স্বদেশ
বিয়ে-শাদীতে সন্তানের ধর্ম পরিচয় বাদ
বিয়ে-শাদী থেকে ধর্মকে বিতাড়ন করা হয়েছে বিশেষ বিবাহ আইনে। এর ফলে বিয়েতে সন্তানের কোন ধর্ম পরিচয় থাকবে না। এ ‘বিশেষ বিবাহ আইন ১৯৭২’ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংশোধন করা হয়। নতুন সংশোধনী ‘বিশেষ বিবাহ আইন ২০০৭’ নামে বর্তমান সংসদে পাস হয়ে আইনে রূপান্তরিত হওয়ায় এখন বিয়ে-শাদী থেকে ধর্ম বাদ পড়েছে। ইসলামী শরী‘আতে এভাবে বিয়ে শুদ্ধ ও জায়েয না হ’লেও আইনত এ ধরনের বিয়ে সংঘটিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্মমতেও এভাবে বিয়ে বৈধ নয়। এই আইন অনুযায়ী একজন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদী কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের যে কেউ যে কাউকে বিয়ে করতে পারবে। পাত্র-পাত্রী একজনকেও ধর্মান্তরিত হতে হবে না। ধর্ম পরিবর্তন ছাড়াই তারা দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করতে পারবে। ইচ্ছে করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে অথবা যেকোন একজন নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস বাদও দিতে পারে। এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয়া সন্তানদের কোন ধর্মীয় পরিচয় থাকবে না। বড় হয়ে (১৮ বছর) তারা যেকোন ধর্ম বেছে নিতে পারবে অথবা ধর্ম বিশ্বাস ছাড়াই জীবন-যাপন করবে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর এসব সন্তান যার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে তার ধর্ম অনুযায়ী মীরাছ পাবে।
[ইসলামের বিরুদ্ধে এটি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। আমরা সরকারকে এ থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি (স.স.)]
এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২ হাযার ২১২ জন
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার গড় পাসের হার ৮৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে পাসের এই হার ৪ দশমিক ০৬ ভাগ বেশি। গত বছরে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৩১ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২ হাযার ২১২ জন। এই সংখ্যা গত বারের চেয়ে ৫ হাযার ৪৬৩ জন বেশি। গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশের ১২তম বছরে পাসের হার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গেছে। এবার দাখিল পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৮.৪৭ শতাংশ। যা গত বারের চেয়ে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাযার ৪৩৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাযার ৫২৪ জন।
[কেবল পাসের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সকলকে সেদিকে নযর দেবার আহবান জানাই (স.স.)]
গ্লোবাল পোষ্টের প্রতিবেদন
বিশ্বের নিকৃষ্ট হওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভিন্ন ধারার সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল পোষ্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর মধ্যে নিকৃষ্ট হওয়ার প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত। এখানে শ্রমিকদের বেতন যেমন পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে কম, তেমনি কর্ম পরিবেশও সবচেয়ে নিকৃষ্ট। সম্প্রতি প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কম্বোডিয়ার গার্মেন্ট শ্রমিকদের অর্ধেকেরও কম এবং চীনের শ্রমিকদের এক চতুর্থাংশের কম বেতন পান।
[রক্তচোষা ধনিক শ্রেণীর উপরে খবরদারি করার কেউ নেই। কেননা বর্তমান নবম জাতীয় সংসদের ৮০ শতাংশ এমপি হ’ল ব্যবসায়ী। গরীবকে বাঁচিয়ে রেখে তার রক্ত শোষণ করাই এদের নেশা। ইসলামী শ্রমনীতি চালু করা ব্যতীত এর কোন বিকল্প নেই (স.স.)]
