আব্দুল লতীফ ছিদ্দীকীকে বরখাস্ত করুন এবং অবিলম্বে ব্লাসফেমী আইন পাশ করুন!
-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
গত ২৯শে সেপ্টেম্বর বর্তমান সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতীফ ছিদ্দীকী মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ ‘হজ্জ’ পালন সম্পর্কে এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) সম্পর্কে যেসব কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব এক বিবৃতিতে বলেন, এই নাস্তিক্যবাদী আক্বীদা প্রকাশের কারণে তিনি ইসলাম থেকে খারিজ এবং ‘মুরতাদ’ হয়ে গেছেন। তিনি অনতিবিলম্বে মন্ত্রীসভা থেকে তাকে বরখাস্ত করার সাথে সাথে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। সেই সাথে আগামী সংসদ অধিবেশনে ‘ব্লাসফেমী’ আইন পাশের দাবী জানান। নইলে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হিসাবে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীকেই আল্লাহর নিকট কঠিন জওয়াবদিহীর সম্মুখীন হ’তে হবে। (বিবৃতিটি দৈনিক ইনকিলাব ৪ঠা নভেম্বর, ৫ম পৃঃ, ২য় কলামে এবং রাজশাহীর পত্রিকাসমূহে প্রকাশিত হয়)।
ডাকমন্ত্রী আব্দুল লতীফ ছিদ্দীকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি
ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ্জ ও আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে কটূক্তি করায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতীফ ছিদ্দীকীর বরখাস্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গত ১লা অক্টোবর ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নূরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিটি রাজশাহী যেলা প্রশাসকের বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলা হয় যে, আমরা গত ২৯শে সেপ্টেম্বর রোববার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতীফ ছিদ্দীকীর হজ্জ ও রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কিত ন্যাক্কারজনক বক্তব্য ‘আমি হজ্জ এবং তাবলিগের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যত বিরোধী তার থেকেও হজ্জ ও তাবলিগের বিরোধী। এ হজ্জে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজ্জের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গেছে। এদের কোনো কাম নেই। এরা কোন প্রডাকশন দিচ্ছে না। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে’ এবং হজ্জের শুরু প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ‘আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মাদ চিন্তা করল যে, জাযীরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তারা তো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করল যে, আমার অনুসারীরা প্রতি বছর একবার একসাথে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে’ (দৈনিক নয়াদিগন্ত ২৯,৯,১৪ ইং ও অন্যান্য পত্রিকা) -এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি যেমন মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনেছেন, তেমনি দেশের সংবিধান লংঘন করে রাষ্ট্রদ্রোহী তার অপরাধ করেছেন।
পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রের মন্ত্রীপরিষদের কোন সদস্যের এহেন ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য যেমন অনাকাংখিত ও অনভিপ্রেত তেমনি চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ। তার এই বক্তব্যে প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ইসলামের একটি ফরয ইবাদত এবং রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে কটূক্তির মাধ্যমে তিনি ‘মুরতাদ’ হয়ে গেছেন। অতএব আমরা ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত ও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের জোর আবেদন জানাচ্ছি।
আসুন! আমরা আল্লাহকে ভয় করি!
