স্বদেশ

রাবির দুই পদার্থ বিজ্ঞানীর নতুন থিওরি

আলোর চেয়ে নিউট্রিনোর গতি অনেক বেশি

আজ থেকে ১০৬ বছর আগে ১৯০৫ সালে ‘রিলেটিভিটি’ বা ‘আপেক্ষিকতত্ত্ব’ মতবাদে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন দেখিয়েছিলেন, আলোর গতি সবচেয়ে বেশি। তার রিলেটিভিটি মতবাদ অনুযায়ী কোন বস্ত্তর গতি আলোর চেয়ে বেশি হওয়া তো দূরের কথা, এমনকি সমানও হ’তে পারে না। সেই থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানীই তার ঐ মতবাদের বাইরে নতুন কোন থিওরি দিতে পারেনি। কিন্তু দীর্ঘ ১০৬ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন পদার্থবিজ্ঞানী ১৫/২০ বছর যাবৎ গবেষণা চালিয়ে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতত্ত্ব মতবাদকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন থিওরি দিয়েছেন। তাদের গবেষণায় সম্প্রসারিত আপেক্ষিকতত্ত্ব মতবাদের সাহায্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, বস্ত্তর বেগ আলোর চেয়ে বেশি হ’তে পারে। সেই বস্ত্তকণিকা ‘নিউট্রিনো’ আলোর চেয়ে বেশি বেগে স্থানান্তরিত হয়। গত ৭ অক্টোবর দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ওছমান গণী তালুকদার ও প্রফেসর ড. মুশফিক আহমাদ এ দাবী করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্প্রতি একদল ইউরোপীয় বিজ্ঞানী জেনিভার কাছে ভূগর্ভস্থ সার্নের গবেষণাগার থেকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন বিশেষ জাতের কণা ‘নিউট্রিনো’। মাটি ফুঁড়ে সেই সমস্ত কণা গিয়ে পৌঁছায় ৭৩০ কি.মি. দূরে ইতলীয় গ্র্যান স্যাসো পাহাড়ে অবস্থিত অন্য একটি গবেষণাগারে। ঐ দূরত্ব পাড়ি দিতে আলোর যে সময় লাগত নিউট্রিনোগুলোর সময় লেগেছে তার চেয়ে ১ সেকেন্ডের একশ’ কোটি ভাগের ৬০ ভাগ কম। আলোর গতি যেখানে সেকেন্ডে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাযার ৪৫৮ মিটার, সেখানে নিউট্রিনোর গতি সেকেন্ডে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯৮ হাযার ৪৫৪ মিটার। যার অর্থ হ’ল নিউট্রিনো ছুটতে পারে আলোর চেয়ে বেশি গতিতে।

এর আগে ড. ওছমান গণী ও ড. মুশফিক আহমাদ সংবাদ সম্মেলন করে, বই প্রকাশ করে এবং প্রবন্ধ লেখাসহ নানাভাবে ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন যে, বস্ত্তর বেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশি হ’তে পারে। ২০০১ সালে ড. গণী An Alternative Approach to the Relativity নামক একটি বই প্রকাশ করেন। এ বইটি প্রকাশ করার আগে ২০০১ সালের ২০ মে সংবাদ সম্মেলনে নিউট্রিনো নামক বস্ত্তকণিকা আলোর গতির চেয়ে বেশি বলে তিনি ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ২০ বছরে তারা গবেষণা করে আইনস্টাইনের অসম্পূর্ণ আপেক্ষিকতত্ত্ব মতবাদকে আরো সম্প্রসারিত ও সম্পূর্ণ করাসহ এ সংক্রান্ত নতুন তিনটি সমীকরণ ও কিছু মৌলিক ধ্রুব সংখ্যা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।

গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে তিন হাযার ৩৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে সূদ-আসল মিলিয়ে প্রায় ৩ হাযার ৩৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ এনেছে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন’ (বিটিআরসি)। গত ৩ অক্টোবর গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে উক্ত টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে  বিটিআরসি। এদিকে গ্রামীণফোন অডিট রিপোর্ট নাকচ করে দিয়ে ৪ অক্টোবর বিটিআরসিকে পাল্টা চিঠি দিয়েছে। তারা বলেছে, বিটিআরসির যে অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে টাকা দাবী করা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক এমনকি জাতীয় মানদন্ডের অডিটও হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোনে পরিচালিত অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে এই রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। রাজস্ব আদায় নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের মধ্যে আয়োজিত ১০ অক্টোবরের বৈঠক কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। এদিকে গত ১৬ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে টেলিনরের এশীয় অঞ্চলের প্রধান এবং গ্রামীণফোনের (জিপি) পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান সিগভে ব্রেক্কে জানিয়েছেন, বিটিআরসির দাবী করা তিন হাযার ৩৪ কোটি টাকা দেবে না জিপি। প্রয়োজনে তারা আইনের আশ্রয় নেবে বলে তিনি জানান। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রজন্মের (টু-জি) লাইসেন্স নবায়নে তরঙ্গ বা স্পেক্ট্রাম ফি হিসাবে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলকে অতিরিক্ত মোট ৪২৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা পনেরো দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য গত ১৭ অক্টোবরে চিঠি পাঠিয়েছে বিটিআরসি। এর মধ্যে গ্রামীণফোনকে এখন অতিরিক্ত ৩৮২ কোটি ৮৩ লাখ সহ মোট জমা দিতে হবে তিন হাযার ৬২৪ কোটি তিন লাখ টাকা।

দেড় কোটি টাকা নিয়ে বগুড়ায় এমএলএম কোম্পানী ড্রিমল্যান্ড লাইট চম্পট

‘মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং’ (এমএলএম) ব্যবসার নামে পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বগুড়া থেকে উধাও হয়ে গেছে ‘ড্রিমল্যান্ড লাইট লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানীটির বগুড়ার ফিল্ড সুপারভাইজার ফাতেমাতুয্যাহরা জুলির আমন্ত্রণে এক বছরে বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে বহু নারী লাখ লাখ টাকা জমা দেয় কোম্পানীতে। কেউ ব্যবহৃত গহনা বিক্রি করে, কেউ জমি বন্ধক রেখে, কেউ ব্যাংকের ডিপিএস ভেঙ্গে বহু কষ্ট করে প্রত্যেকে ২১ হাযার করে টাকা জমা দিয়ে কোম্পানীর সদস্য হন। ভুক্তভোগী একজন জানান, ২১ হাযার টাকা জমা রাখলে এক বছর পর ঐ সদস্যকে ৫৬ হাযার টাকা দেয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। বিশ্বাস স্থাপনের লক্ষ্যে শুরুতে বেশ কয়েকজন সদস্যকে প্রতি সপ্তাহে কমিশনও দেয়া হয়। টাকা জমা নেয়া হয় অথচ কোন প্রমাণপত্র দেয়া হয় না। এক মাস পর সদস্যদের কমিশনের টাকা বন্ধ করে দেয়া হয়। একপর্যায়ে গত ১২ অক্টোবর বিকেলে অফিসের আসবাবপত্র সরানোর খবর পেয়ে সদস্যরা ছুটে এসে অফিস ঘেরাও করে। কাউকে না পেয়ে অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার জুলিকে আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করে তারা। উল্লেখ্য, কোম্পানীটির প্রধান অফিস রাজধানীর ফকিরাপুলে বলে জানা যায়।

মিসরীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে সঊদীতে ৮ বাংলাদেশীর শিরশ্ছেদ

সঊদী আরবে ৮ বাংলাদেশী নাগরিককে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। হাসান আস-সা‘ঈদ নামক এক মিসরীয় নাগরিককে হত্যার অভিযোগে তাদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। সঊদী আরবের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে গত ৭ অক্টোবর রাজধানী রিয়াদে আছরের ছালাতের পর তাদের দন্ড কার্যকর করা হয়। তাদের লাশ সঊদী আরবেই দাফন করা হয়েছে। যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে তারা হ’লেন, সুমন মিয়া (কিশোরগঞ্জ), মুহাম্মাদ সুমন (টাঙ্গাইল), মাস‘ঊদ (ঐ), মামূন (ঐ), শফীকুল ইসলাম (ঐ), ফারূক জামাল (কুমিল্লা), আবুল হোসেন (ফরিদপুর) ও মতীউর রহমান (ঐ)।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া ৮ বাংলাদেশীসহ মোট ১১ জন বাংলাদেশী ২০০৭ সালের ২২ এপ্রিল রিয়াদে এক গুদাম থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরির সময় সে গুদামের মিসরীয় গার্ড হাসান আস-সা‘ঈদকে তারা হত্যা করে। অভিযুক্তরা আদালতে তাদের এ অপরাধের কথা স্বীকারও করেন। আসামীদের স্বীকারোক্তি ও পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলী বিচার করে তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, নরহত্যা এবং যমীনে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারিক আদালত উল্লেখিত ৮ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং অন্য তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও বেত্রাঘাতের দন্ড প্রদান করে।

