স্বদেশ

টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে চুক্তি সই

সিলেটের বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে লুকোচুরির মধ্যে একটি যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি সই করেছে ভারত। এ লক্ষ্যে জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিগম (এনএইচপিসি), রাষ্ট্রীয় ও জলবিদ্যুৎ সংস্থা (এসজেভিএন) ও মণিপুর সরকার যৌথ উদ্যোগে একটি কোম্পানী গঠন করেছে। গত ২২ অক্টোবর চুক্তিটি সই হয় দিল্লীতে। অবশ্য ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারী বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী সফরের একমাস পর ১০ ফেব্রুয়ারী চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছিল বলে জানা গেছে। অথচ এ ধরনের চুক্তি করার আগে বাংলাদেশকে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হ’লেও তা মানেনি ভারত। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী ও মণিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। ২০১০ ও ২০১১ সালে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং অঙ্গীকার করেছিলেন যে বাংলাদেশকে না জানিয়ে কিছু করা হবে না এবং টিপাইমুখে এমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়। অথচ এ চুক্তি সংক্রান্ত কোন তথ্যই এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে জানায়নি ভারত। পরিবেশবিদরা বলছেন, টিপাইমুখে জলাধার ও বিদ্যুৎ প্রকল্প হ’লে বিরাট এলাকার পাহাড়-জঙ্গল পানিতে ডুবে যাবে এবং অনেক লুপ্তপ্রায় প্রাণীসম্পদ ধ্বংস হবে। ঘর আর জীবিকা হারাবে বহু মানুষ। তাছাড়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পরে সেটি ভূমিকম্পে ধসে পড়লে আসাম ও বাংলাদেশের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। খোদ মণিপুরের বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরাও এ বাঁধের বিরোধিতা করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।

সূদের মাত্র ১০০ টাকার দাবীতে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে সন্তান হত্যা

বগুড়া যেলার শিবগঞ্জ উপযেলার দেউলি ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের দিনমজুর রফীকুল ইসলাম অভাবের তাড়নায় একই গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী শাহজাহান আলীর কাছ থেকে এক মাস আগে সূদের উপর ৫শ’ টাকা ধার নেন। পরে তিনি ৪শ’ টাকা পরিশোধও করেন। ২৪ অক্টোবর বিকেলে রফীকুলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গোলাপী বেগম সন্তান প্রসবের জন্য মায়ের বাড়ি যাওয়ার প্রস্ত্ততি নিচ্ছিলেন। এ খবর শুনে শাহজাহানের স্ত্রী একশ’ টাকার দাবী করে রফীকুলের স্ত্রী গোলাপীর হাঁস জোর করে ধরে  নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হ’লে শাহজাহানের স্ত্রী রফীকুলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গোলাপীর পেটে সজোরে লাথি মারলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হ’লে পরদিন মঙ্গলবার রাতে সিজার করে ডাক্তার তার পেট থেকে ৮ মাসের মৃত ছেলেসন্তান বের করেন। দরিদ্র বাবা মৃত সন্তানকে বিস্কুটের কার্টুনে ভরে থানায় নিয়ে সুবিচার দাবী করেন।

চলে গেলেন প্রাজ্ঞ ভাষাবিদ ড. কাযী দ্বীন মুহাম্মাদ

দেশের প্রখ্যাত ভাষাবিদ ও শিক্ষাবিদ ড. কাযী দ্বীন মুহাম্মাদ (৮৪) গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ১১-টায় ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি উক্ত হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে তাকে লাইফসাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল।  ২৯ অক্টোবর সকাল ১১-টায় তার প্রথম ছালাতে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার কলাবাগান মাঠে। দ্বিতীয় জানাযা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এবং তৃতীয় ও শেষ জানাযা হয় ঐদিন বাদ আছর দেশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। জানাযা শেষে তাকে রূপগঞ্জের রূপসী গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

