬) নওদাপাড়া মারকাযের ভাইস-প্রিন্সিপাল ড. নূরুল ইসলাম (শিক্ষা সংস্কারে আমাদের করণীয়-হা.ফা.বা শিক্ষা বোর্ডের ভূমিকাসহ) (৭) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম (অনৈসলামিক সংস্কৃতির আগ্রাসন ও তা থেকে আত্মরক্ষার উপায়) (৮) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (সমাজ সংস্কারে সততা ও আমানতদারিতার গুরুত্ব)।

বাদ এশা বক্তব্য পেশ করেন, (৯) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন (ইক্বামতে দ্বীন ও আহলেহাদীছের রাজনৈতিক দর্শন) (১০) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাযীপুরের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইমাম হোসাইন (জিহাদের পরিচয় এবং স্তরসমূহ-জঙ্গীবাদের ক্ষতিকর দিকসহ)। (১১) মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম (খুলনা) (ইত্তেবা বনাম তাক্বলীদ)। (১২) ড. আহসানুল্লাহ বিন ছানাউল্লাহ (ঢাকা) (ছালাতের গুরুত্ব ও কবুলযোগ্য ছালাতের বৈশিষ্ট্য) (১৩) মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা) (সমকালীন কতিপয় ফিৎনা-হাদীছ অস্বীকার, মাযহাবের নামে হাদীছ পরিত্যাগ, সাংস্কৃতিক জাহেলিয়াত, জঙ্গীবাদ, রাসূল (ছা.)-এর অমর্যাদা, তাঁর শানে অযাচিত শব্দ প্রয়োগ)। (১৪) দারুলহাদীছ আহমাদিয়া সালাফিইয়াহ, বাঁকাল, সাতক্ষীরার প্রিন্সিপাল মাওলানা সোহাইল আহমাদ (হিংসা ও অহংকার থেকে মুক্তির উপায়) (১৫) বগুড়া যেলা ‘যুবসংঘে’র সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন (মাল ও মর্যাদার লোভ) (১৬) মাওলানা ইকবাল কবীর (নরসিংদী) (জান্নাতের বিবরণ)। (১৭) হাফেয শামসুর রহমান (ঢাকা) (রিযিক বৃদ্ধির উপায় ) ও (১৫) কুমিল্লা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ জামীলুর রহমান (জাহান্নামের বিবরণ)।

আমীরে জামা‘আতের ২য় দিনের ভাষণ :

ইজতেমার ২য় দিন রাত সাড়ে ৯-টায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সূরা নূর ৫৫ আয়াত অবলম্বনে ‘সমাজ ও রাষ্ট্র সংস্কারে আমাদের করণীয়’ বিষয়ে দেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব সম্পর্কে সারগর্ভ ভাষণ পেশ করেন।

