গাদ্দাফী : জিরো থেকে হিরো

মু‘আম্মার বিন মুহাম্মাদ আল-ক্বাযযাফী ওরফে গাদ্দাফী ১৯৪২ খৃষ্টাব্দে লিবিয়ার সির্ত শহরের নিকটবর্তী মরুভূমিতে এক সাধারণ বেদুঈন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে বেনগাযীতে অবস্থিত লিবীয় মিলিটারী একাডেমীতে ক্যাডেট হিসাবে তিনি ভর্তি হন। এখান থেকেই ১৯৬৫-৬৬ সালে তিনি গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য লিবীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে ইংল্যান্ডের স্যান্ডহার্স্ট রয়াল মিলিটারী একাডেমীতে পাঠানো হয়। ১৯৬৭ সালে যৌথ আরব বাহিনীর  বিরুদ্ধে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাঈলের সহজ বিজয়ে চরম অপমানিত বোধ করেন গাদ্দাফী এবং তখন থেকেই চরম জাতীয়তাবাদী মনোভাবাপন্ন হয়ে পড়েন। ১৯৬৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ভ্রাতুষ্পুত্র যুবরাজ সাঈদ হাসানের হাতে অস্থায়ীভাবে ক্ষমতা দিয়ে বিদেশে সফরে যান লিবিয়ার শাসক রাজা ইদ্রীস। সুযোগ বুঝে গাদ্দাফীর নেতৃত্বে একদল জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা যুবরাজ সাঈদকে গৃহবন্দী করেন এবং রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। রাজতন্ত্র থেকে লিবিয়াকে প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা দেন গাদ্দাফী। ১৯৭০ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদবী গ্রহণ করেন। কিন্তু ১৯৭২ সালে তা প্রত্যাহার করে নেন। এরপর ক্যাপ্টেন থেকে নিজের সেনা পদবী কর্ণেল পদে উন্নীত করেন।

২০০৯ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য প্রথমবারের মতো তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং এ অধিবেশনে ১৫ মিনিটের স্থলে দেড় ঘণ্টা ভাষণ দেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘের সংবিধান ছিঁড়ে ফেলেন এবং নিরাপত্তা পরিষদকে ‘সর্ববৃহৎ সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে তাচ্ছিল্য করেন।

গাদ্দাফী বিরোধী গণআন্দোলন : গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে পশ্চিমা ইন্ধনে গণআন্দোলন শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১১। বিক্ষোভ দিয়ে শুরু হ’লেও গাদ্দাফীর কঠোর দমন-পীড়নের ফলশ্রুতিতে ক্রমেই তা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের রূপ পরিগ্রহ করে। এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ১৭ মার্চ গাদ্দাফীর অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার নামে লিবিয়ায় ‘নো ফ্লাই জোন’ (বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা) প্রতিষ্ঠা করে এবং সেখানে ‘ন্যাটো’কে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঐ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ১৯ মার্চ সেখানে  বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে পশ্চিমা যৌথবাহিনী। অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন অডিসি ডন’। পরবর্তীতে ন্যাটোর  নেতৃত্বে হামলা চলতে থাকে। ২০ আগষ্ট থেকে ন্যাটো বাহিনীর সামরিক সহায়তা নিয়ে সরকারবিরোধী যোদ্ধারা ত্রিপোলীতে ‘অপারেশন মারমেইড ডন’ শুরু করে। বিদ্রোহী ‘ন্যাশনাল ট্রাঞ্জিশনাল কাউন্সিল’ (এনটিসি)-এর যোদ্ধাদের হামলা এবং ন্যাটো বাহিনীর একতরফা বিমান হামলার মুখে গত ২২ আগষ্ট রাজধানী ত্রিপোলীর দখল হারান গাদ্দাফী। অতঃপর ২০শে অক্টোবর স্বীয় জন্মস্থান সির্ত শহরে তিনি নিহত হন। এভাবেই লিবিয়ায় দীর্ঘ ৪২ বছরের গাদ্দাফী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।

