১৩ই ডিসেম্বর শুক্রবার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান, রাজশাহী : অদ্য বেলা আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৯-টা পর্যন্ত মহানগরীর ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ রাজশাহী-সদর, রাজশাহী-পূর্ব ও পশ্চিম, নাটোর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ-উত্তর ও দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলা সমূহের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক মহা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব সরকারের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি সূরা জুম‘আর ২য় আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন, পথভ্রষ্ট মানুষকে হেদায়াতের জন্যই আল্লাহ তাঁর শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে প্রেরণ করেছিলেন। ইসলামের মাধ্যমেই তিনি অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল ইসলাম। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার কারণেই পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষীরা স্বাধীন বাংলাদেশের অংশ হ’তে পারেনি। অথচ আড়াই হাযার মাইল দূরত্বের উর্দুভাষী পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে একত্রিত হয়ে স্বাধীন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্রের উপর স্বাধীন ‘বাংলাদেশ’-এর অভ্যুদয় ঘটে। তিনি বলেন, ইসলামই হচ্ছে এদেশের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। অতএব বাংলাদেশের সংবিধান হবে ইসলাম।

রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা দুররুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে ভাষণ দেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক দুররুল হুদা, যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়ার ভাইস প্রিন্সিপাল ড. নূরুল ইসলাম, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ, আল-‘আওনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. আব্দুল মতীন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসান, সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক রবীউল ইসলাম, রাজশাহী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, নাটোর যেলার সভাপতি ড. মুহাম্মাদ আলী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ-উত্তর যেলার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, চাঁপাই নবাবগঞ্জ-দক্ষিণ যেলার সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল করীম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক্বীম আহমাদ, রাজশাহী-পশ্চিম যেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তোফায্যল হোসাইন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-দক্ষিণ যেলার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসীন আলী। এছাড়াও পৃথক প্যান্ডেলে মহিলাদের বিপুল সমাগম ঘটে।

উল্লেখ্য যে, সম্মেলন উপলক্ষে এই দিনে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত কেন্দ্রীয় মারকাযী জামে মসজিদে খুৎবা প্রদান করেন। এছাড়াও ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শহরের বিভিন্ন মসজিদে জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। যেমন (১) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন শিরোইল আহলেহাদীছ জামে মসজিদে (২) গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ছোট হাতেম খাঁ আহলেহাদীছ জামে মসজিদে (৩) ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাসলীম সরকার নওহাটা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে (৪) ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ হড়গ্রাম শেখপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে।

আল-‘আওন : অত্র সম্মেলনে রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলা আল-‘আওনের পক্ষ থেকে রক্তদাতা সদস্য সংগ্রহ ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ক্যাম্পিংয়ে ৩০ জনের ব্লাড গ্রুপিং ও ৪৬ জন রক্তদাতা সদস্য বা ‘ডোনর’ তালিকাভুক্ত হন।

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প : সম্মেলনে ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামে’র উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ৬৩ জন রোগীর সেবা প্রদান করা হয়। তন্মন্ধে ২৫ জনের ব্লাড প্রেসার, ৮ জনের ডায়বেটিস পরীক্ষা এবং ৩০ জনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী মেডিকেলের ডা. মহীদুল হাসান মা‘রূফ, ডা. মেহেদী হাসান মুন‘ইম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র হাবীবুর রহমান।






আরও
আরও
.