ড. কাযী দ্বীন মুহাম্মাদ নারায়ণগঞ্জ যেলার রূপগঞ্জ থানার রূপসী গ্রামে ১৯২৭ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে প্রথম বিভাগে ১ম, ১৯৪৫ সালে ইন্টারমিডিয়েটে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয়, ১৯৪৮ সালে প্রথম শ্রেণীতে বাংলায় অনার্স ও ১৯৪৯ সালে একই বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে মাস্টার্স পাশ করেন। অতঃপর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভের পর তিনি ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হন। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তিন বছর তিনি বাংলা একাডেমীর পরিচালক (বর্তমানে মহাপরিচালক) পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাকিস্তান আমলে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক সংগঠকদের অন্যতম ছিলেন। বাংলা ভাষা গবেষণা ও উন্নয়নে, বাংলা ভাষায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে তাঁর ব্যাপক অবদান রয়েছে। তার লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হ’ল- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ভাষাতত্ত্ব, সমাজ, সংস্কৃতি ও সাহিত্য, জীবন সৌন্দর্য, মানবজীবন, প্রতিবর্ণায়ন নির্দেশিকা, লোকসাহিত্যে ধাঁধা ও প্রবাদ প্রভৃতি।

ভাত না খেয়ে ৫৩ বছর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেলার নবীনগর উপযেলার নারায়ণপুর গ্রামের রাবেয়া খাতুন বিগত ৫৩ বছর ধরে ভাত না খেয়ে সুস্থভাবে বেঁচে আছেন। ৫৩ বছর পূর্বে তার প্রথম সন্তান আনোয়ারা বেগম জন্ম নেয়ার পরপরই হঠাৎ ভাতের প্রতি তার দারুণ অরুচির ভাব দেখা দেয়। তখন থেকেই তিনি ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন। মাছ, গোশতও খান না। তিন বেলা চিড়া, মুড়ি, পিঠা, দুধ ও বিভিন্ন রকম ফল খেয়ে দিন কাটান।

দেশে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি; আয়ের ৫৯ শতাংশ ব্যয় হয় খাদ্য কিনতে

মাসওয়ারী মূল্যস্ফীতির হার অন্তত গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব মতে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট অর্থাৎ আগের বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক  ৯৭ শতাংশে। বিগত এক দশকের মধ্যে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। এরপর এ বছরের সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার তা অতিক্রম করেছে। বিবিএস-এর তথ্য মতে, শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা গ্রামে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। বাংলাদেশের একজন মানুষ আয়ের প্রায় ৫৯ শতাংশ ব্যয় করে খাদ্য কিনতে।

ঢাকা ও মস্কোর মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন চুক্তি স্বাক্ষর

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে দুই হাযার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে গত ২ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে একটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওছমান এবং রাশিয়ার সরকারী এটমিক এনার্জি কর্পোরেশন (রোসোতোম)-এর মহাপরিচালক সের্গেই কিরিয়েঙ্কো নিজ নিজ দেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরমাণু জ্বালানির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে এ চূড়ান্ত সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির আওতায় রুশ সরকার দু’টি পরমাণু কেন্দ্র স্থাপনে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে। প্রতিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা থাকবে এক হাযার মেগাওয়াট।

পোশাক রফতানীতে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন তৃতীয়

বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রফতানীতে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্বে মোট  পোশাক রফতানীর সাড়ে চার শতাংশ বাংলাদেশ একাই রফতানী করে। এক বছর আগেও বিশ্বে বাংলাদেশ ছিল পঞ্চম স্থানে। এক লাফে এবার তুরষ্ক ও ভারতকে ডিঙ্গিয়ে তৃতীয় স্থানটি দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিসংখ্যান ২০১১’ দলীল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে পোশাক রফতানীতে প্রথম স্থানটি চীন ধরে রেখেছে।

বিচারবহির্ভূত হত্যার কৌশল পাল্টে এখন গুম করা হচ্ছে

-ড. মিজানুর রহমান

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের কৌশল পাল্টে গেছে। আগে ক্রসফায়ার হ’ত, এখন নাগরিকদের তুলে নিয়ে গুম করা হচ্ছে। যাকে গুম করা হয় তার হদিস পাওয়া যায় না। পরিবার লাশের খোঁজও পায় না। গত ১৮ নভেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