উদ্বোধনপূর্ব বক্তৃতা সমূহ : বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমা শুরু হওয়ার ঘোষণা থাকলেও কর্মী ও সুধীগণ আগে থেকেই আসতে শুরু করেন। ফলে ১ম দিন বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে মূল প্যান্ডেলে আলোচনা শুরু হয়। যা যোহর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলে। এসময় বক্তব্য পেশ করেন যথাক্রমে- (১) ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (তাক্বওয়ার গুরুত্ব ও পদ্ধতি) (২) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দাঈ অধ্যাপক আব্দুল হামীদ (সকাল-সন্ধ্যার আমল সমূহ) (৩) রাজশাহী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ যিল্লুর রহমান (রামাযানের প্রস্ত্ততি কিভাবে নিবেন?) (৪) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় অফিস সহকারী মাওলানা আনোয়ারুল হক্ব (মৃত্যুর পরেও প্রবাহমান আমলসমূহ) (৫) মেহেরপুর যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ হায়দার আলী (নফল ইবাদতের গুরুত্ব) (৬) দিনাজপুর-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘যুবসংঘে’র সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মাহমূদ (দিবস পালন কেন্দ্রিক বিদ‘আতী রসম-রেওয়াজ সমূহ) (৭) রংপুর-পশ্চিম যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মতীউর রহমান (সমাজ সংস্কারে তা‘লীমী বৈঠকের গুরুত্ব) (৮) ঢাকা-উত্তর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম বিন হাবীব (মাদকতা দূরীকরণে আমাদের করণীয়) (৯) জামালপুর-উত্তর যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাবীবুল্লাহ (পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য) (১০) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দাঈ রাক্বীবুল ইসলাম (দাওয়াতের গুরুত্ব ও দাঈর গুণাবলী) (১১) জামালপুর-দক্ষিণ যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ মাসঊদ (বিবাহ কেন্দ্রিক রসম-রেওয়াজসমূহ) (১২) ঢাকা-উত্তরের ধামরাই উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ এরশাদুল্লাহ (মৃত্যুকে স্মরণ) (১৩) নাটোর যেলা ‘যুবসংঘে’র সভপতি হাফেয মুহাম্মাদ আলী (জামা‘আতবদ্ধ জীবনের প্রয়োজনীয়তা) ও (১৪) ঢাকা-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলা ‘যুবসংঘে’র প্রচার সম্পাদক নাজমুস সা‘আদাত (দাওয়াতের গুরুত্ব)।

বিদায়ী ভাষণ ও দো‘আ : ইজতেমার শেষ দিন শনিবার ইজতেমার মূল প্যান্ডেলে হাফেয শামসুর রহমান আযাদী (ঢাকা)-এর ইমামতিতে ফজরের জামা‘আত অনুষ্ঠিত হয়। ছালাত শেষে মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের পক্ষে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বিদায়ী ভাষণ পেশ করেন। অতঃপর তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মজলিস ভঙ্গের দো‘আ পাঠের মাধ্যমে দু’দিন ব্যাপী ৩৫তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

ইজতেমার অন্যান্য রিপোর্ট

১. আল-‘আওন-এর প্রশিক্ষণ : ইজতেমার পূর্ব দিন বুধবার সকাল ৯-টা থেকে এশার আগ পর্যন্ত আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর পূর্ব পার্শ্বস্থ ভবনের ৩য় তলার হলরুমে ‘আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় উদ্যোগে যেলা দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ‘আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. আব্দুল মতীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ‘আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ড. মুখতারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ নাবীল, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ দেলাওয়ার হোসাইন, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক রেযওয়ানুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক খালিদুর রহমান, রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলার সভাপতি আবু দাঊদ ও সাধারণ সম্পাদক হাফীযুর রহমান। প্রশিক্ষণে ১৫টি যেলা থেকে ২৫ জন দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন।

২. ইসলামী জাগরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫ : ইজতেমার আগের দিন ১২ই ফেব্রুয়ারী বুধবার বাদ আছর থেকে রাত সাড়ে ১১-টা পর্যন্ত মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেলে ‘ইসলামী জাগরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় পরিচালক ও ‘যুবসংঘে’র সাবেক কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আজমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে আমীরে জামা‘আতের প্রতিনিধি হিসাবে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার, শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ প্রমুখ। অতিথিগণ স্ব স্ব ভাষণে উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান এবং জাগরণীর মাধ্যমে তাওহীদী সমাজ গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করেন আব্দুল্লাহ আল-ফাহীম (কুষ্টিয়া)। জাগরণী পেশ করেন মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান (জয়পুরহাট), রাক্বীবুল ইসলাম (মেহেরপুর), তানভীরুয্যামান (মেহেরপুর), রোকনুয্যামান (সাতক্ষীরা), আব্দুল মুন‘ইম (রাজশাহী), কেরামত আলী (পাবনা), আলে ইমরান (রাজশাহী), রাতুল আসলাম (রাজশাহী), ওবায়দুল্লাহ (গাইবান্ধা), মীর বখতিয়ার (যশোর), এনামুল হক (নওগাঁ), আব্দুর রহমান (সাতক্ষীরা), ফরীদুল ইসলাম (গাইবান্ধা), শফীকুল ইসলাম ও শামীম রেযা।

