সিরিয়া যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬২ হাযারে উন্নীত

সিরিয়ায় তিন বছরের সংঘাতে অন্তত এক লাখ ৬২ হাযার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরী ফর হিউম্যান রাইটস’ নামে একটি পর্যবেক্ষক গ্রুপ। এছাড়া সরকারী বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে নিখোঁজ হয়েছে আরো বহু মানুষ। আর লড়াই-সংঘর্ষের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বেসামরিক মানুষ নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫৪ হাযার। এছাড়া সেনাবাহিনী, আসাদপন্থী মিলিশিয়া বাহিনী, লেবানিজ হিযবুল্লাহ যোদ্ধা এবং অন্যান্য বিদেশী শী‘আ অস্ত্রধারী মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা মোট ৬২ হাযার ৮০০। অন্যদিকে নুসরা ফ্রন্ট, অন্যান্য ইসলামিক ব্রিগেড এবং আসাদের পক্ষ ত্যাগী সেনাসহ বিদ্রোহী পক্ষে নিহতের সংখ্যা ৪২ হাযার ৭০০। নাম-পরিচয়হীন মানুষ নিহত হয়েছে প্রায় তিন হাযার।

অবজারভেটরী বলেছে, লড়াইয়ে লিপ্ত সব পক্ষই নিহতের সংখ্যা কমিয়ে বলার কারণে নিহতের সংখ্যার প্রকৃত হিসাব করা প্রায় অসম্ভব। আর এ কারণে যুদ্ধে নিহতের মোট সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাযার হ’তে পারে।

আল-কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি

-হিলারী ক্লিনটন

আল-কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি বলে স্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন। সম্প্রতি ফক্স টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য ফাঁস করেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আফগানিস্তানে তৎকালীন সোভিয়েত বাহিনীকে পরাস্ত করতেই যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদা বাহিনী সৃষ্টি করেছিল। তাঁর এই বক্তব্যের পর খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৪ সালের এই সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে একটি সশস্ত্র বাহিনী তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৫৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল। আর এই পুরো প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ করা হ’ত পাকিস্তানভিত্তিক একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে।

এ প্রকল্পের আওতায় আফগানিস্তানের বাচ্চাদের পাঠ্যপুস্তকে সন্ত্রাস ও মারণাস্ত্র সম্পর্কিত অনেক প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করলে ভালো হবে এমন তথ্যও দেয়া হয়েছিল তৎকালীন পাঠ্যপুস্তকগুলোতে।

এছাড়াও ইংরেজী বর্ণমালা পরিচয়ে বিভিন্ন উস্কানিমূলক শব্দ ও বাক্য নিয়ম করে পড়ানো হ’ত। যেমন ইংরেজি ‘টি’তে ‘টুফাঙ’ (বন্দুক-জাবেদ বন্দুক হাতে মুজাহিদীনে যুক্ত হয়’) এবং ‘জে’ তে জিহাদ। এমনকি গণনা শেখানোর সময় ৫ বন্দুক + ৫ বন্দুক= ১০ বন্দুক শেখানো হ’ত।

[একেই বলে ভূতের মুখে রাম রাম। এতদিন পরে স্বীকৃতি। অথচ শুরু থেকেই সারা বিশ্ব এ খবর জানে। ইরাক ও আফগানিস্তানে লাখ লাখ মুসলিমকে হত্যা করেও এরা যুদ্ধাপরাধী নয়। তারা এখনো শান্তি ও গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা। চরমপন্থী মুসলিম তরুণরা অনেকেই জানেনা তাদের মূল শত্রু ও ইন্ধনদাতা কারা? অতএব হে তরুণ! ইহূদী-নাছারাদের খপপর থেকে বেরিয়ে ইসলামের সরল পথে ফিরে এসো (স.স.)]

সঊদী আরবে নারী-পুরুষ অনলাইন চ্যাটিং নিষিদ্ধ

অনলাইনে নারী-পুরুষের চ্যাটিং হারাম বলে ফৎওয়া দিয়েছেন সঊদী আরবের ধর্মীয় নেতা শেখ আব্দুল্লাহ আল-মুত্বলাক। তিনি বলেছেন, সামাজিক সাইটগুলোতে অনলাইনে নারী-পুরুষ চ্যাটিং ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ। কারণ তারা পাপে লিপ্ত হ’তে পারে। এটা হারাম। আল-আরাবিয়া অনলাইন এই তথ্য প্রকাশ করেছে। শেখ আব্দুল্লাহ সঊদী কমিটি অব সিনিয়র স্কলারস’-এর একজন সদস্য। তিনি বলেন, অনলাইনে সামাজিক সাইটে নারী-পুরুষ চ্যাটিং  ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তিনি বলেন, মেয়েরা যখন ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে, সেখানে শয়তান উপস্থিত থাকে। তিনি নারীদের প্রতি আহবান জানান তারা যেন পুরুষদের সঙ্গে কথা না বলেন। শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, সামাজিক সাইটে নারী-পুরুষ চ্যাটিং যদি নির্দেশনামূলক কিংবা উপদেশও হয়, তাহ’লেও তা ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ এবং গুনাহ।