সংসদে প্রতি ঘণ্টার ৫৮ মিনিট ব্যয় হয় নেতার গুণকীর্তন ও প্রতিপক্ষের সমালোচনায়
-মেনন
সংসদের কার্যক্রমের ঘণ্টার ৫৮ মিনিট ব্যয় হয় দলীয় নেতার গুণকীর্তন ও প্রতিপক্ষের সমালোচনায় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে গড়ে দুই মিনিট সময় সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলা হয়। বাকী সময় এক দল অন্য দলের সমালোচনা করে এবং নেতাদের মহান কর্মের গুণকীর্তন করে আলোচনার মাধ্যমে। গত ৫মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
[ধন্যবাদ মেননকে। এককালের বাম নেতা এখন খাসা পুঁজিবাদী। তাদের কথিত ‘শুয়োরের খোয়াড়ের’ তিনি নিজেও একজন সদস্য। অতএব নিজেকে সামলানোই ভাল হবে (স.স.)]
১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছে ডেসটিনি
ডেসটিনি গ্রুপের দু’টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রতিষ্ঠান দু’টি হ’ল ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন ৭৩ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। এ কারণে গত ৮ মে প্রতিষ্ঠানটির সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। আর ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকির তথ্য মিলেছে। এই তথ্য পেয়ে গত ৯ মে বুধবার প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ হুসাইনসহ পাঁচ শীর্ষ শেয়ারধারীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআর। এনবিআরে জমা দেয়া এই দু’টি প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের বিবরণীর সঙ্গে ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের এই গরমিল খুঁজে পায় এনবিআর। এনবিআর এখন ডেসটিনির অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়ের বিবরণী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ইতিমধ্যে ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের রাজস্ব সংক্রান্ত অনিয়ম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য এনবিআরের সদস্য (নিরীক্ষা, পরিদর্শন ও তদন্ত) মুহাম্মাদ আলাউদ্দীনের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
[দেশের রাঘব বোয়ালরা এদের সদস্য ও নীতিনির্ধারক। আমরা দশ বছর আগেই যার বিরুদ্ধে বলেছি সরকার এখন তার বিরুদ্ধে বলছে। তবে মনে হয় কেবল হাকডাক সার হবে। কারণ সরকার যে এ ব্যাপারে মোটেই আন্তরিক নয়, তা বুঝা গেছে (স.স.)]
দেশে পরোক্ষভাবে ৪ কোটি ২০ লাখ লোক ধূমপানের শিকার হচ্ছে
গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে অনুসারে দেশে ৪ কোটি ২০ লাখ লোক পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ১ কোটি নারী। কর্মক্ষেত্রে শতকরা ৬৩ এবং পাবলিক প্লেসে ৪৫ ভাগ ধূমপানের শিকার। শুধু রেস্তোরাঁয় ২ কোটি ৫৮ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হচ্ছে। তামাক বা ধূমপানজনিত কারণে প্রতিবছর ৫৭ হাযার মানুষ মারা যাচ্ছে। পঙ্গুত্ব বরণ করছে প্রায় ৩ লাখ ৮২ হাযার মানুষ। ধূমপানের ধোঁয়ায় প্রায় ৭ হাযার ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যাল থাকে, যার মধ্যে ৬৯টি ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
[এত প্রচারের পরেও এযাবত কোন সরকারই এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ধূমপান নিষিদ্ধ করার মত সাহসী পদক্ষেপ নিতে গেলে সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের আগে ধূমপান ছাড়তে হবে। তামাক চাষের বদলে খাদ্য-শস্য চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং তা লাভজনক করতে হবে (স.স.)]
