বিচারের নামে প্রহসন
ভারতীয় আদালতে ফেলানী হত্যায় বিএসএফ জওয়ান নির্দোষ প্রমাণিত
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘বিএসএফ’-এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সীমান্তরক্ষী বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল অমীয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে বিএসএফের নিজস্ব আদালত। মোট পাঁচজন বিচারক গোটা বিচার প্রক্রিয়া চালান এবং আদালত পরিচালনা করেন বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি কমিউনিকেশনস সি পি ত্রিবেদী। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী ভোরে পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার যেলার অন্তর্গত চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় ফেলানী খাতুন কনস্টেবল অমীয় ঘোষের গুলীতে নিহত হয়। ১৬ বছরের ফেলানীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার পিতা ও মামা দেশে ফিরিয়ে আনছিল। তার পিতা নূরুল ইসলাম ও মামা হানীফ কোনমতে কাঁটাতারের বেড়া পার হ’তে পারলেও বিএসএফ-এর গুলী খেয়ে ফেলানীর নিথর মৃতদেহ কাঁটাতারের উপররেই ঝুলে থাকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা। অতঃপর তার দু’হাত ও দু’পা বেঁধে বাঁশে ঝুলিয়ে তাকে নিয়ে যায়। একটি মুসলিম তরুণীর প্রতি এরূপ অসম্মানে ফেটে পড়ে তাবৎ বিশ্ব। যা বিশ্বের প্রায় সকল মিডিয়ায় প্রচারিত হয় ও মানুষের হৃদয়কে গবীরভাবে নাড়া দেয়। অমীয় ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। অভিযুক্ত আসামী নিজে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করে। এছাড়া প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণেও অপরাধ প্রমাণিত হয়। ভারতীয় পুলিশও তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করে। এতকিছুর পরও বিএসএফ-এর আদালত দোষীকে নির্দোষ বলে রায় দিল। ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ রায়ের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনও এ রায়কে প্রত্যাখান করেছেন এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ফেলানী হত্যাকান্ডে বিএসএফ আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আপিলের পর প্রয়োজনে তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে।
ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যর পরিসংখ্যান :
মানবাধিকার সংস্থাগুলির হিসাব মতে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলীতে বা নির্যাতনে গত ১২ বছরে গড়ে প্রতি ৪ দিনে একজন নিরীহ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর রেকর্ড অনুযায়ী ২০০০ সালের ১ জানুয়ারী থেকে গত ৩১ আগস্ট (২০১০) পর্যন্ত ৯৯৮ বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। একই সময়ে বিএসএফের হামলায় গুলীবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে ৯২৩ জন, অপহরণের শিকার হয়েছে ৯৩৩ জন, নিখোঁজ হয়েছে ১৮৬ জন ও পুশইনের শিকার হয়েছে ২৩৫ জনের বেশি। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫ নারী।
এছাড়া গত ১২ বছরে ভারতীয় সেনা কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ হাযার ৭ জন নারী। এভাবে ভারতীয় সেনারা গত ১০ বছরে বাংলাদেশী সীমান্তে হত্যা, অপহরণ, গুম ও ধর্ষণ-এর মত সাড়ে তিন হাযারেরও বেশি ঘটনা ঘটিয়ে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন করেই চলেছে। অথচ সে দেশের নেতৃবৃন্দ সবকিছু বন্ধ করবেন বলে হরহামেশা মিথ্যাচার করেই চলেছেন।
বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১০৪৪ ডলার
