যেলা সম্মেলন
আহলেহাদীছ কোন মতবাদের নাম নয়; এটি একটি পথের নাম
- মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
কুষ্টিয়া-পশ্চিম ১ মার্চ মঙ্গলবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ কুষ্টিয়া-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে দৌলতপুর উপযেলা আহলেহাদীছ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া-পশ্চিম যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় হ’ল- আমরা মানুষ। অতঃপর আমরা মুসলমান। অতঃপর আমাদের বৈশিষ্ট্যগত পরিচয় আমরা ‘আহলেহাদীছ’। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিঃশর্ত অনুসারী। আর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ হ’ল ছাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে চলে আসা নির্ভেজাল ইসলামী আন্দোলনের নাম। সৃষ্টিকে স্রষ্টার বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করাই হ’ল এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। জীবনের সকল ক্ষেত্রে মুসলিম হিসাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিধান অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করার মাধ্যমে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি হাছিল করাই আমাদের ব্রত। তিনি সকলকে আহলেহাদীছ আন্দোলনের পতাকা তলে সমবেত হয়ে বাংলার ঘরে ঘরে হকের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানান।
দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্জ এহসানুল হক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডঃ এ.এস.এম. আযীযুল্লাহ ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব গোলাম যিল কিবরিয়া, খুলনা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মেহেরপুর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মানছূরুর রহমান প্রমুখ।
জীবনের সর্বক্ষেত্রে অহি-র বিধান মেনে চলুন!
- মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
গাযীপুর ৮ মার্চ মঙ্গলবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ গাযীপুর সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে মণিপুর বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত গাযীপুর যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, আল্লাহ প্রেরিত বিধানই চিরন্তন সত্য। এ বিধানের নিরপেক্ষ অনুসরণই মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত করতে পারে। অপরদিকে এই বিধানের বিরুদ্ধাচরণের ফলে বিগত বহু সভ্যতা ধ্বংস হয়েছে। আমরাও যদি তা করি, তাহ’লে আমাদেরকেও ধ্বংস হ’তে হবে। অতএব কেবল নারী নীতি নয়, বরং কোন বিষয়েই পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ বিরোধী কোন আইন করা সরকারের জন্য আদৌ কল্যাণকর হবে না।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব হাবীবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন, ঢাকা যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সহ-সভাপতি বর্তমানে কুয়েতে কর্মরত মিয়াঁ মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর দাঈ মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম প্রমুখ।
ইসলামই নারীকে সুষম অধিকার ও যথাযথ মর্যাদা প্রদান করেছে
- মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
গাইবান্ধা-পশ্চিম ১৫ মার্চ মঙ্গলবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ গাইবান্ধা-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন ছয়ঘরিয়া হাইস্কুল ময়দানে অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-পশ্চিম যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম। ইসলাম পুরুষ ও নারীর সমঅধিকারের ক্ষেত্রে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা বিশ্ব ইতিহাসে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বিরল ও অতুলনীয়। তিনি সরকারকে ইসলামের দেওয়া উত্তরাধিকার নীতিমালা উপলব্ধি করে তা বাস্তবায়নের উদাত্ত আহবান জানান।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্জ নূরুল ইসলাম প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বিন হাবীব ও যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আবু হানীফ।
উল্লেখ্য যে, মুহতারাম আমীরে জামা‘আত তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গোবিন্দগঞ্জ টিএন্ডটি আহলেহাদীছ জামে মসজিদ সংলগ্ন জনাব আলহাজ্জ নূরুল ইসলাম প্রধানের বাসায় দুপুরে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। অতঃপর বাদ আছর তিনি টিএন্ডটি মসজিদে সমবেত মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন।