-ঈদুল আযহার খুৎবায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
রাজশাহী ৬ই অক্টোবর সোমবার : অদ্য সকাল ৭-টায় রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়াস্থ আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী কমপ্লেক্স ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল আযহার খুৎবায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সমবেত মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, ঈদ হ’ল আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণার দিন। এজন্য এদিন বারবার সোচ্চার কণ্ঠে তাকবীর পড়তে হয়। কিন্তু আমরা আল্লাহর বড়ত্বের সামনে নিজেদের আমিত্বকে কুরবানী দিতে পারিনি। আমরা আজও মুক্বীম অবস্থায় ভাগা কুরবানীর অশুদ্ধ প্রথা ছেড়ে পরিবারের পক্ষে একটি পশু কুরবানীর এলাহী বিধানের কাছে মাথা নত করিনি। আমরা আজও ৬ তাকবীরের ভিত্তিহীন প্রথা ছেড়ে ১২ তাকবীরের বিশুদ্ধ সুন্নাতকে মেনে নিতে পারিনি। মা-বোনদেরকে ঈদগাহে আনতে পারিনি। আমাদের অনেকে মক্কার সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশে ছিয়াম ও ঈদ করার নতুন নেশা ছাড়তে পারিনি। তিনি বলেন, পিতা ইবরাহীম যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজ হাতে পুত্র কুরবানী দিয়েছিলেন, আসুন আমরা তাঁর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের সবকিছুকে কুরবানী দেই। সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করি।
উল্লেখ্য যে, ছহীহ হাদীছের নির্দেশনা অনুযায়ী সূর্যোদয়ের পরপরই যথাসময়ে ঈদের জামা‘আত অনুষ্ঠিত হওয়ায় অধিক নেকীর আশায় বিগত বছরের তুলনায় এ বছরে মুছল্লী সংখ্যা ছিল অনেক বেশী। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ ময়দানে মহিলাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা ছিল। বিপুল সংখ্যক মা-বোন উক্ত ঈদের জামা‘আতে শরীক হন।
সুধী সমাবেশ
এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ ২৬শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার : অদ্য বেলা ১০-টায় যেলার এনায়েতপুর থানাধীন খোকশাবাড়ী দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ মুর্তাযার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ও ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল মতীন ও যেলা ‘সোনামণি’ পরিচালক আব্দুল মুমিন। অনুষ্ঠানে মুহাম্মাদ শামীম আহমাদকে সভাপতি ও মুহাম্মাদ ওয়াসীমকে সাধারণ সম্পাদক করে ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ সিরাজগঞ্জ যেলা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক জনাব আলতাফ হোসাইন।
কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্মেলন ও নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
রাজশাহী ২৮শে আগস্ট বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ মাগরিব ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য সম্মেলন রাজশাহী মহাগরীর নওদাপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন বাদ মাগরিব শুরু হয়ে রাত ১২-টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। পরদিন সকাল ১০-টায় মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ মসজিদে সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর ও যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম। সমবেত কাউন্সিল সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে সমাজ সংস্কারের কঠিন ব্রত নিয়ে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। আজও সে তার অভীষ্ট লক্ষ্য পথে এগিয়ে চলেছে দৃঢ় পদক্ষেপে। ইবরাহীমী নির্দেশনা ও ইসমাঈলী কুরবানী ব্যতীত সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়। তোমাদের নেতৃত্বে এ দেশের তরুণ সমাজ সেই কুরবানীতে উদ্বুদ্ধ হৌক, আল্লাহর নিকট আমরা সেই প্রার্থনা করি।
অনুষ্ঠানে ২০১৪-১৬ সেশনের জন্য ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। নবগঠিত কমিটি নিম্নরূপ:
দায়িত্ব | নাম | শিক্ষাগত যোগ্যতা | যেলা |
সভাপতি | আব্দুর রশীদ আখতার | কামিল | কু©র্ষ্টয়া |
সহ-সভাপতি | জামীলুর রহমান | এম.এ | কুমিল্লা |
সাধারণ সম্পাদক | আরীফুল ইসলাম | এম.এ | চাঁপাই নবাবগঞ্জ |
সাংগঠনিক সম্পাদক | মুস্তাক্বীম আহমাদ | বি.এ | রাজশাহী |
অর্থ সম্পাদক | আব্দুর রাকীব | বি.এস.এস (৪র্থ বর্ষ) | সাতক্ষীরা |
প্রচার সম্পাদক | মুখতারুল ইসলাম | এম.এ, কামিল | রাজশাহী |
প্রশিক্ষণ সম্পাদক | আব্দুল্লাহিল কাফী | এম.এ, কামিল | রাজশাহী |
তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক | আব্দুল্লাহ আল-মামূন | বি.এ (অনার্স), ২য় বর্ষ | গাইবান্ধা |
সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক | আবুল বাশার আব্দুল্লাহ | কামিল | মেহেরপুর |
সমাজকল্যাণ সম্পাদক | কাযী আব্দুল্লাহ শাহীন | এম.এ ও কামিল | সাতক্ষীরা |
দফতর সম্পাদক | বেলাল হোসাইন | এস.এস.সি. | কুমিল্লা |
যেলা কমিটি সমূহ পুনর্গঠন
