ফ্রান্সের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী দিয়ামসের ইসলাম গ্রহণ 

ফ্রান্সের প্রখ্যাত সঙ্গীত-শিল্পী দিয়ামস ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি ইসলাম গ্রহণের পাশাপাশি হিজাবও পরছেন। দিয়ামস লিখেছেন, ‘সঙ্গীত নিয়ে সাফল্যের চূড়ায় ওঠার পরও আমি নানা ধরনের হতাশায় ভুগছিলাম এবং এ পরিস্থিতিতে আমি বহু মনোচিকিৎসকের কাছে যাই। কিন্তু তাদের কেউই আমাকে সাহায্য করতে পারেননি’। এ অবস্থায় তিনি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও ছালাত আদায়ের মাধ্যমে হতাশা দূর করতে সক্ষম হন। তার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করে। 

ফিলিপাইনের ঘোষণা : মরো মুসলিম গেরিলাদের সঙ্গে শিগগির চুক্তি 

ফিলিপাইন সরকার বলেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মরো ইসলামিক গেরিলাদের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি হবে। ঐতিহাসিক রোডম্যাপের আওতায় এ চুক্তি হবে যার ফলে গত কয়েক দশকের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার অবসান হবে বলেও উল্লেখ করেছে ম্যানিলা। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্টের গেরিলা নেতাদের সঙ্গে এক শান্তি বৈঠকের পর ম্যানিলা এ কথা ঘোষণা করে। ফিলিপাইন সরকারের হিসাব মতে, এ সহিংসতায় এ পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষ মারা গেছে। সমঝোতা অনুযায়ী, মিন্দানাওয়ে একটি একটি স্বায়ত্বশাসিত এলাকা প্রতিষ্ঠিত হবে যার নতুন নাম হবে বাঙ্গসামরো। উল্লেখ্য যে, মিন্দানওয়ের মুসলিম জনগোষ্ঠী প্রধানত মরো জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। 

আফগানিস্তানে নিহত মার্কিন সৈন্যসংখ্যা ২০০০-এ উন্নীত 

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা ২০০০-এ দাঁড়িয়েছে। ১১ বছর ধরে চলা এ সংঘাতে মার্কিন সেনাদের পাশাপাশি ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সদস্য অন্যান্য দেশের আরো এক হাজার ১৯০ জন সেনা নিহত হয়েছে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনাম যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮ হাযার ১৩৮ ও ইরাকে চার হাযার ৪৮৩ সৈন্য নিহত হয়েছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিহত সেনাদের ৩০.৬% প্রাণ হারিয়েছে মিত্র আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হামলায়। এছাড়া জাতিসংঘের হিসাবে গত পাঁচ বছরে আফগানিস্তানে মোট ১৩ হাযার ৪৩১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। 

হাইতিতে ইসলাম ধর্মের বিস্ময়কর প্রসার ঘটছে 

ক্যারিবিয়ান দ্বীপ দেশ হাইতিতে পবিত্র ইসলাম ধর্মের দ্রুত প্রসার ঘটছে। এ অঞ্চলের অনেক নিগৃহীত মানুষ এখন স্বেচ্ছায় পবিত্র ইসলাম ধর্মের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিতে চাইছেন। দেশটিতে ইসলামের এই বিস্ময়কর প্রসার ঘটতে শুরু করে ২০১০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে। তবে দেশটির সরকার এটিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না। প্রচলিত জাদুমন্ত্রের ধর্ম ও খ্রিষ্টীয় ধর্মবিশ্বাস থেকে দলে দলে লোকজনের ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হওয়াকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে ঐ দেশের সরকারকে। যদিও সরকার এখনও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। হাইতির স্কুল শিক্ষিকা ডারল্যান্ড ডারসিয়ার জানান, ভূমিকম্পের পর মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার স্বামী। এরপর তিনি একটি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ওখানে এখন প্রায় অর্ধশতাধিক মুসলমান প্রতিদিন ছালাত আদায় করছেন। গড়ে উঠেছে মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে গভীর প্রশান্তি লাভ করেছেন। ভূমিকম্পের পর আমরা অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি- বললেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম রবার্ট উঁঢ়ুঁ। তিনি বলেন, এই ধর্মগ্রহণ আমার এবং আমাদের জন্য একটি বিজয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, আমার ছেলে এবং মেয়ে ইসলাম ধর্ম পালন করবে এটি ভেবেই আমার আরও আনন্দ হয়। আসলে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে পারে। 





আরও
আরও
.