এখন আইন দেখে নয়, চেহারা দেখে বিচার করা হয়

-ব্যারিষ্টার রফিক-উল-হক

প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিষ্টার রফিক-উল-হক বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, উচ্চ আদালতে চেহারা দেখে বিচারকাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। আইনের বিচার হয় না। মানুষটা কে, আইনজীবী কে, কোন রাজনৈতিক দলের- এসব দেখে বিচার করা হচ্ছে। এজন্য ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে’। গত ১৯ নভেম্বর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘একসেস টু জাষ্টিস’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

বিদেশ

ভারতে প্রতি ৩০ মিনিটে একজন কৃষকের আত্মহত্যা

বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে ঋণের বোঝায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে ভারতের কৃষকরা। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবে তারা আত্মহননের পথকে বেছে নিচ্ছে। ভারতের ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো’র সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে দৈনিক ৪৩ জন কৃষক আতমহত্যা করছে। উক্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১০ সালে কমপক্ষে ১৫ হাযার ৯৬৪ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতে ২০০৯ সালে ১৭ হাযার ৩৬৮ জন কৃষক আত্মহত্যা করে। ২০০৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৬ হাযার ১৯৬। ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভারতে দুই লাখ ৩২ হাযার ৪৬৪ জন কৃষক আত্মহত্যা করে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে ‘ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্রে্যর দুষ্টচক্রের কারণে ভারতে প্রতি ৩০ মিনিটে একজন করে কৃষক আত্মহত্যা করে।

আমেরিকার গরীবরা শহর ছেড়ে পালাচ্ছে

কথিত সমৃদ্ধিশালী আমেরিকার অর্থনৈতিক দুরবস্থার চিত্র এখন সর্বত্র। বিশেষ করে শহরের তুলনায় শহরতলীতে দারিদ্রে্যর দগদগে ঘা বেশি করে চোখে পড়ে। চলমান অর্থনৈতিক মন্দার এই দুঃসহ অবস্থা নতুন করে উঠে এসেছে বিশ্বখ্যাত সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস-এর ‘আউটসাইড ক্লিভল্যান্ড, স্ন্যাপশটস অব প্রোভার্টিস সার্জ ইন দি সুবাবস’ শিরোনামের সচিত্র সংবাদে। সংবাদে বলা হয়েছে, এক সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণী ছিল দীর্ঘ সময় ধরে সমৃদ্ধ আমেরিকার স্থিতিশীলতার প্রতীক। শহরভিত্তিক এসব মধ্যবিত্তের অর্ধেকের বেশি ২০০০ সালের পর থেকে নিম্নবিত্তে পরিণত হয়েছে এবং সিটি ছেড়ে বসতি গড়েছে শহরের বাইরে। ‘টাইমস’ উল্লেখ করেছে, বর্তমান আমেরিকায় শহরের ২৬ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায় শহরের বাইরের নিম্নবিত্ত মানুষের বাস ৫৩ শতাংশ। ২০০৭ থেকে ২০১০ এর মধ্যে মন্দার আঘাতে শহরের বাইরে দুই-তৃতীয়াংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যুক্ত হয়েছে।

ক্লিভল্যান্ডের দরিদ্র জনগোষ্ঠী আগে যারা নগরে বাস করতেন, এখন তাদের প্রায় ৬০ শতাংশ বাস করেন শহরতলীতে। ২০১০ সালের তুলনায় যা ৪৬ শতাংশ বেশি। আর জাতীয়ভাবে প্রায় ৫৫ শতাংশ দরিদ্র মানুষ এখন শহরতলীতে বাস করেন, যারা আগে সিটিতে বাস করতেন। এই সংখ্যা ৪৯ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কারাগারে দু’বেলা খাবার : বাজেট ঘাটতি পুষিয়ে নিতে টেক্সাসের কারাগারে সাপ্তাহিক ছুটির দিন অর্থাৎ শনি ও রবিবার দুপুরে বন্দীদের খাদ্য প্রদান স্থগিত করা হয়েছে। গত এপ্রিল থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল জাস্টিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ অর্থবছরে কারাগার সমূহে বাজেট ঘাটতি পড়েছে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন ডলার। এটি পুষিয়ে নিতে এ ব্যবস্থার পাশাপাশি কার্টুন দুধের পরিবর্তে পাউডার দুধ দেয়া হচ্ছে। জর্জিয়ায় দু’বেলা করে খাবার দেয়া হয় শুক্র, শনি ও রোববারে।

