গত ১লা এপ্রিল ‘দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের প্রধান নিয়ামক’ বিষয়ক দুদক আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, রাজনীতিবিদ ও আমলাদের যোগসাজশেই দুর্নীতি হয়। রাজনীতিবিদরা চাইলেই দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ সম্ভব। বড় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক যদি ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাহ’লে দুদক বেশী দূর আগাতে পারবে না।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ভিসি ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, রাজনীতিবিদ ও আমলাদের অনৈতিক যোগসাজশ ভাঙতে না পারলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব নয়। আমাদের দেশে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা হলফনামা দিয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। কিন্তু কেউ যদি মিথ্যা হলফনামা দিয়ে যাত্রা শুরু করেন, তাহ’লে এদের প্রতি জনগণ আস্থা রাখবে কীভাবে? তিনি আরো বলেন, দুদকের উচিত চিহ্নিত বড় বড় দুর্নীতিবাজদের ডেকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ না করে, বরং তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। প্রশাসনের নিয়োগ-বাণিজ্য, পদায়ন ও বদলি-বাণিজ্যের লাগাম টেনে ধরা।
সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সব দুর্নীতিই দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়, এটা সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। আমলারা যদি চেয়ারের মায়া ত্যাগ করে আইনানুগভাবে তাঁদের সব দায়িত্ব পালন করেন, তাহ’লে কারও পক্ষেই দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। অনৈতিক যোগসাজশ ছাড়া কোন দুর্নীতি সংঘটিত হ’তে পারে না।
[কথাগুলি খুবই সত্য ও বাস্তব। সাহস করে সত্য বলার জন্য বক্তাদের ধন্যবাদ। তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে তখনই, যখন আল্লাহভীরু ও যোগ্য লোকেরা সর্বত্র দায়িত্বশীল হবে। প্রচলিত দলীয় রাজনীতিতে যেটা একেবারেই অসম্ভব। অতএব ইসলামের নির্দেশনা মতে দল ও প্রার্থীবিহীন ইসলামী নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি দেশে চালু করার পক্ষে একমত হৌন ও জনমত গড়ে তুলুন (স.স.)]