(১) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ জামালপুর-দক্ষিণ যেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইবরাহীম (৬৩) গত ৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ১০-টায় হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোকে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লা-হে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ৫ কন্যা রেখে যান। একই দিন রাত ৮-টায় তার নিজ গ্রাম কোনাবাড়ী মাদরাসা ময়দানে ছালাতে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করে একমাত্র পুত্র হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মামূন। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক বযলুর রহমান, সহ-সভাপতি কামারুয্যামান বিন আব্দুল বারী সহ ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ জানাযায় যোগদান করেন। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য যে, মাওলানা ইবরাহীম ছাহেবের পুত্র হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মামুন ‘আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়ার দাওরায়ে হাদীছ বিভাগের ছাত্র এবং দুই মেয়ে ‘মহিলা সালাফিয়া মাদরাসা’র নবম শ্রেণীর ছাত্রী।

(২) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ মেহেরপুর সদর উপযেলার সভাপতি ও যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আলহাজ্জ আব্দুল মান্নান (৭৫) গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার ভারতীয় সময় বিকাল ৪-১৫ মিনিটে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুস্থ নারায়ণা হৃদয়ালা হার্ট সেন্টারে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লা-হে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। উল্লেখ্য যে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হার্টের রিং লাগানোর জন্য ১৮ ডিসেম্বর ’১১ তারিখে ডা. দেবী প্রসাদ শেঠীর অধীনে উক্ত হার্ট সেন্টারে ভর্তি হন। মৃত্যুর পর তাঁকে ব্যাঙ্গালুরু থেকে বিমান যোগে ১৫ ফেব্রুয়ারী কলকাতা এবং সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে সড়ক পথে ১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ৬-টায় মেহেরপুর নিজ বাড়ীতে আনা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ৩ কন্যা রেখে যান। ঐদিন সকাল ১১-টায় মেহেরপুর সরকারী হাইস্কুল ময়দানে তার প্রথম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর দুপুর ২-টায় মুজিবনগর উপযেলাধীন গোপালপুর গ্রামে তার প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাযায় ইমামতি করেন তাঁর অছিয়ত অনুযায়ী মুহাতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। জানাযায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-পশ্চিম যেলা সভাপতি মুহাম্মাদ গোলাম যিল-কিবরিয়া, কুষ্টিয়া-পূর্ব যেলা সভাপতি কাযী আব্দুল ওয়াহহাব, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুর রকীব, ‘যুবসংঘ’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি হাফেয রাশেদুল ইসলাম এবং মেহেরপুর যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর নেতৃবৃন্দ। শেষোক্ত জানাযায় এম.পি, ইউএনও এবং মেহেরপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের কয়েক হাযার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য যে, তিনি একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং দু’দু’বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮৪ সালে বিআরডিপি-এর সহায়তায় রাশিয়ার মস্কোতে প্রশিক্ষণ নিতে যান। ২০০৮ সাল থেকে তিনি পুরাপুরি ‘আহলেহাদীছ’ হন এবং সকল প্রকার শিরক ও বিদ‘আত থেকে ফিরে আসেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগে, চিকিৎসাকালে, এমনকি ওটিতে প্রবেশের আগেও তিনি অছিয়ত করে যান যেন তাঁকে আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সম্মান না দেওয়া হয় ও কোনরূপ শিরক ও বিদ‘আত না করা হয়। সকাল ১১-টায় জানাযার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু বেলা ৯-টায় মুক্তিযোদ্ধারা এসে তার লাশ নিয়ে যায় এবং আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান সহ প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী সবকিছু করা হয়। ফলে আমীরে জামা‘আত উক্ত জানাযায় যোগদান করেননি বা মৃতের ছেলেরাও তাতে যোগ দেননি। পরে বেলা ২-টায় মৃতের গ্রামে অনুষ্ঠিত ২য় জানাযায় আমীরে জামা‘আত যোগদান করেন। যেখানে ১ম জানাযার তিনগুণ বেশী লোক হয়।

[আমরা তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁদের শোকাহত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। -সম্পাদক]






আরও
আরও
.