গাদ্দাফীর ‘অষ্টম আশ্চর্য’: লিবিয়াবাসীর জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সমগ্র লিবিয়াজুড়ে গাদ্দাফী যে ভূ-গর্ভস্থ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক নির্মাণ করেছিলেন তা পরিচিতি পেয়েছে ‘মনুষ্যনির্মিত বিশাল ভূগর্ভনদী’ নামে। বিশ্বের বৃহত্তম এই প্রকল্পটিকে খোদ গাদ্দাফী গর্ব করে বলতেন, ‘পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য’। সির্ত, ত্রিপোলী, বেনগাযীসহ লিবিয়ার অন্যান্য মরু অঞ্চলে খাবার পানি সরবরাহ ও সেচ কাজের জন্য লিবিয়াজুড়ে ২,৮৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূগর্ভস্থ পাইপের নেটওয়ার্ক নির্মিত হয়েছে এ প্রকল্পটিতে। ইতিহাসে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় এই পাইপলাইনে আছে এক হাযার ৩০০-রও বেশি কুয়া, যেগুলোর বেশিরভাগই ৫০০ মিটারেরও বেশি গভীর। এখনো লিবিয়াতে প্রতিদিন ৬৫ হাযার ঘনলিটার বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দিচ্ছে গাদ্দাফির এ অষ্টম আশ্চর্য প্রকল্প।

১৯৫৩ সালে লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে তেল অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিশালায়তনের এক ভূগর্ভস্থ জলাধারের খোঁজ পাওয়া যায়। ১৯৬০ সালের শেষে ৪০ হাযার বছরের পুরনো এই জলাধার থেকে ‘বিশাল মনুষ্যনির্মিত নদী প্রকল্প’ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়। তবে বাস্তবে কাজ শুরু হতে হতে অতিক্রান্ত হয় আরও ২৪ বছর। ১৯৮৩ সালে লিবিয়ার কংগ্রেসে এ প্রকল্প প্রস্তাবটি পাস হয়। এক বছর পরে সারির এলাকায় নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গাদ্দাফী। কোন প্রকার বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান ছাড়াই পুরোপুরি নিজস্ব অর্থায়নে বিশাল এই কর্মযজ্ঞের নকশা প্রণয়ন করেন মার্কিন প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান ব্রাউন অ্যান্ড রুট ও প্রাইস ব্রাদার্স। পুরো প্রকল্পটি সফলভাবে শেষ করার জন্য খরচ হয়েছিল ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ।

গাদ্দাফীর শেষ কথা : ‘তোমরা যা করছ তা ভুল। তোমরা কি জান না, কোনটি সঠিক আর কোনটি ভুল’? গত ২০শে অক্টোবর সকালে এনটিসির যোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ার পর তাদের উদ্দেশ্যে এ কথাই বলেছিলেন মু‘আম্মার আল-ক্বাযযাফী।

গাদ্দাফীর অছিয়ত : ‘এটি আমার অছিয়ত। আমি মু‘আম্মার বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দুস সালাম আল-ক্বাযযাফী এই মর্মে শপথ করছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হৌক!

আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমি একজন মুসলিম হিসাবে মৃত্যুবরণ করব। যদি আমি নিহত হই, তাহ’লে আমি মুসলিম রীতি অনুযায়ী সমাধিস্থ হতে চাই আমার মৃত্যুকালীন পোষাকে গোসল না করা অবস্থায় (আমার জন্মস্থান) সির্তের পারিবারিক গোরস্থানে। আমি চাই যে, আমার মৃত্যুর পরে আমার পরিবার বিশেষ করে নারী ও শিশুদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করা হবে। লিবীয় জনগণ যেন এর ঐক্য, উন্নতি, ইতিহাস এবং তাদের পূর্বপুরুষ ও বীরদের ভাবমূর্তি রক্ষা করে। লিবীয় জনগণের উচিৎ হবে না তাদের স্বাধীন ও সর্বোত্তম ব্যক্তিদের উৎসর্গ সমূহকে বর্জন করা। আমি আমার সমর্থকদের আহবান জানাচ্ছি, লিবিয়ার উপর বিদেশী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ, কাল ও সর্বদা প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য। বিশ্বের স্বাধীন মানুষেরা জেনে নিক যে, আমরা আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল জীবনের জন্য সবকিছু কুরবানী দিতে পারি। আমরা এর বিনিময়ে অনেক কিছুর প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কর্তব্য ও সম্মানের প্রতীক হিসাবে সম্মুখভাগে থেকে মুকাবিলার পথকে বেছে নিয়েছিলাম।. এখুনি যদি আমরা জিততে নাও পারি, তবুও আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য একটি শিক্ষা রেখে যাব যে, জাতিকে রক্ষা করা হ’ল সম্মানজনক কাজ এবং একে বিক্রি করে দেওয়া হ’ল সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। ইতিহাস চিরদিন তাদের স্মরণ করবে, অন্যেরা তোমাদের যেভাবে বলার চেষ্টা করুক না কেন’।

(২৫ শে অক্টোবর ২০১১ বিবিসি কর্তৃক আরবী হ’তে ইংরেজীতে অনুবাদ। সেখান থেকে বাংলায় অনূদিত)

গাদ্দাফীবিহীন লিবিয়ায় হামলে পড়েছে পশ্চিমা ব্যবসায়ীরা : গাদ্দাফী নিহত হওয়ার একদিন পর (২১ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অবশ্যই আমি চাই ব্রিটিশ কোম্পানীগুলি আজই রওনা দিক ত্রিপোলির দিকে। লিবিয়ার পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের এখনই সুটকেস গুটিয়ে লিবিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাওয়া উচিত’। তাছাড়া গাদ্দাফী নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের ৮০টি কোম্পানীর এক প্রতিনিধিদল এনটিসি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে। এদিকে প্রাথমিক এক অনুমানের ভিত্তিতে দেখা গেছে, লিবিয়ার পুনর্গঠনে বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানগুলো কমপক্ষে ১৩ হাযার কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ উপার্জন করবে। উল্লেখ্য, সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ব্রিটিশ কোম্পানীগুলো তিন বছরের মধ্যে ইরাক পুনর্গঠনের নামে কয়েকশত হাযার কোটি ডলার ব্যবসা করে নেয়। তাছাড়া লিবিয়াতে ফেব্রুয়ারীতে অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার আগে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা লিবিয়া থেকে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছিল। সঙ্গতকারণেই ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা, নির্মাণ এবং অবকাঠামো নির্মাণ কোম্পানীগুলো ইরাক ও আফগানিস্তানের সম্পদ লুট করে এবার লিবিয়া লুটের অভিযানে ক্ষুধার্ত নেকড়ের ন্যায় হামলে পড়েছে।

গাদ্দাফীপুত্র সাইফ গ্রেফতার : গাদ্দাফীর পলাতক ২য় পুত্র সাইফুল ইসলামকে গত ১৮ই নভেম্বর শুক্রবার রাত দেড়টায় লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় ওবারি শহরের নিকটবর্তী মরুভূমি থেকে কয়েকজন দেহরক্ষীসহ গ্রেফতার করা হয়। তিনি তখন প্রতিবেশী দেশ নাইজারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আটকের পর তাকে জিনতান শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। সংস্থাটি তাদের কাছে সাইফকে হস্তান্তরের দাবী জানালেও লিবিয়ার অন্তর্বর্তী জাতীয় পরিষদ বলেছে, সাইফের বিচার লিবিয়ার মাটিতেই হবে। এদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, গত ২০শে নভেম্বর গাদ্দাফীর পলাতক গোয়েন্দা প্রধান আব্দুল্লাহ সনৌসিকে দক্ষিণের আল-গৌর এলাকার সাবহা শহরে তার বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লিবিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হ’লেন আব্দুর রহীম : ত্রিপোলী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুর রহীম আল-কাইব লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ তথা এনটিসি তাকে নির্বাচিত করে। গত ৩১ অক্টোবর সোমবার এনটিসির ৫১ সদস্যের মধ্যে আব্দুর রহীম ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন প্রার্থী।