সরকারী পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ৯২৩ ডলার থেকে বেড়ে ১০৪৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় এই প্রথমবারের মতো চার অঙ্কের কোঠায় পৌঁছল। তবে এ দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান এখনো চতুর্থ। সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যে শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশী, ২ হাযার ৯২৩ ডলার। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের মাথাপিছু আয় ১ হাযার ৫২৭ ডলার। আর ১ হাযার ৩৮০ ডলার মাথা পিছু আয় নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান সার্কে তৃতীয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক দশকে ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশে দারিদ্রে্যর হার ধারাবাহিকভাবে কমে এসেছে। বর্তমানে দেশে দারিদ্রে্যর হার ২৭ শতাংশের নীচে। ২০০৮ সালে যেখানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ছিল ৬৩০ ডলার, পাঁচ বছরের মাথায় তা ৪১৪ ডলার বেড়ে হয়েছে ১০৪৪ ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টার কারণে প্রবাসী নাফীসের ৩০ বছরের কারাদন্ড
বোমা হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক বাংলাদেশী যুবক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফীসকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ৩০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। ২২ বছর বয়সী নাফীস নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। ‘স্টিং অপারেশন’ নামক একটি প্রকল্পের আওতায় আমেরিকার ছদ্মবেশী গোয়েন্দাদের সহায়তায় নাফীস বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু ঠিক করেছিল। এরপর একটি গাড়িতে প্রায় এক হাযার পাউন্ড নকল বিস্ফোরক ভরে ব্যাংকের সদর দরজার সামনে গিয়ে সে মোবাইলের মাধ্যমে বোমাটি ফুটানোর চেষ্টা করে। এভাবে নাফীস কার্যত দেশটির গোয়েন্দাদের পাতানো একটি ফাঁদে পা দিয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করে ১০ মাস যাবৎ বিচারকার্য চলার পর এ রায় প্রদান করা হয়। তবে দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় এ রায়ের পর আপিলের কোন সুযোগ নেই। দেশটির বিচার বিভাগের কাছে এক চিঠিতে সে নিজের দোষ স্বীকার করে।
চিঠিতে সে বলে, আমার কৃতকর্ম অমার্জনীয় ও কাপুরুষোচিত। এ বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার পর আমার কর্মকান্ডের প্রতি ঘৃণা জন্মেছে। আমি স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছি যে, নিশ্চিতভাবে এটা ছিল ইসলামের নামে ভুল শিক্ষা। এটি শুধু অনৈসলামিক নয়, বরং এটি আমার পরিবার ও আমার জীবনকে ধ্বংস করেছে, সর্বোপরি জীবনের এ দুর্বিপাকের জন্য আমার মাথা হেঁট হয়ে গেছে। অথচ এপথে চলার সময় কখনো আমার মনে হয়নি যে ধীরে ধীরে আমি ভুল পথে এগোচ্ছি।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইসলাম বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য আমি প্রচুর সময় পেয়েছি। আমি পুরো কুরআন পড়েছি, কারাগারে আসার আগে কখনো যে সুযোগ হয়নি। যতই পড়েছি, আমি ততই বুঝতে পেরেছি আমি কোন কিছু না বুঝেই অন্ধভাবে মৌলবাদীদের অনুসরণ করেছি। আমার পরিকল্পিত এই কর্মকান্ডের সমর্থনে আমি কুরআনের কোথাও একটি আয়াতও পাইনি। একেকটি দিন যাচ্ছিল, আর আমি আল্লাহকে ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম। গোয়েন্দারা যদি আমাকে এভাবে না ফাঁসাতো, তাহ’লে না জানি আমি কি করে বসতাম। তাই এরূপ অপকর্মের হাত থেকে রক্ষা করায় আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞ। মাননীয় বিচারক, আমি গুরুতর ভুল করেছি। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন।
[যারা ইসলামী হুকুমত কায়েমের জন্য সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য জিহাদ ও ক্বিতালের প্রতি তরুণদের উসকে দেন, তারা মূলতঃ ইহুদী-নাছারাদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছেন কি-না ভেবে দেখার বিষয়। বিগত দিনে তারা আফগানিস্তানে ‘তালেবান’ সৃষ্টিতে সহায়তা করে পরে তাদেরকে আবার সন্ত্রাসী বলেছে। স্টিং অপারেশনের ন্যায় অন্যান্য মুসলিম দেশে তারা এমন ধরনের অপারেশন অবশ্যই চালাচ্ছে কেবল ইসলামের বিজয় ঠেকানোর জন্য। অতএব মুসলিম তরুণরা সাবধান হও! (স.স.)]