পৃথিবীর জনসংখ্যা ৭০০ কোটি

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)-এর হিসাব মতে, পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা ৭০০ কোটি। আগামী ১৩ বছরে পৃথিবীতে আরো ১০০ কোটি মানুষ বাড়বে। ইউএনএফপিএ-র তথ্য মতে, পৃথিবীতে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৮৯ কোটি ৩০ লাখ। পৃথিবীতে এখন প্রতি দুইজনের একজন মানুষ শহরে বাস করে। বর্তমান জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৪২০ কোটি মানুষ বাস করে এশিয়ায়। এর মধ্যে চীন ও ভারতের জনসংখ্যা যথাক্রমে ১৩৫ ও ১২৪ কোটি। উল্লেখ্য, ইউএনএফপিএ’র মতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি পাঁচ লাখ।

যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ বেকারের হার দ্বিগুণ

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের বেকারত্বের পরিমাণ শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতেও শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গরা অনেক পিছিয়ে আছে। এসব কারণে কৃষ্ণাঙ্গরা মাদক ব্যবহার, চোরাচালানসহ সামাজিক নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জেলখানাগুলোতে কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা অনেক বেশি।

জাপানে রোবটরাই বয়ষ্কদের সঙ্গী

জাপানে বয়ষ্কদের সাহায্য করতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে রোবট। ‘প্যানাসোনিক’ কোম্পানী এমন একটি রোবট তৈরী করেছে যেটি বৃদ্ধ-বৃদ্ধার চুলে শ্যাম্পু করতে এবং চুল ধুয়ে দিতে সাহায্য করবে। টয়োটা মোটর কোম্পানী তৈরী করছে এমন একটি রোবট, যা সঙ্গী হবে নিঃসঙ্গ মানুষের। তার ঘর পরিষ্কার করবে, প্রয়োজনীয় ওষুধটি কাছে এনে দেবে, হাঁটা-চলার সময় একটি হাত ধরে রাখবে। উল্লেখ্য, জাপানে পুরুষরা সাধারণত ৮০ বছর পর্যন্ত বাঁচেন এবং মহিলারা ৮৬। জাপানের বর্তমান জনসংখ্যা ১২ কোটির বেশী। এর মধ্যে ২৩ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরেরও বেশী।

চীনের অর্ধেক ধনী অভিবাসী হতে আগ্রহী

চীনের ধনী নাগরিকদের প্রায় অর্ধেক বিদেশে অভিবাসী হওয়ার কথা ভাবছেন। এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। ব্যাংক অব চায়না ও হুয়ান রিপোর্টের এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এক কোটি ইউয়ানের (১৬ লাখ ডলার) বেশি সম্পদ রয়েছে এমন জনগোষ্ঠীর ৪৬ শতাংশ বিদেশে বসবাসের কথা ভাবছেন। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন। অনেকে জানান, তারা তাদের সন্তানদের সুশিক্ষা দিতে চান। তাছাড়া চীনে তারা তাদের সম্পদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

সমকামিতাকে বৈধতা নয়

যুক্তরাজ্যের হুঁশিয়ারী উড়িয়ে দিল ঘানা ও উগান্ডা

ঘানার প্রেসিডেন্ট জন আত্তা মিলস বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যের সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার হুমকি সত্ত্বেও তিনি সমকামিতাকে বৈধতা দেবেন না। সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, যেসব  দেশ সমকামীদের অধিকারের স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হবে, সেসব দেশে ত্রাণসহায়তা কমিয়ে দেবে তার সরকার। উগান্ডাও যুক্তরাজ্যের উক্ত হুঁশিয়ারী আমলে নেয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল ছাত্র-ছাত্রীর অর্ধেকই যৌন হয়রানির শিকার