‘আরব বসন্ত’ গণ-আন্দোলনে ক্ষতি সাড়ে পাঁচ হাযার কোটি ডলার

চলতি বছর উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ‘আরব বসন্ত’ গণ-আন্দোলনে অঞ্চলটির ক্ষতি হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাযার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। ব্রিটেনভিত্তিক পরামর্শক গোষ্ঠী ‘জিওপলিসি’ নামের একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসর, সিরিয়া, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেনের  গণ-আন্দোলনের ফলে মোট দেশজ উৎপাদনের ক্ষতি হয়েছে দুই হাযার ৫৬ কোটি ডলার। আর এসব দেশের সরকার রাজস্ব ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে তিন হাযার ৫২৮ কোটি ডলারের। মিসর, সিরিয়া ও লিবিয়ার সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ইয়েমেনে চলমান আন্দোলন ও লিবিয়ায় সরকার পতনের ফলে জনগণের ব্যয়ের পরিমাণের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও কমে গেছে। ইয়েমেনে রাজস্ব কমেছে ৭৭ শতাংশ এবং লিবিয়ায় ৮৪ শতাংশ। মানুষের মৃত্যু, অবকাঠামো ধ্বংস, ক্ষতি এবং ব্যবসা ও বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষতি এ হিসাবের বাইরে।

পাকিস্তান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত

পাকিস্তান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর ১৯৩ ভোটের মধ্যে ১২৯ ভোট পেয়ে দেশটি এই পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। পাকিস্তানের এই অস্থায়ী সদস্যপদ থাকবে আগামী ১ জানুয়ারী থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ভারতও এ মর্যাদা পেয়েছে।

ইউনেস্কোর পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করল ফিলিস্তীন

ইসরাঈল ও যুক্তরাষ্ট্রের সকল আপত্তি অগ্রাহ্য করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ফিলিস্তীনকে পূর্ণ সদস্যপদ দিয়েছে। এর মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা পাওয়ার পথে ফিলিস্তীন আরো একধাপ এগিয়ে গেল। গত ৩১ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ফিলিস্তীনের পক্ষে ১৭০টি দেশ ভোট দেয়, বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪টি। ৫২টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের কোন সংস্থার প্রথম পূর্ণ সদস্য হ’ল ফিলিস্তীন। উল্লেখ্য, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে আবেদন করে ফিলিস্তীন। এদিকে ফিলিস্তীনকে ইউনেস্কোর পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ইউনেস্কোতে কোন দেশের ভেটো ক্ষমতা নেই।






মুসলিম জাহান
বিশ্বের ৫৫ দেশে ইসলাম প্রচারকারী তুরস্কের বিশিষ্ট আলেম শায়খ নে‘মাতুল্লাহর মৃত্যু
মারাত্মক ক্ষতিকারক পঙ্গপালকে যেভাবে উপকারে লাগাচ্ছে পাকিস্তান
ইস্রাঈলী অবৈধ বসতকারীরা যুদ্ধাপরাধ করছে
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ নির্মিত হচ্ছে আলজেরিয়ায়
চরমপন্থীদের কারণে পাকিস্তানের ক্ষতি ১০ হাযার ৭শ কোটি ডলার
তিন বছর বয়সে কুরআন মুখস্থ করেছে মুহাম্মাদ
মদীনার গবেষকরা করোনা চিকিৎসায় সফল!
গাযার ৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাঈল
শিক্ষা সিলেবাসে ইমাম নববীর ৪০ হাদীছ অন্তর্ভুক্ত করল মালয়েশিয়া
ইস্রাঈলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে
আল-আক্বছা মসজিদ প্রাঙ্গণ খোলার ঘোষণা ওয়াক্ফ কাউন্সিলের
আরও
আরও
.