মরুভূমির তীন ফলের চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিনাজপুরে। এতে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও বিদেশে রফতানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই ফলটি বেশ সুস্বাদু, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল। জানা গেছে, যেলার নবাবগঞ্জ উপযেলার মালারপাড়ায় মতীউল নিজের চার বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন তীন ফলের বাগান। গত অক্টোবরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা এই বাগানে এরই মধ্যে ফল ধরা শুরু হয়েছে। এতে রোগ-বালাই নেই বললেই চলে। এই ফল চাষে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তীন গাছের কলম করে বিক্রির কাজও শুরু হয়েছে। আগামী মার্চ-এপ্রিল থেকে কলম বিক্রিও শুরু হবে।

গাযীপুর থেকে তীন ফলের চারা নিয়ে গত অক্টোবরে নিজের চার বিঘা জমিতে বাগান গড়ে তোলেন মতীউল। তীন গাছে প্রথম তিন মাসের পর থেকেই ফল ধরছে এবং প্রতি বছর দ্বিগুণ হারে ফল ধরবে। বর্তমানে তার প্রতিটি গাছে আড়াই থেকে তিন কেজি ফল ধরেছে। এরপর ছয় কেজি এবং তার পরের বার ১০ কেজি- এভাবে ক্রমেই ফলন বাড়বে। প্রতিটি তীন ফলের ওযন ৭০ থেকে ১১০ গ্রাম হয়। এটি দেশীয় কাকডুমুর থেকে বড়। তীন গাছ ৩ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ঘন এবং খসখসে পাতায় ভরপুর থাকে। গাছ কমপক্ষে ১০০ বছর বাঁচে। এক নাগাড়ে ৩৫ বছর সবসময়ই ফল দেয়। চাষী মতীউলের চার বিঘা জমির বাগানে এক হাযার গাছ রয়েছে। প্রথমবারেই ফল পাওয়া যাবে কমপক্ষে আড়াই টন। ঢাকার বাযারে ১ হাযার টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে পাওয়া যাবে ২৫ লাখ টাকা। বিদেশে রফতনি করলে আরও লাভবান হওয়া যাবে।

চাষী মতীউল জানান, তীন বাগানে রোগ-বালাই তুলনামূলক কম হয়। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। পরিচর্যার জন্য তার বাগানে ৭-৮ জন মানুষ সবসময় কাজ করেন। এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ২০ লাখ টাকা। প্রথম দিকেই খরচ হয়। এরপর তেমন আর খরচ নেই। তীন বাগান ও চাষ পদ্ধতি জানতে চাষী ও সাধারণ মানুষ বাগানটি দেখতে ভিড় করছেন এবং এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। উপকার সম্পর্কে তীন চাষী মতীউল বলেন, এই ফলের নানাবিধ পুষ্টিগুণের পাশাপাশি বহুবিধ ঔষধি গুণও রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এর চাষাবাদ হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। তিনি আরও জানান, এ তীন ফল দেশে সারা বছর পুষ্টি ও ফলের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব।






পদ্মা পেরিয়ে সঞ্চালন লাইন গেল চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পেল ১২ হাযার পরিবার
পাটকাঠি থেকে ছাপার কালি উদ্ভাবন করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র
বিচারকগণ যখন দুর্নীতির মাধ্যমে রায় বিক্রি করেন, তখন সাধারণ মানুষের আর যাওয়ার জায়গা থাকে না
কানাডায় হিজাবের পক্ষে যুগান্তকারী রায়
১৫ কেজি সোনা পেয়েও ফেরত দিলেন বাংলাদেশী পরিচ্ছন্নতা কর্মী তাহের আলী!
মানুষ বেচাকেনার হাট : নিলাম ডেকে মানুষ বিক্রি!
বৃটিশ জার্নালের রিপোর্ট : মহামারীতে ছিয়াম রাখা নিরাপদ
আদালতের রায় : ভাঙতে হবে গির্জা
ইফতারের আগে না খেলে শাস্তি
কীটনাশকের বিকল্প হিসাবে কাজ করছে হাঁস!
ইউরোপে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে বহুগুণ
স্বদেশ-বিদেশ
আরও
আরও
.