মানব সভ্যতার জন্য নতুন এক ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা ‘নিউইয়র্ক টাইমস’। পত্রিকাটি খবর দিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেড সেভেন থেকে টুয়েলভ ক্লাসের ছাত্রীদের অর্ধেকই যৌন হয়রানির শিকার। যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের শতকরা ৮৭ ভাগের ওপর পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব। এদের বেশিরভাগই এখন স্কুল কামাই করা শুরু করেছে, তার ওপর পাকস্থলির সমস্যা তো লেগেই আছে। অনেকের আবার রাতের ঘুম হারাম হয়েছে। অসম্ভব মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে তারা  জীবন কাটাচ্ছে। ‘দি আমেরিকান এসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি উইমেন’ এক হাযার ৯৬৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। গবেষণায় বলা হচ্ছে, ছেলেরা যেখানে শতকরা ৪০ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার সেখানে মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ৫৬ ভাগ। গবেষণায় আরো দেখা যাচ্ছে, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে গড়পড়তা শতকরা ৪৮ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শতকরা ৩০ ভাগ অনলাইনে ই-মেইল, ফেসবুক এবং অন্য মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলিতে ছাত্রীরা সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এ সংখ্যা শতকরা ৫২ ভাগ। এরা সবাই শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, আর শতকরা ৩৬ ভাগ হয়েছে অনলাইনে।

গুজরাট দাঙ্গায় ৩১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় ৩৩ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। দুই বছর ধরে শুনানী চলার পর গুজরাটের মুখ্য হাকিম এসসি শ্রীবাস্তব ৯ নভেম্বর এই রায় দেন। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ না থাকায় এ মামলার ৭৩ আসামীর মধ্যে ১১ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। ২০০২ সালে একটি ট্রেনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৬০ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী মারা যাওয়ার পর ঐ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। ঐ ঘটনায় ১ হাযারেরও বেশী মানুষ নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই মুসলমান। ঐ দাঙ্গার সময় সরদারপুর এলাকায় একটি বাড়ীতে আশ্রয় নেয়া ৩৩ জন মুসলিমকে পুড়িয়ে হত্যা করে উগ্রবাদী হিন্দুরা। এদিকে এ ঘটনায় গুজরাটের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইন্ধন ছিল বলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হ’লেও তিনি থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমনকি এ ঘটনার জন্য তিনি কখনও দুঃখ প্রকাশ পর্যন্ত করেননি।

সন্ত্রাসীদের ছাড়াতে থানায় মমতা ব্যানার্জি

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার ভবানীপুর দুর্গাপূজার দেবী ডুবানোর সময় উচ্ছৃঙখল কিছু লোক চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের সামনে উচ্চ শব্দের বাজি ফুটিয়ে উল্লাসে মাতলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপরেই তাদের ওপর চড়াও হয় ঐসব সন্ত্রাসীরা। হামলা চালায় থানায়। পরে হামলাকারী অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে আটক করে। এই ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা ভবানীপুর এলাকা। মন্ত্রীরা সন্ত্রাসীদের ছাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে অবশেষে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দলীয় সন্ত্রাসীদের ছাড়াতে থানায় যান। এরপর পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। [কি চমৎকার গণতন্ত্র!]

ব্রিটেনে ১২ লাখ তরুণ বেকার

ব্রিটেনে ১৯ বছরের মধ্যে তরুণদের বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং বর্তমানে দেশটির ১২ লাখ তরুণ বেকার রয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর থেকে গত ১৬ নভেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ব্রিটেনে এখন মোট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ২০ হাযার। ১৯৯৬ সালের পর এটাই ব্রিটেনের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার।

ভারতে অভাবের তাড়নায় সন্তান ফেলে পালিয়ে গেছে বাবা-মা

ভারতের বিহার রাজ্যের প্রমোদ পাসওয়ান ও অনিতা পাসওয়ান নামে এক দম্পতি প্রচন্ড অভাবের তাড়নায় সন্তান ফেলে পালানোর ১০ মাস পর পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারী ঐ দম্পতি তাদের সাত বছরের কন্যাসন্তানকে দিল্লীর একটি জনাকীর্ণ শপিং মলে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল। ফেলে যাওয়া মেয়েটি ছাড়াও তাদের সাতটি কন্যাসন্তান রয়েছে।






আরও
আরও
.