‘ব্লগাররা লেখনীর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। আর জঙ্গীরা মানুষ হত্যা করে সমাজের, রাষ্ট্রের, মানবতার ক্ষতি করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। গত ৬ই আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, তরুণদের কেউ কেউ জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, আবার কেউ কেউ মুক্ত চিন্তায় আদর্শিক। অতিরিক্ত মুক্তচিন্তা করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছে ব্লগাররা। তারা ইসলাম ধর্ম ও রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে যে ধরনের কটূক্তি করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

আইজিপি বলেন, আগে একটা ধারণা ছিল সমাজের দরিদ্র ও মাদরাসার ছেলেরা জঙ্গীবাদের সাথে জড়িত। কিন্তু এ ধারণা বিগত কয়েকটি ঘটনায় ভুল প্রমাণিত হয়েছে। শিক্ষিত ছেলেরাও জঙ্গী হয়ে উঠছে। শিক্ষিত ছেলেরা সরাসরি জান্নাতে যাওয়ার লোভে জঙ্গী হচ্ছে। জঙ্গীদের বোঝানো হয়েছে মুশরিক, মুরতাদ, মুনাফিক, কাফের এই চার শ্রেণীর লোকদের হত্যা করলে কোন বিচার হবে না। সরাসরি জান্নাতে চলে যাবে। এই জান্নাতের স্বপ্ন দেখে তারা মুসলমানদের হত্যা করছে। জঙ্গীবাদে কেউ একবার মোটিভেট হয়ে গেলে তাকে আর ফেরানো যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আটকদের অনেকবার বুঝিয়েও আমি কোন ফল পাইনি। তিনি বলেন, এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর এটা শুরু করতে হবে পরিবার থেকে। পিতা-মাতাকে তার সন্তানের প্রতি তীক্ষ্ণ নযরদারী রাখতে হবে। আত্মার সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদের বিপথগামী করা হচ্ছে। সবার মাঝে তাই ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ছড়িয়ে দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে আলেমসমাজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।

মুসলমান দিয়ে মুসলমান ধ্বংসে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে ইহূদীরা ষড়যন্ত্র করছে। আইএস-এর মত সংগঠন তৈরী করে মুসলমানদের দিয়ে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। কারা তাদের সাহায্য করছে। কারা তাদের অস্ত্র দিচ্ছে তা সবার জানা।

[ধন্যবাদ জনাব আইজিপি মহোদয়কে স্পষ্টভাবে হক কথা বলা জন্য। ব্লেইম গেইমে অভ্যস্ত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা এটা বুঝলে খুশী হব’ (স.স.)]






আরও
আরও
.