রাজশাহী-পশ্চিম ২৪শে সেপ্টেম্বর বুধবার : অদ্য বাদ আছর আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী পূর্বপার্শ্বস্থ ভবনে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ রাজশাহী-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে বর্তমান সেশনের যেলা কমিটি পুনর্গঠন উপলক্ষে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সভাপতি মুস্তাক্বীম আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর ও যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাফী ও দফতর সম্পাদক বেলাল হোসাইন। সভায় মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলামকে সভাপতি ও মুহাম্মাদ রেযাউল করীমকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী-পশ্চিম যেলা ‘যুবসংঘ’-এর ২০১৪-১৬ সেশনের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
রাজশাহী-পূর্ব ২৬শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার : অদ্য বাদ আছর ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ রাজশাহী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর পূর্বপার্শ্বস্থ ভবনে যেলা কমিটি পুনর্গঠন উপলক্ষে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ডা. ইদরীস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর ও যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাফী ও দফতর সম্পাদক বেলাল হোসাইন। সভায় আব্দুর রহমান (চারঘাট)-কে সভাপতি ও যিল্লুর রহমান (বাগমারা)-কে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী-পূর্ব যেলা ‘যুবসংঘ’-এর কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। একই সভায় মুহাম্মাদ আশিকুর রহমানকে সভাপতি ও নাজিদুল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী মহানগর ‘যুবসংঘ’-এর কমিটি এবং মুহাম্মাদ রবীউল ইসলামকে সভাপতি ও আজমাল হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী কলেজ শাখা ‘যুবসংঘ’-এর কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
কুষ্টিয়া-পূর্ব ২৬শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার : অদ্য বাদ জুম‘আ ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ কুষ্টিয়া-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে নন্দলালপুরে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাষ্টার হাশীমুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার আব্দুল্লাহ। সভায় মুহাম্মাদ এনামুল হককে সভাপতি ও তুহিন রেযাকে সাধারণ সম্পাদক করে কুষ্টিয়া-পূর্ব যেলা ‘যুবসংঘ’-এর বর্তমান সেশনের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
কুষ্টিয়া-পশ্চিম ১লা অক্টোবর বুধবার : অদ্য বাদ যোহর যেলার দৌলতপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ কুষ্টিয়া-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ গোলাম যিল-কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার আব্দুল্লাহ। অনুষ্ঠানে মুহাম্মাদ আব্দুল গাফফারকে সভাপতি ও আশিকুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কুষ্টিয়া-পশ্চিম যেলা ‘যুবসংঘ’-এর কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
মেহেরপুর ২রা অক্টোবর বৃহস্পতিবার : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলার গাংণী থানাধীন বামুন্দী বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ মেহেরপুর যেলার উদ্যোগে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ হাসানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার আব্দুল্লাহ। অনুষ্ঠানে মুহাম্মাদ মুনীরুল ইসলামকে সভাপতি ও আওরঙ্গযেবকে সাধারণ সম্পাদক করে মেহেরপুর যেলা ‘যুবসংঘ’-এর বর্তমান সেশনের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
রাজবাড়ী ৪ঠা অক্টোবর শনিবার : অদ্য বাদ যোহর যেলার পাংশা থানাধীন মৈশালা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ রাজবাড়ী যেলার উদ্যোগে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা মাকবূল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার আব্দুল্লাহ। অনুষ্ঠানে আব্দুল আউয়ালকে সভাপতি ও যাকারিয়া খানকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজবাড়ী যেলা ‘যুবসংঘ’-এর বর্তমান সেশনের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
ঝিনাইদহ ৮ই অক্টোবর বুধবার : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলার সদর থানাধীন ডাকবাংলা বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ ঝিনাইদহ যেলার উদ্যোগে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাষ্টার ইয়াকূব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার আব্দুল্লাহ। অনুষ্ঠানে মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ মিলনকে সভাপতি ও মুহাম্মাদ মুনীরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ঝিনাইদহ যেলা ‘যুবসংঘ’-এর কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
প্রশিক্ষণ
সলঙ্গা, সিরাজগঞ্জ ২৫শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ মাগরিব সিরাজগঞ্জ যেলার সলঙ্গা থানাধীন কাচিয়ার চর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ সিরাজগঞ্জ যেলার উদ্যোগে এক কর্মী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ মুর্তাযা। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল মতীন, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ শামীম আহমাদ ও মুরাদপুর ফাযিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবুবকর ছিদ্দীক প্রমুখ।
নবনির্মিত আহলেহাদীছ জামে মসজিদ পুড়িয়ে দিল!
