মযলূমের বিজয় হবেই, এখনো আছিস মুহ্যমান
জানিস কখন জন্ম নিল দিগ্বিজয়ী নওজোয়ান?
পাথর কেটে তৈরি করা বক্ষে যাহার নেইকো ভয়
দেখতে মানব সুন্দর সে, বুকে তাহার হায়ানা রয়।
সরল লাজুক দৃষ্টিতে তার লুকিয়ে থাকে অগ্নিবাণ
যৌবনে তার যায় বয়ে ঐ উষ্ণ লহুর ঝড়-তুফান।
গরীব হয়েও বাদশাহ সে, হোক বেশভূষা তার নিম্নতর
জীর্ণ দেহেই বসত যদি করে মহা শক্তিধর,
কি দোষ হবে বল না তবে, বিনয় ঝরে কন্ঠে যার
তাহার গলায় গর্জে যদি সিংহরাজের রাজহুংকার?
সে বিনাশাক, সর্বনাশা, কঠিন সমর শক্তিধর,
হুংকারে তার সাগর নাচে, বাঁধন হারায় ঘূর্ণিঝড়।
যে দেশে নেই এমন মানুষ মুখফুটে যে কয় কথা,
যুলুম-শোষণ রুখবে এমন একটি মানুষ নেই যেথা
ধর্ষিতাদের চিৎকার কভু আজ থামে না যে দেশে,
সেই কাপুরুষ-ভীরুর দেশে জংলি-বুনো সিংহ সে।
সেই বীর কে? চিনিস তাকে? বক্ষে যাহার লক্ষ প্রাণ,
দেখ তাকিয়ে নিজের দিকে তুই তো সেই নওজোয়ান।
বীরের রক্ত তোর শরীরে বক্ষে অসীম শক্তি তোর,
দিসনে রে তুই দেখতে কোন যুলুমবাযকে নতুন ভোর।
ইনশাআল্লাহ তুই-ই পারবি, শক্তি যে তোর আল্লাহর দান,
লক্ষ-কোটি প্রাণের সমান তোর বুকের ঐ একটা প্রাণ।
যালিমশাহীর যুলুমকে তার প্রাসাদ মাঝেই গুড়িয়ে দে,
আয়রে জোয়ান বিজয় নিশান আজ আকাশে উড়িয়ে দে।
সারোয়ার মিছবাহ (কুল্লিয়া ৩য় বর্ষ)
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।