অনুষ্ঠানে আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর ২০২৩-২৫ সেশনের রাক্বীবুল ইসলামকে সেরা গীতিকার, আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফকে সেরা সুরকার, মীযানুর রহমানকে সেরা শিল্পী ও আবুবকরকে সেরা শিল্পী সংগঠক হিসাবে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর ২০২৫-২৭ সেশনের জন্য রাক্বীবুল ইসলামকে পরিচালক ও আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফকে সহ-পরিচালক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

৩. আল-‘আওন-এর ডোনর সমাবেশ : ইজতেমার ১ম দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯-টা থেকে বেলা সাড়ে ১১-টা পর্যন্ত মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেলে আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় উদ্যোগে ডোনর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আল-‘আওন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. আব্দুল মতীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম। সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য পেশ করেন আল-‘আওন-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ড. মুখতারুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন আল-‘আওন-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুললাহ শাকির, অর্থ সম্পাদক আব্দুললাহ নাবীল, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক দেলাওয়ার হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ যেলা সভাপতি মুহাম্মাদ রাসেল, রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলার সভাপতি আবু দাঊদ ও দিনাজপুর-পূর্ব যেলা সাধারণ সম্পাদক বদীউয্যামান। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন আল-‘আওন-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক খালিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে ২০২৩-২৪ বর্ষে ৩৭টি যেলার মধ্যে রক্তদানসহ অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রম বিবেচনায় ‘নারায়ণগঞ্জ’ যেলাকে ‘শ্রেষ্ঠ যেলা’ হিসাবে মনোনীত করা হয়। এছাড়া ১০ জনকে ‘শ্রেষ্ঠ দায়িত্বশীল’ হিসাবে মনোনীত করা হয়। তারা হ’লেন ১. ফযলুল হক (সভাপতি, নীলফামারী), ২. বদীউয্যামান (সাধারণ সম্পাদক, দিনাজপুর-পূর্ব), ৩. মুহাম্মাদ রাসেল (সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ), ৪. ডা. শাহিনুর রহমান (সভাপতি, নওগাঁ), ৫. মুহাম্মাদ মাসঊদ (সাধারণ সম্পাদক, যশোর), ৬. জাহিদ হাসান (সাধারণ সম্পাদক, চুয়াডাঙ্গা), ৭. মা‘ছূম বিল্লাহ (সভাপতি, বরিশাল), ৮. মাহমূদুল ইসলাম (সভাপতি, ঢাকা), ৯. ডা. জাহিদুল ইসলাম (সভাপতি, সিরাজগঞ্জ) ও ১০. ফায়যুর রহমান (সভাপতি, ফরিদপুর)।

৪. আহলেহাদীছ উদ্যোক্তা মিট-আপ : ইজতেমার ১ম দিন বাদ মাগরিব আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর শিক্ষক মিলনায়তনে ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম’-এর উদ্যোগে আহলেহাদীছ উদ্যোক্তা মিট-আপ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব।

‘পেশাজীবী ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মাদ ছাবিত, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহিবুল হোসাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ তারেক। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় পরিচালক ও ‘যুবসংঘে’র সাবেক কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আজমাল।

৫. শিক্ষক সমাবেশ : শুক্রবার সকাল ৭-টায় মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেলে ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড’-এর উদ্যোগে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘শিক্ষাবোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’ সঊদী আরব শাখার সহ-সভাপতি হাফেয মুহাম্মাদ আখতার।

