বুর্জ খলীফা : একই ইমারতে ইফতারের তিন সময়

একই ইমারতে ইফতারের জন্য তিন রকম সময়? হ্যাঁ, দুবাইয়ের ১৬০ তলা এবং ২,৭২২ ফুট উচ্চতার পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ইমারত বুর্জ খলীফায় যারা বাস করেন, তারা তিন সময়েই ইফতার করেন।

এই উচ্চতার কারণেই সেখানে সময়ের এই হেরফেরটা হয়। অর্থাৎ ইমারতের নীচতলায় যখন সূর্য ডুবে, ১৬০তম তলায় ডুবে এর আরো তিন মিনিট পর। আবার সূর্য উঠার সময় ঘটে উল্টোটা- ১৬০তম তলায় তিন মিনিট আগেই সকাল হয়ে যায়। একই ভবনে সকাল-সন্ধ্যার এই হেরফেরের কারণেই সেখানে ইফতার ও সাহারীর সময়েও ব্যবধান।

দুবাই ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ফৎওয়া বোর্ডের সাবেক প্রধান আহমাদ আব্দুল আযীয আল-হাদ্দাদ বলেন, ভবনের উচ্চতার বিভিন্নতার কারণে বুর্জ খলীফার বাশিন্দারা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইফতার, ফজরের ছালাত ও মাগরিবের ছালাত পড়বেন। এই ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৬০ তলাবিশিষ্ট এই ভবনটির ৮০ তলার উপরে যারা বসবাস করেন তারা নীচতলার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের দুই থেকে তিন মিনিট পর ইফতার আবার ২-৩ মিনিট পূর্বে সাহারী করবেন। উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এ ভবনটির নির্মাণে খরচ হয় দেড় হাযার কোটি মার্কিন ডলার।

চীনের জিনজিয়াংয়ে ছিয়াম পালনকারীদের জোরপূর্বক খাওয়ানো হচ্ছে

চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলটিতে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের বাস। যাদের অধিকাংশই মুসলিম। সেখানে কয়েক বছর ধরে তাদের ছিয়াম রাখার উপর নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এমনকি এ রামাযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে জোর করে খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সরকারী নিপীড়নের আশঙ্কায় ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীরা তাদের নাম প্রকাশ করতে চায়নি। তাদের মধ্যে একজন বলেন, আমরা যে ছিয়াম রাখিনি, তা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের সঙ্গে খাবার খেতে আমাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করলে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। অতএব আপনি যদি এ অঞ্চলে স্বাভাবিক জীবন চান, তাহ’লে ছিয়াম না রাখাই উত্তম।

এভাবে মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে মুসলমানদের ছিয়াম রাখার উপর নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এবছর বিশেষভাবে জিনজিয়াংয়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ছিয়াম পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, চীনের কমিউনিস্ট সরকার কোন ধর্মবিশ্বাসকেই সরকারীভাবে স্বীকৃতি দেয় না। কিন্তু অত্যাচার চালায় বিশেষতঃ মুসলমানদের উপর। সেখানে মুসলিমদের উপর চরম দমনাভিযান চলছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে চরমপন্থী আখ্যায়িত করে চীনের নিরাপত্তা বাহিনী ধরপাকড়, গুম, হত্যা এবং বিনা বিচারে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার কৌশল অবলম্বন করে।






আরও
আরও
.