নাটোর, ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার : যেলার সদর থানাধীন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে নবনির্মিত একটি আহলেহাদীছ জামে মসজিদ গত ৯ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০-টায় হানাফী জামা‘আতের স্থানীয় কতিপয় উচ্ছৃংখল যুবক ও মুছল্লী অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে প্রথমে ভাংচুর করে এবং পরে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময়ে তারা মসজিদে সংরক্ষিত একাধিক কুরআন ও হাদীছের কিতাব সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ বই-পুস্তক, মসজিদের কার্পেট, টিউবওয়েল ইত্যাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়। নতুন মসজিদের মুছল্লীদের অভিযোগ, স্থানীয় ৭ নং তেবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারূকের ইঙ্গিতে মসজিদ পোড়ানো হয়েছে। কেননা তিনি শুরু থেকেই নতুন আহলেহাদীছদের বিরুদ্ধে নানাভাবে বিষোদ্গার করে আসছিলেন। একই দিনে ঘটনার পূর্ব মুহূর্তে ঐ গ্রামে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রদত্ত উত্তেজনাকর বক্তব্যের পরেই এই ন্যক্কারজনক ও লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে। প্রথমে মাত্র ৫ জন, অতঃপর সেখান থেকে বর্তমানে ৩০ ঘর লোক আহলেহাদীছ হওয়ায় এবং হকের পথের অনুসারীদের সংখ্যা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পেতে থাকায় ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে এরা আল্লাহর ঘর পুড়ানোর মত এই বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটিয়েছে। অবশ্য চেয়ারম্যান ওমর ফারূক ও হানাফী মুছল্লীদের দাবী নতুন মসজিদ থেকে হানাফী জামা‘আতের বিরুদ্ধে এবং তাদের হজ্জকে আর্থিক অপব্যয় উল্লেখ করে জনৈক ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দীন আহমাদের আপত্তিকর লিফলেট বিতরণ করার কারণে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহলেহাদীছ মুছল্লীগণ উক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিজেদের অপকর্ম ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লিফলেট ইস্যুটিকে সামনে আনা হয়েছে। মূলতঃ পরিকল্পিতভাবেই মসজিদটি ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনাটি যেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হ’লে যেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন, পুলিশ সুপার বাসুদেব বণিক ও সদর থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম খান তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে যান এবং পরদিন শুক্রবার সদর উপযেলা চেয়ারম্যান শরীফুল ইসলাম রমযান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন এবং এ বিষয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।
অতঃপর উক্ত ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সদর উপযেলা চেয়ারম্যান জনাব শরীফুল ইসলাম রমযান গত ১২ তারিখ রবিবার সকালে উভয় পক্ষকে তাঁর কার্যালয়ে আহবান করেন। সে মোতাবেক উভয় পক্ষ উপস্থিত হলে উপযেলা চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে দুপুর সাড়ে বারোটায় উপযেলা হল রুমে সালিশী বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, নাটোর যেলা সভাপতি ড. মুহাম্মাদ আলী ও কর্মপরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, রাজশাহী মহানগর ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুবীনুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সালিশে দীর্ঘ আলোচনা-পর্যালোচনার পর এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কারো বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও আক্রমণাত্মক ভাষায় লিখিত এবং কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এজাতীয় কোন লিফলেট বিতরণ করা যাবে না। মসজিদ ভাঙ্গা নিঃসন্দেহে ন্যক্কারজনক ও গর্হিত কর্ম উল্লেখ করতঃ দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় কর্মে লিপ্ত না হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। সেই সাথে উক্ত গ্রামের আহলেহাদীছগণ ইচ্ছা করলে তাদের সমাজের পুরাতন হানাফী মসজিদে ছালাত আদায় করতে পারবেন। এতে কেউ তাদেরকে কোনরূপ বাধা প্রদান করতে পারবে না। অথবা তারা পৃথক স্থানে মসজিদ নির্মাণ করেও ছালাত আদায় করতে পারবেন। এতেও কারো কোন আপত্তি থাকবে না বলে নিশ্চিত করা হয়। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বৈঠক চলে। অতঃপর বৈঠক ভঙ্গের দো‘আ পাঠের মাধ্যমে বৈঠক শেষ হয়।