অতঃপর ‘সমাজ সংস্কারে শিক্ষকগণের ভূমিকা’ বিষয়ের উপর উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। দেশব্যাপী অত্র শিক্ষাবোর্ড অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণের অংশগ্রহণে ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতার জন্য ৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এতে ১ম স্থান অধিকার করেন দারুলহাদীছ আহমাদিয়া সালাফিইয়াহ, বাঁকাল, সাতক্ষীরার সহকারী শিক্ষক আখতারুয্যামান। ২য় স্থান অধিকার করেন দারুলহাদীছ সালাফিইয়াহ, ফেনীর প্রধান শিক্ষক হাফেয মাহবূবুর রহমান ও ৩য় স্থান অধিকার করেন মারকাযুস সুন্নাহ, বানেশ্বর, রাজশাহীর সুধী ছাববীর হোসাইন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ পেশ করেন ‘শিক্ষাবোর্ডে’র সচিব জনাব শামসুল আলম এবং সঞ্চালক ছিলেন ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন অনলাইন একাডেমী’র কো-অর্ডিনেটর আবু রায়হান।

৬. প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় : ইজতেমার ২য় দিন সকাল ৮-টায় আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর শিক্ষক মিলনায়তনে ‘আন্দোলন’-এর প্রবাসী সংগঠন সমূহের দায়িত্বশীল, কর্মী ও সুধীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম।

‘আন্দোলন’ সঊদী আরব শাখার সহ-সভাপতি হাফেয মুহাম্মাদ আখতারের সভাপতিত্বে এবং তাঁর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অতঃপর বক্তব্য রাখেন, সিঙ্গাপুর প্রবাসী মু‘আযযাম হোসাইন (বগুড়া), আব্দুস সালাম (নারায়ণগঞ্জ), আব্দুল মুকীত (কুষ্টিয়া), সঊদী আরব প্রবাসী আব্দুল খালেক (পিরোজপুর) প্রমুখ। অবশেষে অতিথিদের ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম।

৭. যুব সমাবেশ : শুক্রবার সকাল ৯-টায় মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেলে ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ। অতঃপর বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমাদুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল-গালিব, প্রচার সম্পাদক আব্দুন নূর, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ, ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক রবীউল ইসলাম প্রমুখ।

যেলা সভাপতি ও দায়িত্বশীলদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন (১) সাতক্ষীর যেলা সভাপতি মুজাহিদুর রহমান (২) দিনাজপুর-পূর্ব যেলা সভাপতি সাইফুর রহমান (৩) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামূন (৪) কুমিল্লা যেলা সভাপতি রূহুল আমীন (৫) রাজশাহী কলেজের সভাপতি আব্দুল্লাহ নাবীল (৬) বগুড়া যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ রামাযান আলী (৭) চট্টগ্রাম যেলা সভাপতি মুহাম্মাদ জসীমুদ্দীন ও (৮) কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য আব্দুল্লাহ আল-মুছাদ্দিক। সমাবেশে ‘যুবসংঘে’র বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ।

৮. জাতীয় গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা ২০২৫ : গত বছরের ন্যায় এবারও ‘যুবসংঘে’র উদ্যোগে অনলাইনে ‘জাতীয় গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচিত গ্রন্থ ছিল মুহতারাম আমীরে জামা‘আত লিখিত ১. ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন ২. জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে কিছু পরামর্শএবং চরমপন্থীদের বিশ্বাসগত বিভ্রান্তি জবাব ৩. স্মারক গ্রন্থ-২ ৪. তরজমাতুল কুরআন (১-১৫ পারা)।