সু-স্বাস্থ্যের জন্য দাড়ি

দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডের এক দল গবেষকের এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘রেডিয়েশন প্রোটেকশন ডোজিমেট্রি জার্নালে’। গবেষণার ফলাফলের মাধ্যমে জানা যায়, দাড়ি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি ঠেকায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত এবং স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। যাদের অ্যাজমার সমস্যা আছে তারাও দাড়ির মাধ্যমে পেতে পারেন অনেক উপকার। দাড়ি বাতাস ঠেকিয়ে চামড়ার আদ্রতা বজায় রাখে। নিয়মিত শেভ করলে দাড়ির মূলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটায় এবং ব্রনের সৃষ্টি করে। তবে অপরিচ্ছন্ন দাড়ি সকল পুরুষের জন্যই বিপদজনক। তাই নিয়মিতভাবে পরিস্কার করাও যরূরী।

[ধন্যবাদ গবেষকদের। কেবল দাড়ি রাখা নয়, সুন্নাতে নববীর প্রত্যেকটিই মানবকল্যাণে অনন্য ভূমিকা পালন করে। ইসলামের ছালাত ও ছিয়াম বিধান এবং সকল ফরয-ওয়াজিবাত মানুষের জন্য একেকটি আশীর্বাদ। হতভাগা মানুষ যত দ্রুত ইসলামী বিধানের প্রতি এগিয়ে আসবে, তত দ্রুত তার মঙ্গল হবে। উল্লেখ্য যে, দাড়ি বলতে সুন্নাতী দাড়ি। হাফ ইঞ্চি বা এক ইঞ্চির দাড়ি নয় (স.স.)]

ফিলিস্তীনে জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের শপথ : রামী হামদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তীনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন ‘হামাস’ ও ‘ফাতাহ’ আন্দোলনকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গত ২রা জুন সোমবার শপথ গ্রহণ করেছে। এর ফলে জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে যে বিরোধ চলে আসছিল তার অবসান হ’তে যাচ্ছে।

ফিলিস্তীন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমূদ আববাস এদিন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শিক্ষাবিদ রামী হামদাল্লাহকে নিয়োগ দেন। পরে রামীর নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। রামাল্লায় নিজের কার্যালয়ে মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান মাহমূদ আববাস। পরে তিনি বক্তব্যে বলেন, ‘ইতিহাসের একটি কালো পৃষ্ঠা চিরদিনের মতো উল্টেছে। আজ জাতীয় ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তীনীদের বিরোধের অবসান হ’ল। এই বিভেদের কারণে ইতিমধ্যে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ফিলিস্তীনে সাধারণ নির্বাচনে হামাস বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাঈলের চাপে ফিলিস্তীনী  প্রেসিডেন্ট মাহমূদ আববাস ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী ইসমাঈল হানিয়ার নেতৃত্বাধীন হামাস সরকারকে বরখাস্ত করেন। এরপর হামাস গাজা উপত্যকার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে সেখান থেকে ফাতাহকে বের করে দেয়। তখন থেকে পশ্চিম তীরে ফাতাহ এবং গাজায় হামাসের সরকার প্রতিষ্ঠিত ছিল। এরপর গত ২৩ এপ্রিল হামাস ও ফাতাহ জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের ব্যাপারে একটি সমঝোতা চূড়ান্ত করে। ঐ সমঝোতায় সরকার গঠনের পাশাপাশি এ সরকারের অধীনে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।

তবে হামাসের উপস্থিতির কারণে ফিলিস্তীনের জাতীয় সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইসরাঈল।

[সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যে, তিনি ফিলিস্তীনী নেতাদের এক প্লাটফরমে আসার তাওফীক দিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহর অবনতির অধিকাংশের মূলে রয়েছে ইহূদী-নাছারা চক্রান্ত। তারা কখনোই মুসলমানদের বন্ধু নয়। একথা কুরআনেই বলা হয়েছে (বাক্বারাহ ১২৩)। অতএব সাবধান যেন পুনরায় শয়তান বিজয়ী না হয় (স.স.)]






আরও
আরও
.