বিদেশ
আফ্রিকার ভূ-গর্ভে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সুপেয় পানি সঞ্চিত রয়েছে
ভয়াবহ খরাপীড়িত মহাদেশ আফ্রিকার ভূ-গর্ভস্থ জলাধারগুলোতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সুপেয় পানি সঞ্চিত আছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি ভূ-গর্ভস্থ ঐসব জলাধারে ভূ-পৃষ্ঠে প্রাপ্ত সুপেয় পানির পরিমাণ থেকে শতগুণ বেশি পানি আছে। এনভায়রণমেন্টাল রিসার্চ লেটার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন (ইউসিএল) ও যুক্তরাজ্যের জিওলজিক্যাল সার্ভে (বিজিএস)’র গবেষকরা এ দাবি করেছেন। ধারণা করা হয়, বর্তমানে আফ্রিকা মহাদেশের ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছেন না। এ মহাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এবং ফসলের সেচের জন্য পানির চাহিদা আগামী কয়েক দশকে ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে। উত্তর আফ্রিকার লিবিয়া, আলজেরিয়া ও চাদের ভূ-গর্ভে পাললিক শিলার বিশাল স্তরের মধ্যে সবচেয়ে বড় জলাধারগুলোর অবস্থান বলে জানান প্রকাশিত নিবন্ধের অন্যতম লেখক বিজিএস’র হেলেন বনসর। তিনি বলেন, ভূ-গর্ভস্থ ঐ পানির উৎস এখনো আমাদের দৃষ্টির বাইরে, তাই আমাদের মনেরও বাইরে। কিন্তু মানচিত্র তৈরি শেষ হ’লে উৎসগুলোর সম্ভাবনার বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি খুলে যাবে। এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল কাজে লাগিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে ঐ ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা গেলে আফ্রিকার খরা ও সুপেয় পানির অভাব চিরতরে দূর হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।
[এটাই আল্লাহ্র ব্যবস্থাপনা। তিনি বান্দার জন্য ভূপৃষ্ঠে, ভূগর্ভে ও নভোমন্ডলে সর্বত্র রূযির ব্যবস্থা করে রেখেছেন। বান্দাকে কেবল খুঁজে বের করতে হবে এবং সবল-দুর্বল সকলকে বণ্টন করে দিয়ে পৃথিবীতে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে হবে (স.স.)]
শ্রীলংকায় মসজিদে বৌদ্ধদের হামলা
শ্রীলংকার মধ্যাঞ্চলে একটি মসজিদের উপর হামলার পর স্থানীয় মুসলমানরা শুক্রবারের ছালাতে যোগদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়েছেন। ডাম্বুলা শহরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে শ্রীলংকার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রায় দু’হাযার মানুষ মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার দাবিতে মসজিদের বাইরে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় মসজিদ থেকে সব মুছল্লীকে সরিয়ে নেয়া হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেখানে জুম‘আর ছালাত আদায় করা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। মসজিদ লক্ষ্য করে গত ১৯ এপ্রিল রাতে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি, তবে মসজিদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। শ্রীলংকার বহু বৌদ্ধ মনে করে ডাম্বুলা তাদের জন্য পবিত্র শহর। দেশের ঐ অঞ্চলে বিগত কয়েক মাস ধরে ধর্মীয় উত্তেজনা চলছে।
[ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাস দূর করাই হ’ল ইসলামী দাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য। সেকারণ ভ্রান্ত বিশ্বাসীরা ইসলামকে সহ্য করতে পারে না। এক্ষেত্রে ভারতে বাবরী মসজিদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের হামলা ও শ্রীলংকায় ডাম্বুলা মসজিদের বিরুদ্ধে বৌদ্ধদের হামলার মধ্যে আক্বীদাগত কোন পার্থক্য নেই। উভয়ে ইসলামের শত্রু। তবে একজন কিছু একটা ধারণা করবে। আর একটি প্রতিষ্ঠিত মসজিদকে ভেঙ্গে ফেলবে ও মুসলমান বিতাড়িত করবে, এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। ঐদেশের সরকার প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিবেন, এটাই আমরা কামনা করি (স.স.)]
সুপ্রিম কোর্টের ওপর মার্কিন নাগরিকদের আস্থা সর্বনিম্নে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের ওপর দেশটির নাগরিকদের আস্থা এখন সর্বনিম্নে এসে ঠেকেছে। ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ পরিচালিত এক নতুন জনমত জরিপে এ তথ্য জানা গেছে। জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, দেশটির শতকরা মাত্র ৫২ ভাগ মানুষ এখন সর্বোচ্চ আদালতের ওপর আস্থা রাখে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে জনমত জরিপ শুরুর পর গত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে কম জনসমর্থনের চিত্র। তিন বছর আগে সর্বোচ্চ আদালতের উপর আস্থা ছিল শতকরা ৬৪ ভাগ মানুষের। আর ১৯৯৪ সালে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ আস্থা ব্যক্ত করেছিল।
[সামনে আদৌ থাকবে কি-না সন্দেহ। কেননা যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল গণতান্ত্রিক দেশে দলতন্ত্রই প্রকট। আদালতগুলি তার ছোঁয়া থেকে মুক্ত থাকতে পারে না। এ থেকে বাঁচতে গেলে আইনজীবীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা আবশ্যক (স.স.)]