বয়স ও পেশা নির্বিশেষে উন্মুক্ত এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অধিকারী তিন জন হ’লেন (১) মুহাম্মাদ মাহফূযুর রহমান (নওগাঁ) (২) মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম (সিরাজগঞ্জ) ও (৩) ওয়ালীদ বিন ইউসুফ (সিরাজগঞ্জ)। বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত ১০ জন হ’লেন (১) জাহাঙ্গীর হোসাইন (সাতক্ষীরা) (২) আব্দুর রহমান (গাইবান্ধা) (৯ম শ্রেণী, মারকায) (৩) মুহাম্মাদ মুত্ত্বালিব (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) (৪) মাহফূয আলম (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) (৫) শাহাদত হোসাইন (নওগাঁ) (৬) শেখ আমীর হোসাইন (বাগেরহাট) (৭) মোকছেদ আলী (বগুড়া) (৮) মুহাম্মাদ আল-আমীন (রাজশাহী) (৯) ছানাউল্লাহ (রাজশাহী) ও (১০) শাহরুল ইসলাম (নওগাঁ)। ইজতেমার ২য় দিন শুক্রবার ‘যুব সমাবেশে’র মঞ্চে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও পুরস্কার তুলে দেন অতিথিগণ।

৯. আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম : শুক্রবার বেলা ৩-টায় মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেলে ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম’-এর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। ‘ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসান (রাজশাহী)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন ‘ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মাদ ছাবিত (কুষ্ঠিয়া)।

অতঃপর বক্তব্য পেশ করেন ‘ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার তারেক আহমাদ (নাটোর), অর্থ সম্পাদক ডা. যুবায়ের ইসলাম (চাঁপাই নবাবগঞ্জ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম (রাজশাহী), প্রশিক্ষণ সম্পাদক হোসাইন মাহমূদ (সাতক্ষীরা), গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. নাজমুছ ছাকিব (সাতক্ষীরা) প্রমুখ। অতঃপর বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য পেশ করেন ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব প্রমুখ।

১০. ইজতেমার পরিচালক বৃন্দ : দু’দিন ব্যাপী তাবলীগী ইজতেমার বিভিন্ন অধিবেশনে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন (১) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (২) সাংগঠনিক সম্পাদক (৩) প্রচার সম্পাদক (৪) প্রশিক্ষণ সম্পাদক (৫) সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং (৬) যুববিষয়ক সম্পাদক।

১১. সঞ্চালক বৃন্দ : এবারের ইজতেমায় পর্যায়ক্রমে সঞ্চালক ছিলেন (১) ড. নূরুল ইসলাম (মারকায) (২) আব্দুর রশীদ আখতার (কুষ্টিয়া) (৩) কাযী হারূণুর রশীদ (ঢাকা) (৪) আব্দুল ওয়াদূদ (ঢাকা) (৫) জামীলুর রহমান (কুমিল্লা) (৬) মুহাম্মাদ তরীকুয্যামান (মেহেরপুর) (৭) ক্বামারুয্যামান বিন আব্দুল বারী (জামালপুর) (৮) আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (মারকায) ও (৯) রবীউল ইসলাম (মারকায)।

১২. প্যান্ডেলের মুওয়াযযিন বৃন্দ : (১) খালিদুর রহমান (দফতর সম্পাদক, আল-‘আওন) বৃহস্পতিবার (ফজর); (২) হাফেয হুযায়ফা (ছাত্র, মারকায) যোহর; (৩) মুহাম্মাদ মুয্যাম্মিল (ছাত্র, মারকায) আছর; (৪) মুহাম্মাদ জমীমুদ্দীন (ছাত্র, মারকায) মাগরিব; (৫) রোকনুয্যামান (মেহেরপুর) এশা (৬) হাফেয ওবায়দুল্লাহ (শিক্ষক, মারকায) ২য় দিন ফজর; (৭) হাফেয আব্দুল আলীম (দিনাজপুর) জুম‘আ; (৮) আরযুল ইসলাম শাফী (ছাত্র, মারকায) আছর; (৯) রাক্বীবুল ইসলাম (মেহেরপুর) মাগরিব; (১০) আব্দুল বারী (মুওয়াযযিন, মারকায) এশা (১১) শাহীনুর রহমান (শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ) শেষ দিন শনিবার ফজর।