ইসলাম মানবতার একমাত্র মুক্তি সনদ
-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
কুষ্টিয়া-পূর্ব ১৯ মার্চ শনিবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ কুষ্টিয়া-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে শহরের পাবলিক লাইব্রেরী ময়দানে অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া-পূর্ব যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলাম স্বভাবধর্ম এবং শাশ্বত ও অপরিবর্তনীয় জীবনবিধান। যদি এর চিরন্তন বিধানকে আঁকড়ে ধরে চলা যায়, তাহ’লে তা মানবতার স্থায়ী মুক্তির সোপান রচনা করবে, যা কখনো বিনষ্ট হবার নয়। তিনি সকলকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক জীবন গঠনের মাধ্যমে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি হাছিলের আহবান জানান। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি কাযী মাওলানা আব্দুল ওয়াহ্হাবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, অর্থ-সম্পাদক জনাব বাহারুল ইসলাম, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডঃ এ.এস.এম. আযীযুল্লাহ, ডঃ মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘ’-এর বর্তমান কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন কুষ্টিয়া-পশ্চিম যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ গোলাম যিল কিবরিয়া।
অভ্রান্ত সত্যের চূড়ান্ত উৎস আল্লাহর অহি
- মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
দিনাজপুর-পূর্ব ২১ মার্চ সোমবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ দিনাজপুর-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে বিরামপুর থানাধীন শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় ময়দানে অনুষ্ঠিত দিনাজপুর-পূর্ব যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলাম ও জাহেলিয়াতের দ্বন্দ্ব চিরন্তন। ইসলামের মূল ভিত্তি হ’ল আল্লাহর ‘অহি’ তথা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ। আর জাহেলিয়াতের দাবী হ’ল Man-made theory যা এক কথায় মূর্খতা। বিশ্ব শান্তির সবচেয়ে বড় হুমকি হ’ল জাহেলিয়াত, যাকে দূর করার জন্য বিশ্ব শান্তির মহানায়ক মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে অহি-র বার্তাবাহক ও রহমাতুল লিল আলামীন হিসাবে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। তিনি কোন একক গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের নবী নন; বরং তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য জাহান্নামের ভয় প্রদর্শক, জান্নাতের সুসংবাদদাতা ও মহান শিক্ষক হিসাবে প্রেরিত হয়েছিলেন। এই মতবাদবিক্ষুব্ধ ও অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি আনতে চাইলে আমাদেরকে মূল ইসলামের দিকেই ফিরে যেতে হবে। তিনি সকলকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর প্রকৃত অনুসারী হওয়ার উদাত্ত আহবান জানান।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল হক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপড়া, রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ ও ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বিন হাবীব প্রমুখ।
আহলেহাদীছের মাদরাসাগুলিকে শিরক ও বিদ‘আত মুক্ত রাখুন
-শিক্ষক-ছাত্র-অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আমীরে জামা‘আত
মুকুন্দপুর ফাযিল মাদরাসা, বিরামপুর, দিনাজপুর : অদ্য ২২ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় মাদরাসা কক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, ১৯৫১ সালে এই মাদরাসা যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল ‘কুরআন ও হাদীছের প্রকৃত ইলমের প্রচার ও প্রসার ঘটানো এবং এ অঞ্চলকে শিরক ও বিদ‘আত হ’তে মুক্ত করা’। কিন্তু আজ সরকারী হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক দলাদলিতে আমাদের মাদরাসাগুলি অনেকাংশে তার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে। যদিও বাহ্যিক জৌলুস বেড়েছে। তিনি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতাদের মহান স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতি যত্নশীল থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
