সাধারণ মানুষের মাঝে কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকৃত গরুর ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির ফলে ক্ষতিকর পদ্ধতি অবলম্বনে মোটাতাজাকারী একশ্রেণীর খামারী এবছর ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন। কারণ এসব গরুর অধিকাংশই বিক্রি হয়নি। রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপযেলায় এমনই কয়েকজন খামারী বলেন, তারা তিন-চার মাস আগে বিভিন্ন হাটবাজার থেকে রোগা-পাতলা এঁড়ে গরু কিনে এনে মোটাতাজা করেন। এজন্য গরুকে তাঁরা বিভিন্ন বড়ি সেবন করান এবং স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশন পুশ করেন। তাছাড়া কৃত্রিম খাদ্য খাওয়ান। এতে তিন মাসেই গরু ফুলেফেঁপে ওঠে। কোরবানীর ঈদে সাধারণত ক্রেতাদের সব সময় দৃষ্টি থাকে মোটাতাজা গরুর দিকে। কিন্তু এবার এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। মোটাতাজা গরু কেনার প্রতি ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ ছিল না।

বদরগঞ্জের গরু ব্যবসায়ী হায়দার আলী বলেন, এবারের ক্রেতাদের ধারণা, মোটাতাজা করা গরু মানেই ক্ষতিকর ইনজেকশন দেওয়া। ফলে লাভের আশায় আমি মোটাতাজা শতাধিক এঁড়ে গরু কিনে ধরা খেয়েছি। ১০টি গরুও বিক্রি করতে পারিনি।

অপর দুই খামারী বলেন, তারা মাস তিনেক আগে ১৪০টি এঁড়ে গরু প্রায় ৩০ লাখ টাকায় ক্রয় করে। এসব গরু মোটাতাজা করার পেছনে ইনজেকশন পুশ করাসহ বড়ি ও কৃত্রিম খাদ্য খাওয়াতে খরচ হয়েছে আরও অন্তত তিন লাখ টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ২০টি গরু। বাকী ১২০টি মোটাতাজা করা গরু শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে পারিনি। তাঁদের মতে, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু বেশী দিন টেকে না। তিন-চার মাসের মাথায় হঠাৎ মরে যায়। তারা এখন এসব গরু নিয়ে কী করবে, ভেবে পাচ্ছে না।

প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘একশ্রেণীর অধিক মুনাফালোভী অসাধু খামারী স্টেরয়েড জাতীয় ক্ষতিকর ইনজেকশন দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করেন। এসব গরুর গোশত মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তবে মোটাতাজা গরু মানেই যে ইনজেকশন দেওয়া, এমন ধারণাও সঠিক নয়।






কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ
সবচেয়ে উষ্ণ এপ্রিল দেখল বিশ্ব : এবার অতিবৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা
ভারতে প্রথমবার চালু হ’ল শুধুমাত্র নারীদের হজ্জ ফ্লাইট
কিডনী দিয়ে পুত্রবধুর জীবন বাঁচালেন শাশুড়ী
ফলের বিশ্বে সফল বাংলাদেশ
জার্মানীর আচেন ডিস্ট্রিক্ট স্কয়ার এখন ‘মসজিদ চত্বর’
নিঃসঙ্গতায় ডুবছে জাপান : ছয় মাসে একাকী মারা গেছে প্রায় ৪০ হাযার মানুষ!
ভোলায় আরও সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা মূল্যের গ্যাসের সন্ধান
ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হ’লে যে ক্ষতি
ব্রিটেনের ‘সেরা স্কুল’ নির্বাচিত হ’ল দু’টি ইসলামিক স্কুল
দেশে ১২% সংখ্যালঘু, অথচ সরকারী চাকুরীতে ২৫%
অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি করতে বাজারে তুললেন খাগড়াছড়ির এক মা!
আরও
আরও
.