১৩. প্যান্ডেলের ইমামগণ : (১) হাফেয ছাক্বিবুল হাসান (ছাত্র, মারকায) বৃহস্পতিবার ফজর; (২) ক্বারী জাহাঙ্গীর আলম (শিক্ষক, মারকায) যোহর; (৩) হাফেয মশীউর রহমান (শিক্ষক, মারকায) আছর; (৪) হাফেয লুৎফর রহমান (পরিচালক, হিফয বিভাগ, মারকায) মাগরিব; (৫) হাফেয মুহাম্মাদ আখতার এশা; (৬) হাফেয মুহাম্মাদ আখতার ২য় দিন ফজর; (৭) হাফেয মুহাম্মাদ আখতার, জুম‘আ (৮) ক্বারী আব্দুর রহীম (শিক্ষক, মক্তব বিভাগ, মারকায) আছর; (৯) হাফেয নাজমুছ ছাকিব (গোপালগঞ্জ) মাগরিব; (১০) হাফেয মুহাম্মাদ আখতার, এশা; (১১) হাফেয শামসুর রহমান আযাদী (ঢাকা) শনিবার ফজর।

১৪. অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত : (১) হাফেয ওবায়দুল্লাহ (মারকায); (২) হাফেয হুযায়ফা (ছাত্র, মারকায); (৩) ক্বারী আব্দুল আউয়াল (শিক্ষক, মারকায); (৪) আরযুল ইসলাম শাফী (ছাত্র, মারকায); (৫) হাফেয হোসাইন (ফরিদপুর); (৬) হাফেয আব্দুল আলীম (দিনাজপুর); (৪) হাফেয ছাক্বিবুল হাসান (ছাত্র, মারকায)। 

১৫. জাগরণী : আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য (১) মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান (জয়পুরহাট) (২) রাক্বীবুল ইসলাম (মেহেরপুর) (৩) ইয়াকূব আলী, (ঐ) (৪) তানভীরুয্যামান, (ঐ) (৫) রোকনুয্যামান, (সাতক্ষীরা) (৬) আব্দুল্লাহ আল-মামূন (ঐ) (৭) আব্দুল মুন‘ইম (ঐ) (৮) মাহমূদুর রহমান (ঐ) (৯) কেরামত আলী (পাবনা) (১০) আলে ইমরান (রাজশাহী) (১১) রাতুল আসলাম (&ঐ) (১২) আব্দুল্লাহ আল-ফাহীম (কুষ্টিয়া) (১৩) ওবায়দুল্লাহ (গাইবান্ধা) (১৪) মীর বখতিয়ার (যশোর) (১৫) এনামুল হক (নওগাঁ) (১৬) আব্দুর রহমান (দিনাজপুর)।

১৬. প্যান্ডেল : মূল প্যান্ডেল ছিল এয়ারপোর্ট থানার নিকটবর্তী ময়দান। যার আয়তন ছিল ৩০০´৫০০ ফুট। তার পূর্ব পার্শ্বে ছিল বৃহদায়াতন খাদ্য প্যান্ডেল ও পৃথক খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্যান্ডেল। যেখানে স্বল্প মূল্যে সকালের নাশতা এবং দুপুর ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা ছিল। তাছাড়া পূর্ব পার্শ্বস্থ ঈদগাহ ময়দানে ছিল স্বেচ্ছাসেবক প্যান্ডেল। আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর (বালিকা শাখা) ময়দানে ইজতেমার মহিলা প্যান্ডেল করা হয়। যার আয়তন ছিল ১৩০´২০০ ফুট এবং ৪০´১০০ ফুট। এছাড়াও ছিল মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ একাডেমিক ভবন ময়দানের বিশেষ প্যান্ডেল। যেখানে ইজতেমার বিভিন্ন প্রোগাম বাস্তবায়িত হয়। প্রতিটি প্যান্ডেল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

১৭. বুক স্টল : ইজতেমার মূল প্যান্ডেলের দক্ষিণ পার্শ্বে ৩৫টি ও মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ গেট সংলগ্ন মার্কেটে ১টি বুক স্টল ছিল। 

