প্রান্তিক জনপদগুলোর অভাবী বা সংকটে নিপতিত মানুষ, যারা কয়েক হাযার টাকা পেলে সন্তানের ভর্তির কাজ করতে পারবেন, থাকার ঘর মেরামত করতে পারবেন, কাঁচামালের ব্যবসা করতে পারবেন, ছোট্ট একটা মুদির দোকানে মাল উঠাতে পারবেন, রাস্তার ধারে পণ্য বেচতে পারবেন, তাদেরকে শতভাগ বিনাসূদে ক্ষুদ্র ঋণ দিতে প্রতিষ্ঠা হয়েছে মসজিদ ডট লাইফ।

বর্তমানে ৩২টি যেলায় ১৫২টি শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে মসজিদ ডট লাইফের কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান তহবিল অর্ধ কোটিরও বেশী। এ পর্যন্ত তারা ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেছে এক কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাযার ৩১০ টাকা।

কোন গ্রামের অধিবসীরা তাদের এলাকায় মসজিদ ডট লাইফের সেবা পেতে চাইলে তারা তাদের গ্রামের মসজিদকে ভিত্তি করে একটি ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করে থাকেন। প্রথমে সেই সমাজের মসজিদ কমিটি ঐ ম্যানেজমেন্ট টিমকে লিখিত অনুমোদন করে। অতঃপর মসজিদ ডট লাইফ সেই টিমের সাথে কাজ শুরু করে। অনলাইন মিটিংয়ের মাধ্যমে ম্যানেজমেন্ট টিমের দক্ষতা, নৈতিকতা বাড়ানো হয়। ওয়েবসাইটের ব্যবহার শেখানো হয়। লোকাল ম্যানেজমেন্ট টিম ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, ঋণ বিতরণ করে আবার আদায় করে। ঋণ বিতরণের সময় গ্রহীতার সাথে আলোচনা করে তার সামর্থ্য বিবেচনা করে ঋণ পরিশোধের ছোট ছোট কিস্তি নির্ধারণ করা হয়। সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক বিভিন্ন মেয়াদের কিস্তির পদ্ধতি আছে। তবে কোন কারণেই ঋণ গ্রহীতাকে এক পয়সাও বেশি দিতে হয় না।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা ব্যয় একদম শূন্য। সূদমুক্ত ঋণ বিতরণ ও সংগ্রহে এ প্রতিষ্ঠান কাউকে কোন বেতন দেয় না, কোন অফিস খরচ দেয় না, কোন যাতায়াত বিল দেয় না। শেকড় থেকে মগডাল পর্যন্ত যারাই এর ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত আছেন তারা সবাই পরকালীন নেকীর আশায় বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে এখানে কাজ করছেন। মেধা ও সময় দিয়ে যাচ্ছেন। তারা সবাই কাজটিকে পবিত্র ইবাদত বলে গণ্য করেন।

মসজিদ ডট লাইফ একটি অনুদানভিত্তিক সংস্থা। গণমানুষের অনুদানে এর সেবা পরিচালিত হয়। দাতাদের তালিকা, পরিচয় ও দানের তথ্য ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা থাকে। তবে কোন দাতা নিজের নাম পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে তার পসন্দমতো ছদ্মনাম প্রকাশ করা হয়।

যেকোন দাতা ওয়েবসাইটে ঢুকে ফান্ড ট্র্যাক করে জানতে পারেন তার দান কোন শাখায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং কারা কারা তার দান থেকে উপকৃত হয়েছেন। তিনি আগ্রহী হ’লে ওয়েবসাইটের দেওয়া যোগাযোগ তথ্য দিয়ে সেই শাখার ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যদের সাথে, মসজিদ কমিটির সাথে, মসজিদের ইমামের সাথে, সেবা গ্রহীতাদের সাথে যোগাযোগ করে, কথা বলে নিশ্চিত হ’তে পারবেন, সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। মসজিদের ইমাম, মসজিদের কমিটি, ঋণের ম্যানেজমেন্ট টিম ও ঋণ গ্রহীতা তাদের সকলের ছবি, নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ওয়েবসাইটে আপলোড করা থাকে।

অনুদানের সম্পূর্ণ টাকা ব্রাঞ্চগুলোতে সরবরাহ করা হয়। আর সকল লেনদেন হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। হাতে হাতে নগদ কোন লেনদেন হয় না। তাই অনুদান গ্রহণ ও ব্রাঞ্চগুলোতে বণ্টনের প্রতিটি তথ্য থাকছে সংরক্ষিত।

সূদমুক্ত ঋণ বিতরণ মসজিদ ডট লাইফের প্রধান সেবা হ’লেও সমাজের যেসব অক্ষম, প্রতিবন্ধীর স্বচ্ছল অভিভাবক নেই তাদের জন্য ওয়েবসাইটে রয়েছে হেল্প ডিজেবল ফিচার। সেখানে অক্ষম ব্যক্তিদের ছবি, পরিচয়, বাড়ির ছবি ও মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। আর আছে মসজিদের ইমাম, মসজিদ কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট টিমের লিডারের স্বাক্ষরিত একটা প্রত্যয়নপত্র। আগ্রহী যেকোন ব্যক্তি সেগুলো দেখে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজন মনে করলে সত্যতা যাচাই করে সরাসরি সাহায্য করতে পারেন।

[ধন্যবাদ এই শুভ উদ্যোগের জন্য। আল্লাহ অন্যদেরকেও এ থেকে উৎসাহিত হওয়ার তাওফীক দান করুন (স.স.)]







মুসলমানদের জন্য জীবন দিব, তবু মাথা নত করব না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মাদ্রাসার পাঠ্য বইয়ে কয়েকজন ছাহাবীর ধৃষ্ঠতা প্রদর্শন!
এবারও মেলেনি চামড়ার দাম
মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার হচ্ছে ৫ হাযার কোটি টাকা
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন
অনলাইনে ঋণ প্রদানের সর্বনাশা ফাঁদ!
যেলা পরিষদ নির্বাচন (টাকা ফেরত পেতে বাড়ি বাড়ি ধরণা পরাজিতদের)
সিগারেট ছেড়ে ৭ বছরে সঞ্চয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা
হিন্দু প্রতিবেশীর সৎকার করলেন মুসলিমরা, বন্ধু-স্বজন কেউই এলেন না!
ভালোবাসার অভাবে ভয়ানক ‘অভিমান’
হিজড়াদের জন্য বিনা খরচে মাদ্রাসা শিক্ষা
মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ইউনাইটেড হাসপাতালকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও আল্টিমেটাম
আরও
আরও
.