
বাংলাদেশে
ছানিজনিত অন্ধের সংখ্যা বাড়ছে বছরে এক লাখ ৩০ হাযার। যদিও দেশে বছরে দুই
লাখ মানুষের ছানি অপারেশন হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সংখ্যাটা ১৬ কোটি
মানুষের মধ্যে খুবই কম। তবে হতাশার কথা হ’ল দেশে প্রতি এক লাখ ৭০ হাযার
মানুষের জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক আছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, চক্ষু
স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানদন্ডের অনেক পিছনে রয়েছে। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর দ্য প্রিভেনশন অব
ব্লাইন্ডনেসের (আইএপিবি) গবেষণার ফল অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখ
ছানিজনিত অন্ধত্বে ভোগা ব্যক্তির মধ্যে ছানি অপারেশন হয় মাত্র ১৩০০ জনের।
অথচ ভারতে এ সংখ্যা ৬০০০ এবং নেপালে ৩৮৪৫।
এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমী ফর অপথালমোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আভা হোসাইনের মতে, চক্ষু চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্রতি একজন সহযোগী কর্মীর বিপরীতে রয়েছে দুই লাখ ৯৫ হাযার ৫৭৩ জন রোগী, ভারতে ৭২ হাযার ৪৭৪ এবং নেপালে ৫৯ হাযার ৯১ জন।
ন্যাশনাল আই কেয়ারের পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও এনআইওএইচের ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা: গোলাম মোস্তফা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩০ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী মানুষের মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ দৃষ্টিহীন। এর মধ্যে সাড়ে ছয় লাখ বা ৮০ শতাংশ মানুষ অন্ধত্ব বরণ করেছে ছানির কারণে। বাংলাদেশে ৬০ লাখ মানুষের দৃষ্টিত্রুটি রয়েছে চশমার কারণে। চশমা ব্যবহার করলেই এসব ত্রুটি দূর হওয়া সম্ভব।