১৮. আল-‘আওন : মূল প্যান্ডেলের দক্ষিণ পার্শ্বে বুক স্টল সংলগ্ন বিশেষ স্টলে ‘মাদকমুক্ত স্বেচ্ছাসেবী নিরাপদ রক্তদান সংস্থা’ আল-‘আওন রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পিংয়ে ১৮৬ জনের ব্ললাড গ্রুপিং করা হয় এবং ২২৭ জন ডোনর তালিকাভুক্ত হন। উক্ত ক্যাম্পিংয়ে কেন্দ্র সহ বিভিন্ন যেলার দায়িত্বশীলগণ অংশগ্রহণ করেন।

১৯. যরূরী চিকিৎসা কেন্দ্র : মূল প্যান্ডেলের দক্ষিণ পার্শ্বে যরূরী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামের চিকিৎসক সদস্যগণ সেখানে ফ্রী চিকিৎসা প্রদান করেন। ইজতেমা কমিটির পক্ষ থেকে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সরবরাহ করা হয়।

২০. অনুদান বুথ : ময়দানের দক্ষিণ পার্শ্বে ছিল দারুলহাদীছ (প্রাঃ) বিশ্ববিদ্যালয় ও ইজতেমা ময়দানের জমি ক্রয়, মারকাযী জামে মসজিদ নির্মাণ, ‘আন্দোলন’ ও ইয়াতীম বিভাগের পৃথক অনুদান বুথ। এছাড়াও মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেল সংলগ্ন স্থানে পৃথক অনুদান বুথ স্থাপন করা হয়।

২১. দেওয়াল পত্রিকা : তাবলীগী ইজতেমা’২৫ উপলক্ষ্যে ‘সোনামণি’ মারকায সাংগঠনিক যেলার পক্ষ থেকে ‘সোনামণি প্রতিভা’ এবং ‘যুবঘংঘ’ মারকায এলাকার পক্ষ থেকে ‘ছওতুল মারকায’, ‘ছওতুশ শুববান’, তাহযীবুল মারকায’, ‘ছাওরাতুল আকলাম’, ‘আদাবুল মারকায’, ‘নেদাউল হক’ ও ‘আল-হেরা’ নামে মোট ৭টি দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশিত হয়। যা ইজতেমা প্যান্ডেলের বুক স্টলের সামনে প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও তার পাশে ‘যুবঘংঘ’ মারকায এলাকার পক্ষ থেকে আর্ট গ্যালারী প্রদর্শিত হয়।

২২. ফৎওয়া বুথ : গতবারের ন্যায় এবারও ফৎওয়া বুথের ব্যবস্থা করা হয়। ইজতেমার মূল প্যান্ডেলের দক্ষিণ পার্শ্বে স্থাপিত ফৎওয়া বুথ ও মাসিক আত-তাহরীক কার্যালয়ে বিভিন্ন যেলা থেকে আগত কর্মী ও সুধীবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ‘দারুল ইফতা’র সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম, ‘আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ড. মুখতারুল ইসলাম ও ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ডে’র সাবেক সহকারী পরিদর্শক মুহাম্মাদ ফেরদাঊস। ইজতেমার ১ম দিন বাদ মাগরিব থেকে রাত ১২-টা পর্যন্ত এবং ২য় দিন বাদ আছর থেকে রাত ১২-টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।

২৩. নিরাপত্তা : ইজতেমা ময়দানের ১টি সাউন্ড টাওয়ার ও ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। সেই সাথে সংগঠনের ৮৩৯ জন স্বেচ্ছাসেবক দু’দিন আগে থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণের নিয়মিত তদারকি।

