পিস টিভির পর আইআরএফ বন্ধ করল ভারত সরকার

ভারতের আন্তর্জাতিক খ্যাতিম্পন্ন দাঈ ডা. যাকির নায়েক পরিচালিত পীস টিভি বন্ধ করার পর তাঁর পরিচালিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) বিদেশী অনুদানের টাকা লোপাট এবং সন্ত্রাসবাদে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ এনে পাঁচ বছরের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। এছাড়া সংস্থার ২০টি ভবনে তল্লাশি চালিয়ে বক্তব্যের ভিডিও টেপ, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি, আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান এবং দেশ-বিদেশ থেকে আসা অনুদানের নথি বাযেয়াফ্ত করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। এমনকি তাঁর পরিচালিত ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও সিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তার ওয়েবসাইট ও সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। হেনস্থার স্বীকার হ’তে হয়েছে তার পরিবারের সদস্যদেরও।  এরপূর্বে ভারতের মন্ত্রীসভা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। এতসব যজ্ঞ চালালেও তদন্তের জন্য একবারও তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি তারা। এমনকি গত ৩০শে অক্টোবর পিতা আব্দুল করীম নায়েকের মৃত্যুর সংবাদ পেলেও তিনি দেশে ফিরতে পারেননি।

দীর্ঘ সময় এ ব্যাপারে চুপ থাকার পর সম্প্রতি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠিতে ডা. যাকির নায়েক বলেন, সাম্প্রদায়িক কারণেই আমার সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু একবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হ’ল না কেন আমাকে? আসলে তদন্ত শুরু হওয়ার পূর্বেই বন্ধ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গিয়েছিল। আমি যে মুসলিম! সাধ্বী প্রাচী, যোগী আদিত্যনাথ, রাজেশ্বর সিংরা তো প্রায়ই সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেন। কই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না তো! নেবে কী করে! তাতে যে রাজনৈতিক স্বার্থ লুকিয়ে আছে! এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুধুমাত্র ভারতীয় মুসলিমদের ওপরই নয়, দেশের শান্তি, গণতন্ত্র এবং বিচারব্যবস্থার ওপর আঘাত হানা হয়েছে। তবে আমিও হার মানছি না। দরকার হ’লে আইনী পথে যাব’।

উল্লেখ্য যে, বোম্বে হাইকোর্টে তাঁর পক্ষে আপীল করা হ’লে এবং সেখানে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি নিয়োগের আবেদন করা হ’লে বিচারপতিগণ বলেন, বর্তমানে যে সরকারী তদন্ত চলছে, সেখানে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করা যাবে না।

[আমরা এটাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস মনে করি এবং বিশুদ্ধ ইসলামের প্রচার বন্ধ করার অপকৌশল হিসাবে গণ্য করি। আল্লাহর গায়েবী মদদে এই অপকৌশল ব্যর্থ হউক, সেই দো‘আ করি (স.স.)]






আরও
আরও
.