এর পূর্বে তিনি মাদরাসা কম্পাউন্ডে পৌঁছার সাথে সাথে মাঠে কর্মরত শতাধিক কর্মজীবী মানুষ এসে তাঁকে এক নযর দেখার জন্য ঘিরে ধরে। তখন তিনি বারান্দায় দাঁড়িয়ে তাদের উদ্দেশ্যে নাতিদীর্ঘ ভাষণ দেন। সেখানে তিনি বলেন, আপনারাই দেশের মূল সম্পদ। আপনাদের ঘাম ঝরনো শ্রমে মাঠে ফসল ফলে। দেশের উন্নয়ন হয়। আপনারা কেবল পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করুন, হালাল-হারাম বেছে চলুন, সকল কাজে আল্লাহকে ভয় করুন, রাসূলের ওয়াদা মতে ধনীদের পাঁচশ’ বছর পূর্বে আপনারা গরীবেরা জান্নাতে চলে যাবেন। তিনি তাদের সকলের সাথে মুছাফাহা করেন ও কুশল বিনিময় করেন।
অতঃপর তিনি দূরে অপেক্ষমান ছাত্রীদের নিকট গমন করেন ও তাদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, তোমরাই জাতির মা। তোমাদের হাতে গড়া পরিবারগুলি যেন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দুর্গ হয়ে গড়ে ওঠে, সে দায়িত্ব তোমাদের পালন করতে হবে এবং সেজন্য যথাযথ শিক্ষা লাভ অতীব যরূরী। তোমরা দ্বীনী ইলমে পারদর্শী হও, আমরা সেই দো‘আ করি।
সকল ভ্রান্ত আক্বীদা পরিহার করে ছহীহ আক্বীদায় ফিরে আসুন
- মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
দিনাজপুর-পশ্চিম ২২ মার্চ মঙ্গলবার : অদ্য বাদ আছর দিনাজপুর সদর থানাধীন তেঘরা দারুল হাদীছ সালাফিইয়াহ মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দিনাজপুর-পশ্চিম যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, মুমিন জীবনের মূল বিষয় হচ্ছে আক্বীদা। আক্বীদা ছহীহ না হ’লে আমল কোন কাজে আসবে না। আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, আল্লাহ নিরাকার নন বরং তাঁর আকার আছে। তবে তা কোন কিছুর সাথে তুলনীয় নয়। অনুরূপভাবে তাঁর সত্তা সর্বত্র বিরাজমান নয় বরং তিনি সাত আসমানের উপরে আরশে সমাসীন। তবে তাঁর জ্ঞান ও শক্তি সর্বত্র বিরাজমান। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নূরের তৈরী নন বরং তিনি মাটির তৈরী। তিনি আমাদের মতই একজন মানুষ। তবে পার্থক্য হ’ল তাঁর নিকটে ‘অহি’ অবতীর্ণ হ’ত (কাহফ ১১০)। তিনি বলেন, আল্লাহ মুখাপেক্ষীহীন। সৃষ্টিকে পরিচালনার জন্য মা‘রেফতীদের আবিষ্কৃত নাজীব, নাক্বীব, আবদাল, কুতুব, আওতাদ ও গাওছুল আযম সহ ৪৪১ জনের বিশাল পার্লামেন্টের সহযোগিতার কোন প্রয়োজন তাঁর নেই। তিনি পরকালে আল্লাহর দীদার লাভের জন্য শিরকবিমুক্ত নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাস এবং বিদ‘আত মুক্ত আমলে ছালেহ সম্পাদনের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মাদরাসার সভাপতি আলহাজ্জ আব্দুল্লাহিল কাফী-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রায্যাক বিন ইউসুফ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফ্ফর বিন মুহসিন।
উল্লেখ্য যে, সম্মেলনে যোগদানের পূর্বে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত যেলা সভাপতি ইদ্রীস আলী ও অন্যান্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী সাতভায়া পাড়া গ্রামে যান ও তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অতীব হিতাকাংখী মুরববী ও সহকর্মী প্রফেসর ডঃ আফতাব আহমাদ রহমানীর কবর যেয়ারত করেন। অতঃপর তিনি তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সাতভায়া পাড়া জামে মসজিদে গমন করেন ও সেখানে মাগরিব ও এশার ছালাত আদায় করেন। স্মর্তব্য যে, ১৯৮৪ সালের ১৯শে এপ্রিল ডঃ রহমানীর মৃত্যুর পর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত রাজশাহী থেকে তাঁর লাশ নিয়ে এসেছিলেন এবং এখানে তাঁর দাফন ও জানাযায় শরীক হয়েছিলেন। উক্ত জানাযায় ডঃ আব্দুল বারী, আব্দুল মতীন সালাফী, আতীকুর রহমান (বাজেট অফিসার, রাবি) যোগদান করেছিলেন। কিন্তু আজ তাঁরা সবাই মৃত। মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দো‘আ করেন।
লিবিয়ায় বিমান হামলা বর্বরোচিত ও মানবতাবিরোধী
-আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ
‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ও সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে লিবিয়ায় ‘অপারেশন ওডেসি ডন’ নামে পরিচালিত ইঙ্গ-মার্কিন বিমান হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে এ হামলা বর্বরোচিত ও চরম মানবতাবিরোধী। এ হামলার মাধ্যমে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি তাদের পূর্বের মুখোশ পুনরায় উন্মোচন করল। ইরাক ও আফগানিস্তানের মত তারা লিবিয়াকেও ধ্বংস করতে চায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলতঃ লিবিয়ার তেল সম্পদ লুণ্ঠন করাই এদের মূল টার্গেট। তারা বলেন, এ হামলা শুধু লিবিয়ার বিরুদ্ধে নয়, বরং এ হামলা মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে ও গোটা মানব সভ্যতার বিরুদ্ধে। তারা অবিলম্বে এই অন্যায় হামলা বন্ধ করার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
