‘যেন নিজের ঘরে ফিরে এলাম’ বললেন সদ্য ইসলাম গ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ক্যাথলিক ধর্মযাজক সাঈদ আব্দুল লতীফ (পূর্ব নাম : হিলারিয়ান হেইগি)। ২৫শে ফেব্রুয়ারী তিনি নিজের ফেসবুক পেইজে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিয়ে মন্তব্যটি করেন। হিলারিয়ান হেইগি ২০০৩ সালে অ্যান্টিওকিয়ান অর্থোডক্স চার্চের আনুগত্য গ্রহণ করেন। পরে ২০১৭ সালে পূর্ব ক্যাথলিক চার্চে যোগদান করেন। তার আগে উইসকনসিনের সেন্ট নাজানিয়ানের হোলি রিজারেকশন মানাস্টেরি থেকে বাইজেন্টাইন ক্যাথলিক যাজক-সন্ন্যাসী হওয়ার বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ফেসবুকে তিনি বলেন, ‘কয়েক দশক যাবৎ ধারাবাহিকভাবে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পর অবশেষে আমি মুসলমান হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম’।
তিনি আরো বলেন, ‘এটি ঘটারই ছিল। যখন আমি ক্যাথলিক চার্চে ছিলাম, তখন একজন ধর্মযাজক হয়ে প্রকাশ্যে ইসলামের কথা বলা সম্ভব ছিল না। অবশেষে আল্লাহ আমাকে হেদায়াত দান করলেন এবং আমি গোপনে মুসলিম হিসাবে জীবনযাপন করছিলাম।
ঐ ঘোষণায় তিনি পবিত্র কুরআনের সূরা আ‘রাফের ১৭২ আয়াতের অর্থও জুড়ে দেন। যেখানে আল্লাহ বলেছেন, আর (স্মরণ কর) যখন তোমার প্রতিপালক বনু আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের সন্তানদের বের করলেন এবং তাদেরকে তাদের উপর সাক্ষী বানিয়ে বললেন, আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই? তারা বলল, হ্যাঁ। আমরা সাক্ষী রইলাম। যাতে তোমরা ক্বিয়ামতের দিন বলতে না পার যে, আমরা এ বিষয়ে জানতাম না’।
সাঈদ আব্দুল লতীফ জানান, ‘তিনি মুসলিমদের থেকে যে আতিথেয়তা পেয়েছেন, তা ছিল অসাধারণ। আমার জীবনে এর আগে কখনো আমি এরূপ আতিথেয়তা দেখিনি’। ইসলামে প্রবেশের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈমানকে এখন গভীরভাবে অনুধাবনের সময় এসেছে। ইসলামে প্রবেশের ঘোষণার পর থেকে আমার ম্যাসেজ বক্স শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে গেছে। আর রিংটোন তো বেজেই যাচ্ছে’। তাঁর মুসলিম হওয়ার খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। পক্ষান্তরে খ্রিস্টানদের কেউ কেউ তাকে আখ্যায়িত করছেন ‘ধর্মদ্রোহী’ হিসাবে।
[আমরা নওমুসলিম ভাই সাঈদ আব্দুল লতীফকে ইসলাম কবুল করার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে সত্যের উপর আমৃত্যু দৃঢ় থাকার তাওফীক দান করুন! যারা ‘ধর্মদ্রোহী’ বলছে তাদের জানা উচিত যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কেও ‘ধর্মত্যাগী’ ‘পাগল’ ‘জাদুগ্রস্থ’ ইত্যাদি বলা হয়েছিল। কেননা মিথ্যাশ্রয়ীরা কখনো সত্যাশ্রয়ীদের সহ্য করতে পারে না। (স.স.)]