শেষ পরিচয়
আবুল কাশেম
গোভীপুর, মেহেরপুর।
সময় শেষ ধরেছ বেশ
এখন দিব্যি মুসলমান,
কুরআন-হাদীছ ধার ধারো না
আছে শুধু সুন্দর নাম।
ছালাত-ছিয়াম করো তোমরা
বলো একটি শেষ কথা,
বাপ-দাদা করে এসেছে
ছাড়ব না তাদের প্রথা।
কুরআন-হাদীছ পড়ছ সবাই
হয়েছ তোমরা নাফরমান,
তবু কি বলতে পারো
আমরা সত্য মুসলমান?
ধর্মের নামতো মুখে বলো
কর্মের কোন খবর নাই,
সত্য-মিথ্যার বিচার হবে
সেদিন কিন্তু খুব দূরে নাই।
একটি কথা বলে সবাই
দেশের অধিক মুসলমান,
সারা দেশটা দেখলাম ঘুরে
কবর পূজার খুব ধুমধাম।
শিরক-বিদ‘আত আছে জুড়ে
বাংলার মানুষের হৃদয়,
পীর ছাহেবরা গ্রাস করেছে
কেরামতির দেয় দোহাই।
হকের দাওয়াত দেব আমরা
আছে সেই সকল আশা,
আহলেহাদীছ যুবসংঘ
হবে না কভু নিরাশা।
শিরক-বিদ‘আতের অবসান
এফ.এম. নাছরুল্লাহ
কাঠিগ্রাম, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
ছিঁড়ে ফেল তোর লটকানো তাবীয
ভুলে যা তোর খাজার নাম,
নতুন করে সাজা জীবন
কণ্ঠে তোল তোর রবের গান।
মসজিদ ছেঁড়ে মাযার ঘরে
ধরিস না তুই যিকিরটা,
থাকতে সময় করিস না ভুল
পোঁড়াস না তোর কপালটা।
কেমন যিকির করিসরে তুই
পীরের মাযার চরণে,
বেহুঁশ হয়ে থাকিস পড়ে
হুঁশ থাকে না পরাণের।
নারী-পুরুষ একই সাথে
ডাকছিস কেমন আল্লাহু,
আমীর হয়ে সামনে খাজা
পানির পাত্র মারছে ফুঁ...।
কেউবা নিচ্ছে কচ্ছপের জল
কেউবা পীরের চরণ ধূলা,
কেউবা গর্ভে চাচ্ছে মানিক
সুখ-আনন্দের নতুন ভেলা।
ভন্ডপীরের কান্ড দেখে
কেউবা হতবাক,
কেউবা তুলছে গাজার ধূয়া
কেউবা চাপছে নাক।
ছালাত ছেড়ে সমাজ নিয়ে
কেউবা হচ্ছে নেতা,
আশেক হয়ে পীর চরণে
বলছে মনের ব্যথা।
মাযার পূজা কবর পূজায়
দেশটা গেছে ভরে,
শিরক বিদ‘আত ছড়াছড়ি
সারা বাংলা জুড়ে।
কেউবা মুরিদ আট রশিতে
কেউবা খানজাহান,
কেউবা আবার শাহ জালাল
কেউবা শাহ পরান।
এসব থেকে সত্য দ্বীনের,
কে জানাবে আহবান?
বাংলার বুকে হবে কবে
শিরক-বিদ‘আতের অবসান?
***
পরিচয়
মুহাম্মাদ লুৎফর রহমান
কানসাট, শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
আহলেহাদীছ যুবক মোরা
সবাই বলে ভালো,
দেশের সেবা করব মোরা
জ্বালব জ্ঞানের আলো।
ছহীহ সুন্নাহ্র দাওয়াত দিব
সরাব, শিরক ও বিদ‘আত
অসৎ কর্ম আছে যত
মোরাই করব দূরীভূত।
বিশ্বের ভূমিতে জ্বালাবো মোরা
কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলো।
আহলেহাদীছ নামটি মোদের
এই তো মোদের পরিচয়
বলছেন রাসূল থাকবে এদল
হবে না তাদের কভু ক্ষয়।
***