বাদ আছর আমীরে জামা‘আত শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড়ে নারায়ণগঞ্জ যেলার কাঞ্চন বাজারে অবস্থিত যেলা ‘আন্দোলন’-এর কার্যালয়ে আয়োজিত সুধী সমাবেশে যোগদান করেন। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শফীকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, প্রাণহীন লাশের যেমন কোন মূল্য নেই, কর্মহীন  কর্মীর তেমনি কোন মূল্যায়ন নেই। আহলেহাদীছ আন্দোলনের কর্মীদের সর্বদা জামা‘আতবদ্ধভাবে সমাজ সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি ‘আন্দোলন’ ‘যুবসংঘ’ ‘সোনামণি’ ও ‘মহিলা সংস্থা’র কর্মীদের স্ব স্ব পরকালীন  তাকীদে নেকীর পাল্লা ভারি করার আহবান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক জালালুদ্দীন ও নরসিংদী যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি কাযী আমীনুদ্দীন। উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’ ‘যুবসংঘে’র দায়িত্বশীল, সুধী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নরসিংদী যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র দায়িত্বশীলগণও সুধী সমাবেশে যোগদান করেন। এছাড়া  ‘মহিলা সংস্থা’-র বিশিষ্ট কর্মী মিনারা আপা ও তাঁর সাথীগণ পর্দার মধ্যে থেকে অংশগ্রহণ করেন।

অতঃপর কাঞ্চন বাজার আহলেহাদীছ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আমীরে জামা‘আত মাগরিবের ছালাত আদায় করতে গেলে অত্র মসজিদের ইমামের অনুরোধে তিনি ইমামতি করেন এবং ফরয ছালাত শেষে মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন। এ সময়ে তিনি সূরা যিলযালের ‘অণুপরিমাণ নেক আমল ও মন্দ আমলও সেদিন প্রত্যেকে দেখবে’ এই আয়াত উল্লেখ করে সকলকে সৎকর্মশীল হওয়ার আহবান জানান। এ সময়ে তিনি মসজিদ কমিটির সদস্যগণকে ধন্যবাদ জানান ও তাদের জন্য দো‘আ করেন। উল্লেখ্য যে, হঠাৎ করে অত্র মসজিদে আমীরে জামা‘আতের উপস্থিতিতে মুছল্লীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় এবং ছালাত শেষে কুশল বিনিময়ের হিড়িক পড়ে যায়।

ঢাকা ফেরার পথে তিনি বেশ কিছুদিন  যাবৎ হৃদরোগে অসুস্থ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি জনাব মুহাম্মাদ মুনীর হোসাইন মিলনকে দেখার জন্য তার বাসায় গমন করেন। তিনি তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং তার সুস্থতার জন্য দো‘আ করেন।

মাদারটেক, ঢাকা ৩০শে সেপ্টেম্বর রবিবার : পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অদ্য বাদ এশা নগরীর মাদারটেক  আহলেহাদীছ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে সমবেত কর্মী ও সুধীদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, জামা‘আতবদ্ধ দাওয়াত ব্যতীত কোন লক্ষ্যই অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আহলেহাদীছ একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম। এ নামে পরিচিত হওয়াটা গৌরবের বিষয়। এ গৌরব বুকে ধারণ করেই আমরা ইহকালে ও পরকালে সম্মানিত হতে চাই।

ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর অর্থ সম্পাদক কাযী হারূণুর রশীদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব। এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অত্র মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল ও ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন।

উল্লেখ্য যে, মাদারটেক যাওয়ার পথে আমীরে জামা‘আত ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক তাসলীম সরকারকে দেখতে তার দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় গমন করেন। মাথার পিছনে ঘাড়ের উপরাংশে ফোঁড়া উঠায় তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অপারেশন করেন। আমীরে জামা‘আত তার সুস্থতার জন্য দো‘আ করেন।

পুরানা মোগলটুলী, ঢাকা ১লা অক্টোবর সোমবার : অদ্য বাদ এশা ঢাকার পুরানা মোগলটুলী ও মালিটোলা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অত্র মসজিদের মুতাওয়াল্লী ডা. আবূ যায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, আহলেহাদীছগণ তাদের পুরানো ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। তাদেরকে সম্মান নিয়ে বাঁচতে গেলে অবশ্যই হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে স্বীয় আদর্শ মূলে ঐক্যবদ্ধ হ’তে হবে। তিনি বলেন, অন্যান্য ইসলামী দলগুলির সাথে আমাদের মৌলিক পার্থক্য এই যে, তারা স্ব স্ব মাযহাব ও তরীকার আলোকে কুরআন ও সুন্নাহর ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু আমরা ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের ব্যাখ্যার আলোকে কুরআন ও সুন্নাহ মেনে চলি। অন্যদিকে সেক্যুলারগণ তাদের মনগড়া বিধান মেনে চলেন। অতএব আখেরাতে মুক্তি পিয়াসীগণ দ্রুত সঠিক পথ বেছে নিবেন বলে আশা করি। তিনি মহল্লার মসজিদগুলিকে নিয়মিত দাওয়াতের মাধ্যমে প্রাণবন্ত করে তোলার আহবান জানান।

সভাপতির ভাষণে ডা. আবূ যায়েদ অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ৮০-এর দশকে পুরান ঢাকায় সিনেমা হলে চরিত্র বিধ্বংসী অশ্লীল ছবি প্রদর্শিত হ’ত। আমরা তা বন্ধের আন্দোলনে অগ্রণী সাথী হিসাবে একমাত্র আমীরে জামা‘আতকে পেয়েছিলাম। এ আন্দোলনে আমরা সফলও হয়েছিলাম। আমীরে জামা‘আত সম্পর্কে তিনি বলেন যে, দাওয়াতী স্বার্থে তিনি উদারভাবে যেকোন স্থানে গমন করে থাকেন। তাঁর এই উদারতাকে আমরা স্বাগত জানাই এবং আহলেহাদীছ আন্দোলনের শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আযীমুদ্দীনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব ও ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আহসান।






আরও
আরও
.