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় আগুন লাগানোর সাজানো নাটক
বিদেশীদের অনুকম্পা ও দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় প্রচার পেতে এবং বাঙালী স্থানীয় মুসলিমদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই নিজেদের ভাঙ্গাচুরা ঘরে আগুন দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ঘর পোড়ানোর নাটক সাজানো হয়েছে। উক্ত উপযেলার তাইন্দং এলাকার পাহাড়ী পল্লীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর কোন প্রকার হুমকি ছাড়াই বেশ কিছু পাহাড়ী ফেনী নদী পার হয়ে ভারতে চলে যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালীদের হাতে পাহাড়ীদের নির্যাতন কিংবা পাহাড়ীদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা বিরল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এনজিও চক্রের ‘আদিবাসী অধিকার’, ‘আদিবাসী পুনর্জাগরণ’, ‘আদিবাসী পুনর্বাসন’, ‘আদিবাসী সংরক্ষণ’ ইত্যাদি হাক-ডাক মূলতঃ তাদের চিরায়ত নীলনকশা ও ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।
জানা গেছে, গত ৩ আগষ্ট শনিবার দুপুর ১২টায় ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে তাইন্দংয়ের বান্দরসিং এলাকা থেকে মুহাম্মাদ কামাল (৩২) নামে এক মোটরসাইকেল চালক অপহৃত হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাঙালীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুপুরের পর থেকে ঘটনার প্রতিবাদে বাঙালীরা মিছিল-মিটিং শুরু করে। এটাকে সুযোগ হিসাবে লুফে নিয়ে পাহাড়ীরা বিকাল ৩-টায় বান্দরশিংপাড়া, বগাপাড়া ও সর্বস্বপাড়ায় ঘর-বাড়িতে যে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় তা নিছক সাজানো নাটক।
অপহরণ বিষয়ে তাইন্দং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, অপহরণের ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
একই ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য ফণীভূষণ চাকমা ও বান্দরশিং পাড়ার কারবারী (গ্রামপ্রধান) বলেন, অপহরণের বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট।
জিডিপিতে অবদান বাড়ছে কুটির শিল্পের
অভ্যন্তরীণ জাতীয় উৎপাদনে (জিডিপি) ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতের অবদান ৫ দশমিক ২৭ ভাগ। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতের অবদান দিন দিন বাড়ছে। প্রতিবছর মোট দেশজ উৎপাদনে এর অবদান ৩১ হাযার ৫০০ কোটি টাকা। দেশে কুটির শিল্পের সংখ্যা ৮ লাখ ৩০ হাযার ৩০৬টি। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে ২৯ লাখ ৬৩ হাযার শ্রমিকের। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কুটির শিল্প জরিপ-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিদেশ
যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র দারিদ্রে্য উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ
যুক্তরাষ্ট্রের জনসাধারণের একটি বড় অংশ চরম দারিদ্রে্যর কবলে পড়েছে। তাদের অনেকের উপার্জন দৈনিক ২ মার্কিন ডলারের নীচে। ১৯৯৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দারিদ্রে্যর হার ১৬০ শতাংশ বেড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির ‘ন্যাশনাল পভার্টি সেন্টার’ (এনপিসি)-এর ঐ রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে চরম দারিদ্র্যগ্রস্ত এসব লোকের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৩৬ হাযার। ২০১১ সালে এসে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৫০ হাযার।
ভারতের স্কুল-মাদরাসায় গীতাপাঠ বাধ্যতামূলক!
সম্প্রতি ভারতের মধ্য প্রদেশের সব ইসলামিক স্কুল ও মাদরাসায় হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ‘গীতা’ পাঠ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মধ্য প্রদেশের বিজেপি সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মধ্য প্রদেশ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর উর্দূ পাঠ্যবইতে এখন থেকে গীতার শ্লোক থাকবে। উদ্দেশ্য হ’ল ভারতকে একক হিন্দু রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। তার অংশ হিসাবে মধ্য প্রদেশের উগ্র হিন্দু মৌলবাদী বিজেপি সরকার মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য গীতাপাঠ বাধ্যতামূলক করেছে। সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলিমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
তুরস্কে জনসংখ্যা বাড়াতে নারীদের প্রতি বেশি সন্তান নেয়ার আহবান
জনসংখ্যা বাড়াতে তুর্কী নারীদেরকে অন্তত তিনটি করে সন্তান জন্ম দেয়ার আহবান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েব এরদোগান। দৈনিক পত্রিকা ‘আশ-শারকুল আওসাত্ব’ লিখেছে, সন্তান জন্ম দিয়ে দেশকে সহযোগিতা করতে বলেছেন এরদোগান। এর আগে তিনি গর্ভপাত বন্ধের জন্য নারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ব্যাপকভাবে কমে গেছে। সন্তান নেয়ার ব্যাপারে অনেক নারীই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ঐসব দেশের জনসংখ্যা না বেড়ে শুধুই কমতে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে দেশে জনসংখ্যার ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
[ইসলামের বিরোধিতা করা যে আত্মহত্যার শামিল, এতদিন পরে ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্কের সে হুঁশ ফিরেছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ (স.স)]
ভারতে প্রতিদিন ৩৭০ জন ব্যক্তি আত্মহত্যা করছে
ভারতে গড়ে প্রতিদিন ৩৭০ জন ব্যক্তি আত্মহত্যা করছে এবং গত তিন বছরে দেশটির চার লাখেরও বেশি নাগরিক আত্মহত্যা করেছে। ভারতের অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো জানিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সালে দেশটিতে ৪ লাখ ৫ হাযার ৬২৯ ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরপিএন সিং লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান। ভারতে গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। সেখানে গত তিন বছরে আত্মহত্যা করেছে ৪৯ হাযার ৪৫১ জন। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্র প্রদেশ। এই প্রদেশগুলিতে গত তিন বছরে আত্মহত্যা করেছে যথাক্রমে ৪৭ হাযার ৯৭৫, ৪৭ হাযার ৪৮৬ ও ৪৫ হাযার ২১৬ জন।