কুরআন বিরোধী আইন প্রণয়নের পরিণতি হবে আল্লাহর গযব ডেকে আনা
-আহলেহাদীছ আন্দোলন ও যুবসংঘ
‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীর ন্যায্য অধিকার ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। যা সমাজে যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তাঁরা বলেন, দেশের শতকরা ৯০ ভাগ নাগরিক মুসলমান। কুরআনের প্রতিটি বিধান তাদের কাছে শিরোধার্য। অথচ জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে সরকার একের পর এক গণবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। মুসলিম উত্তরাধিকারী আইন পরিপন্থী ‘সিডো’ বাস্তবায়ন, ফৎওয়া নিষিদ্ধকরণ, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও কুরআন বিরোধী নারীনীতি প্রণয়ন করে সরকার জনগণের আক্বীদা-বিশ্বাসের উপর চরমভাবে আঘাত হেনেছে। এটা এদেশের ইসলামপ্রিয় জনগণ মেনে নিতে পারে না। কুরআন বিরোধী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশ ও জাতির উপরে আল্লাহর গযব ডেকে আনা ছাড়া কিছুই নয় বলে তারা উল্লেখ করেন। তারা এসব কাজ থেকে ফিরে এসে জনস্বার্থে কাজ করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
মৃত্যু সংবাদ
(১) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ জয়পুরহাট যেলার অন্যতম উপদেষ্টা, ক্ষেতলাল থানাধীন তালশন গ্রামের জনাব আব্দুল মাজেদ (৮১) বার্ধক্যজনিত কারণে গত ৩রা মার্চ রবিবার দিবাগত রাত ১০-টায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে সহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। দুপুর ২-টায় নিজ গ্রাম তালশনে মাওলানা আবুল হোসাইনের ইমামতিতে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাহফূযুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। ঐ দিন সন্ধ্যা ৭-টায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
(২) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর ‘কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য’ ও রাজবাড়ী সাংগঠনিক যেলার সভাপতি জনাব মুহাম্মাদ আবুল কালাম আযাদ গত ৫ই মার্চ সকাল সোয়া ৮-টায় নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ঐদিন বিকাল সাড়ে ৪-টায় সত্যজিৎপুর মধ্যপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর বড় ছেলে আব্দুল্লাহর ইমামতিতে প্রথম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর বিকাল সাড়ে ৫-টায় মৈশালা দারুল উলূম দাখিল মাদরাসা ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীর প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব-এর ইমামতিতে তার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জানাযায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, কুষ্টিয়া-পূর্ব যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ হাশিমুদ্দীন ও যেলা যুবসংঘের সভাপতি আমীনুর রহমান ও অন্যান্যগণ, পাবনা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা বেলালুদ্দীন, মেহেরপুর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক তরীকুয্যামান, ঝিনাইদহ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাষ্টার ইয়াকূব হোসাইন ও দফতর সম্পাদক বরীউল ইসলাম, গাযীপুর যেলা ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র সভাপতি হাতেম বিন খসরু পারভেয প্রমুখ। তাঁকে মৈশালা গোরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, দাফন শেষে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত মৈশালা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে মাগরিবের ছালাত আদায় করেন এবং সমবেত মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করেন। এ সময় তিনি মসজিদ সুন্দর করার চেয়ে বরং মসজিদ আবাদ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। একই সময়ে রাজবাড়ী যেলা ‘আন্দোলন’-এর দায়িত্বশীলদের সাথে পৃথকভাবে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক নূরুল ইসলাম। তিনি তাদের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে জনাব মকবূল হোসাইনকে রাজবাড়ী যেলা ‘আন্দোলন’-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে যেলা কমিটি পুনর্গঠন করেন। অতঃপর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত উপস্থিত সকলের নিকট থেকে শারঈ আনুগত্যের বায়‘আত গ্রহণ করেন।