২৪. যানবাহন : অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন যেলা থেকে মুছল্লীগণ বাস, ট্রেন, মাইক্রো, বিমান ও অন্যান্য যানবাহনে করে ইজতেমায় আগমন করেন। বিভিন্ন যেলা থেকে আগত মোট বাসের সংখ্যা ২৪৮টি ও মাইক্রোর সংখ্যা ২৯টি। সবচেয়ে বেশী বাস আসে সাতক্ষীরা থেকে ৭৫টি। এছাড়া ভারত, সঊদী আরব, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশ থেকে সদ্য দেশে আগত অনেক প্রবাসী কর্মী ও সুধী ইজতেমায় যোগদান করেন।

২৫. সাইকেলে আগমন : অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও সাইকেল যোগে ইজতেমায় আগমন করেন (১) সাতক্ষীরা যেলার তালা উপযেলার বর্তমানে মানিকহার গ্রামের আব্দুল বারী (৬৭)। ১৯৯৭ সাল থেকে মোট ২৪ বার ও (২) সাতক্ষীরা সদর উপযেলার কাওনডাঙ্গা গ্রামের যয়নাল আবেদীন (৮৭)। তিনি একটানা ২২ বছর যাবৎ। সাতক্ষীরা থেকে প্রায় ৩০০ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে রাজশাহী পৌঁছতে তাদের সময় লাগে দু’দিনে মোট ২২ ঘণ্টা। আমীরে জামা‘আত তাদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং এই কষ্টকর ভ্রমণে যেন ‘রিয়া’ না আসে এবং এটি যেন স্রেফ আল্লাহর জন্য হয়, সে বিষয়ে সাবধান করেন।

২৬. সোনামণি র‌্যালি : তাবলীগী ইজতেমা’২৫ উপলক্ষ্যে ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে ১১ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বাদ আছর সোনামণি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি মারকায থেকে শুরু হয়ে মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্ব ধরে দক্ষিণ দিকে নওড়াপাড়া বাজার গমন করে। সেখান থেকে ট্রাক টার্মিনাল, কালুর মোড় ও ভূগরইল হয়ে মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্ব ধরে উত্তর দিকে ইজতেমা ময়দান গমন করে। অতঃপর সেখানে র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারী দায়িত্বশীল ও সোনামণিরা মাগরিবের ছালাত আদায় করে। তারপর সেখান থেকে মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্ব ধরে মারকাযে ফিরে আসে।

২৭. পত্রিকায় রিপোর্ট : ইজতেমার রিপোর্ট দৈনিক ইনকিলাব, নয়াদিগন্ত, যুগান্তরসহ জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে প্রচারিত হয়।

২৮. টয়লেট : এবারে ইজতেমার মূল প্যান্ডেলের পূর্ব পার্শ্বে মোট ৩৮০টি অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হয়। সাথেই পুকুরে ওযূ ও গোসলের ব্যবস্থা ছিল।






যেলা সম্মেলন : রংপুর (যাবতীয় চরমপন্থা হ’তে বিরত থাকুন!) - -মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
বন্যাত্রাণ বিতরণ
কেন্দ্রীয় শিক্ষা সফর ২০২৪ (পতেঙ্গা ও মীরসরাই, চট্টগ্রাম)
মৃত্যু সংবাদ (মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদ), (আনীসুর রহমান)
আহলেহাদীছ আন্দোলন জান্নাতের পথ দেখানোর আন্দোলন (যেলা সম্মেলন : সাতক্ষীরা ২০২৩) - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
কেন্দ্রীয় দাঈর সফর
যেলা সম্মেলন : জয়পুরহাট জান্নাতের পথ বেছে নিন! - মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
কেন্দ্রীয় দাঈর সফর
চলে গেলেন নেপালের বর্ষীয়ান আহলেহাদীছ আলেম মাওলানা আব্দুল হান্নান ফায়যী
মারকায সংবাদ গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা
ড. মুছত্বফা আ‘যমীর মৃত্যু
‘তারুণ্যের আত্মপাঠ ও ক্যারিয়ার ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনার (বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ)
আরও
আরও
.