ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের নাম। বিশ্বের ১৯৮ দেশের মধ্যে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতায় ভারতের অবস্থান চতুর্থ। ভারতের আগে রয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া, নাইজেরিয়া ও ইরাকের নাম। মার্কিন সমাজ-গবেষণা সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

রিপোর্টে দেখা যায়, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মুসলিম নির্যাতন তথা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতায় বিশ্বে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারত। নরেন্দ্র মোদীর শাসনামল তথা গত দু’বছরে দেশটিতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। বিশ্বের বাকী ১৯৪টি দেশকে পেছনে ফেলে ভারত দেখিয়ে দিচ্ছে যে, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা কাকে বলে!

১১ই এপ্রিল’১৭-তে প্রকাশিত পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা ফলাফলে জানা গেছে, আগের তিন বছরের মধ্যে ২০১৫ সালে ভারতে যে শুধুই ধর্মকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা বেড়েছে, তাই নয়; সংখ্যালঘু মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আরোপ ও ধর্মকে কেন্দ্র করে সামাজিক অস্থিরতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বেড়েছে জাতি বা বর্ণ-ঘৃণাজনিত অপরাধের ঘটনা, হিংসা, সাম্প্রদায়িক হিংসা, ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাস। বেড়েছে মুসলমানদের ধর্মাচরণে বাধা দেয়ার ঘটনা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে পোষাক না পরায় নানাভাবে নারীদের হেনস্থা করার ও ধর্মান্তরের ঘটনা। মুসলিম নাগরিকদের পাশাপাশি ভারতে হিন্দুদের মধ্যেও বিভেদ আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। দলিতদের ওপর উচ্চ বর্ণহিন্দুদের নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে; কখনো কখনো সেটা চলে গেছে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের পর্যায়ে।

গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশের পর সংস্থার মূল গবেষক অধ্যাপক কাত্যায়ুন কিশি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ভারতে হিন্দু ও মুসলিম, এই দু’টি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ও দাঙ্গার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। যার সংখ্যা আগের তিন বছরের চেয়ে অনেক বেশি। অধ্যাপক কিশি বলেছেন,  সেখানে পর্যাপ্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারী পদে তাদের প্রমোশন রুখে দেয়া হচ্ছে। ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, হেনস্থার সবচেয়ে বেশী শিকার হচ্ছে দলিত নারীরা।






আরও
আরও
.