মন্দার মধ্যেও ব্রিটেনের ধনীরা আরো ধনী
অর্থনৈতিক মন্দা আরো ঘনীভূত হ’লেও গত বছর ব্রিটেনের ধনীরা আরো ধনী হয়েছেন। অনেক বিলিয়নিয়ার এবং মধ্যম মানের উদ্যোক্তাদের সম্পদ কমেনি বরং বেড়েছে। প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, ব্রিটেনে তালিকাভুক্ত শীর্ষ এক হাযার ধনীর মোট সম্পদ ৪১ হাযার ৪২৬ কোটি পাউন্ড। অর্থাৎ যা গতবারের তালিকাভুক্ত মোট এক হাযার ধনীর সম্পদের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। গতবার মোট সম্পদের অর্থমূল্য ছিল ৪১ হাযার ২৮৫ কোটি পাউন্ড। এবারের তালিকায় বিলিয়নিয়ার রয়েছে ৭৭ জন। ২০০৫-২০১১ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর ব্রিটেনে শীর্ষ ধনীর অবস্থান ধরে রেখেছেন ভারতীয় ইস্পাত ব্যবসায়ী লক্ষ্মী মিত্তাল। তার সম্পদের মূল্যমান এক হাযার ২৭০ কোটি পাউন্ড।
[গাছতলা ও পাঁচতলার বিভক্তির নামই তো পুঁজিবাদী অর্থনীতি। মন্দা থাকা না থাকা এদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর অনেকটা নির্ভর করে। তাই মন্দা দরিদ্রকে নিঃস্ব করলেও এদের গায়ে খুব কমই অাঁচড় লাগে। এদের সম্পদ ভেঙ্গে যাবে ও তা গরীবদের ঘরে যাবে, এই ভয়ে এরা ইসলামী অর্থনীতি চায় না। তাই সমাজদেহ শুকিয়ে এদের মাথাগুলিই কেবল মোটা হচ্ছে। হ্যাঁ, অবশেষে একদিন ঐ মাথাটাও ফেটে যাবে রক্তের চাপে। অতএব, হে ধনী! সাবধান হও (স.স.)]
অক্সফামের রিপোর্ট
বিশ্বে চলছে অবাধ অস্ত্র কেনাবেচা
অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত এক দশকে বিভিন্ন দেশ ২২০ কোটি ডলারের বেশি অস্ত্র আমদানী করেছে। অক্সফামের এক রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মানবাধিকার গ্রুপটি জানায়, অস্ত্র বাজারে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও বেশকিছু দেশ ব্যাপক আকারে অস্ত্র বাণিজ্য করেছে। এদের মধ্যে মিয়ানমার ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ৬০ কোটি ডলারের অস্ত্র ক্রয় করে। ইরান ৫৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে ২০০৭ থেকে ২০১০ এর মধ্যে। অপরদিকে অস্ত্র খাতে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো ১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে।
ভারতের ৬০ শতাংশ যেলার পানি দূষিত
ভারতের এক সরকারী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৬০ শতাংশ যেলার পানি দূষিত হয়ে গেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হ’ল ভারতের মোট ৬৩৯টি যেলার মধ্যে ৩৮৫টির পানিতেই নাইট্রেট পাওয়া গেছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক। তাছাড়া ১৫৮টিতে লবণের প্রাদুর্ভাব, ২৬৭টিতে ফ্লুরাইড, ৫৩টিতে আর্সেনিক ও ২৭০টিতে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত লোহা।