পালটে যাচ্ছে কারা সেবার ধরন। দেশের ৬৮টি কারাগারের নামও পালটে হবে সংশোধনাগার। এছাড়া কারাবন্দীদের মানবিক সুযোগ-সুবিধা আধুনিকায়ন, দুর্নীতি ও মাদক সরবরাহ বন্ধে নেওয়া হচ্ছে অনেক উদ্যোগ। জানা গেছে, এখন থেকে কারাগারের নির্ধারিত বুথে গিয়ে কারাবন্দীরা নিজেদের স্বজনদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সুবিধা পাবেন। সপ্তাহে এক দিন ১০ মিনিটের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হবে। আপাততঃ নারায়ণগঞ্জ যেলা কারাগার (সংশোধনাগার) থেকে পাইলট ভিত্তিতে এই কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য ইতিমধ্যে তথ্য-প্রযুক্তিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে।

সেবা ও সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসাইন বলেন, এই কার্যক্রম চালু হ’লে বন্দীদের পরিবারের সদস্যদের বারবার সশরীরে কারাগারে গিয়ে সাক্ষাত করার প্রয়োজন পড়বে না। তাছাড়া কারাগারে স্বজনদের যে হয়রানির শিকার হ’তে হয় সেটাও থাকবে না। স্বজনদের সঙ্গে বন্দীদের দেখা-সাক্ষাতের মাঝখানে মাদক আদান-প্রদানসহ যেসব দুর্নীতি হয় সেটিও অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হবে। পরিবার বলতে যদি কোন পুরুষ বন্দীর স্ত্রী-সন্তান থাকে তারা এ সুবিধা পাবে। ভিডিও কলে কথা বলার স্থানেও বসবে সিসি ক্যামেরা। বর্তমানে প্রতিটি কারাগারের খাবারের মান দেখতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। তাদের খাওয়ার মানও পর্যবেক্ষণ করা হয় সিসি ক্যামেরায়। পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে দর্শনার্থীদের সাক্ষাৎপর্বও।

[প্রতি ১৫ দিন অন্তর বন্দীদেরকে তাদের স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে কারাগারের মধ্যে কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা নিরিবিলি থাকার সুযোগ দিন। তাতে বন্দীদের মানবিক ও জৈবিক চাহিদা পূরণ হবে। তাতে সংসারে শান্তি বজায় থাকবে। এ বিষয়ে আমাদের ২০টি পরামর্শ দ্রষ্টব্য : সম্পাদকীয় ‘কারা সংস্কারে আমাদের প্রস্তাব সমূহ’ মে ২০১৬ (স.স.)]।

 






আরও
আরও
.