উল্লেখ্য যে, নতুন আহলেহাদীছ মুছল্লীগণকে গ্রামের পুরাতন মসজিদে যেতে নিষেধ করলে এবং নানা ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করলে দীর্ঘদিন বাড়ীতে ছালাত আদায়ের পর তারা বাধ্য হয়ে পৃথক স্থানে নিজস্ব জায়গায় টিন, কাঠ ও বাঁশ দ্বারা এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। গত ১৬ জুলাই ১৭ রামাযান বুধবার মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়।
প্রবাসী সংবাদ
দাম্মাম, সঊদী আরব ৪ঠা অক্টোবর শনিবার : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ দাম্মাম শাখার উদ্যোগে শহরের নাখিল এলাকায় গত ৪ঠা অক্টোবর শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহার দিন বাদ মাগরিব এক কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দাম্মাম শাখা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব আব্দুল খালেক (নাটোর)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ সঊদী আরব শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও আযীযিয়া ইসলামিক সেন্টার, রিয়াদের দাঈ শায়খ আব্দুল বারী (রাজশাহী)। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন, মুহাম্মাদ যহীরুদ্দীন (কিশোরগঞ্জ), আব্দুর রহমান (কুমিল্লা), ফখরুল ইসলাম (কুমিল্লা), সেলিম (কুমিল্লা), আব্দুল্লাহ মুন্না (কুমিল্লা), আফসারুদ্দীন (ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া), মীযানুর রহমান (লক্ষ্মীপুর), আশরাফুল ইসলাম (টাংগাইল), হাবীবুর রহমান (ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া), বশীরুদ্দীন (গোপালগঞ্জ) ও শাহজাহান (চট্রগাম) প্রমুখ। জাগরণী পরিবেশন করেন কামাল আহমাদ (নারায়ণগঞ্জ)। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন দাম্মাম শাখার অর্থ সম্পাদক জনাব আবদুল্লাহ আল-মামূন (বরগুণা)।
সিঙ্গাপুর ৫ অক্টোবর রবিবার : অদ্য সকাল ১০-টায় ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সিংঙ্গাপুর শাখার উদ্যোগে সিংঙ্গাপুর কেন্দ্রীয় সুলতান জামে মসজিদে দিন ব্যাপী তাবলীগী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। সিংঙ্গাপুর শাখা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি আব্দুল হালীম (কুমিল্লা)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত তাবলীগী ইজতেমায় দরসে হাদীছ পেশ করেন মো‘আয্যম হোসেন (বগুড়া)। অতঃপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন (১) আব্দুল কাদের (কুমিল্লা) (২) মিল্লাত হোসাইন (মুন্সীগঞ্জ) (৩) ইমদাদুল হক (গাইবান্ধা) (৪) মো‘আয্যম হোসেন (বগুড়া) (৫) আব্দুল কুদ্দূস (পাবনা)। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন যেলার মোট ১৮ জন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ভাই ছহীহ আক্বীদা গ্রহণ করে আহলেহাদীছ হন। ফালিল্লাহিল হাম্দ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন আব্দুল মুকীত (কুষ্টিয়া)।
‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর গবেষণা সহকারী নূরুল ইসলাম-এর স্বর্ণপদক লাভ
‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর গবেষণা সহকারী এবং আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর শিক্ষক নূরুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে ২০০৬ সালের (অনুষ্ঠিত ২০০৭) বি.এ (অনার্স) পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক নম্বর পেয়ে কলা অনুষদে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করায় ‘অগ্রণী ব্যাংক স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। গত ১০ই সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১-টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত কৃতী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ-এর নিকট থেকে তিনি স্বর্ণপদক ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, একই বিভাগ থেকে ২০০৭ সালের (অনুষ্ঠিত ২০০৯) এম.এ পরীক্ষাতেও তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি সকলের নিকট দো‘আ প্রার্থী।