আদালত সমূহ জুয়ার আড্ডা

-ড. আকবর আলী

বাংলাদেশের আইনজ্ঞদের ইতিহাস পাঠ করতে হবে। ব্রিটিশরা যে আইন প্রণয়ন করে গেছে বর্তমান আইন ব্যবস্থার সঙ্গে তার কোন মিল নেই। এ ব্যবস্থায় দু’পক্ষের জেতার কোন সুযোগ নেই। ব্রিটিশদের এই আইনের মাধ্যমে জাল দলীল করা এবং একজনকে জেলে পাঠানো সম্ভব হ’ত। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমাদের বিচার ব্যবস্থা জুয়ার আড্ডায় পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় নৈতিকতার  ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন করে দেশকে রক্ষা করার আহবান জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান। তিনি গত ১৬ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

১০৬ বছরের এক বৃদ্ধের করুণ কাহিনী

মাত্র দুই বিঘা জমি স্ত্রী-সন্তানদের নামে লিখে না দেয়ায় টাঙ্গাইলের মধুপুরের  অরণখোলা ইউনিয়নের আকালিয়া বাড়ী গ্রামের ১০৬ বছরের বৃদ্ধ মুহাম্মাদ আলী পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন। বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তির জীবন। এরপর প্রাণে বেঁচে থাকতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রায্যাকের কাছে তার বাসায় গিয়ে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। মন্ত্রী তার অভিযোগ আমলে নিতে উপযেলা চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে লিখিত চিঠিসহ ধনবাড়ীর একটি মাইক্রোবাসে অন্যদের সঙ্গে ঐ বৃদ্ধকে মধুপুর পাঠিয়ে দেন।

বিনা মাশুলে ট্রানজিট শুরু

স্থায়ী কোন অবকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে ভারতকে বিনা মাশুলে ট্রানজিট দেয়া শুরু হয়েছে। এই নৌবন্দরে বালুর বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ঘাট বানানো হয়েছে, যেখানে ঝুঁকি নিয়ে ভারী মালপত্র নামানো হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অফিস চলছে পেট্রোলপাম্পের দু’টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে। আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কপথ কোনভাবেই ভারী যান চলাচলের উপযোগী না হ’লেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নৌ-প্রটোকলের আওতায় ট্রানজিট পণ্য ত্রিপুরার আগরতলায় যাচ্ছে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে আশুগঞ্জ নৌবন্দর বিশেষ করে ৫৫ কিলোমিটার সড়কপথের। আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আখাউড়া- এই তিন উপযেলার বিস্তীর্ণ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নৌ-প্রটোকলের আওতায় এসব ট্রানজিট পণ্যে ভারতকে কোন মাশুল দিতে হচ্ছে না।

বিদেশ

পুঁজিবাদ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্ব

পুঁজিবাদের লোভ-লালসা, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ও সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বৈষম্য, বেকারত্ব ও বঞ্চনার প্রতিবাদে ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ বা ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল কর’ নামে নিউইয়র্কে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা-ইউরোপ হয়ে আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার ৮২টি দেশের ৯৫১টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। মূলত অর্থনৈতিক অসমতা, বেকারত্ব ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে নামে মানুষ। ঐদিন সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে ইতালির রাজধানী রোমে। সেখানে দুই লাখেরও বেশি মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেয়। এদিকে আমেরিকার নিউইয়র্কে প্রতিদিনই পুঁজিবাদের প্রতীক ‘ওয়াল স্ট্রিটে’ বিক্ষোভ হচ্ছে। দেশটির মোট সম্পদের শতকরা নিরানববই ভাগ মাত্র এক ভাগ নাগরিকের হাতে কুক্ষিগত রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন সরকার সাধারণ নাগরিকদের ওপর নতুন নতুন করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে এবং দেশটির সাধারণ জনগণের জন্য সাহায্যের কোন প্যাকেজ ঘোষণা না করে কেবল ধনকুবেরদের নিয়ন্ত্রিত কথিত ‘দেউলিয়া হয়ে পড়া’ ব্যাংক ও কোম্পানীগুলোকে অর্থ সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। অথচ মালিক ও পুঁজিপতিদের দুর্নীতির কারণেই এসব প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়েছে এবং বেড়েছে বেকারত্ব। সরকারী সাহায্যের সুবিধাভোগী ব্যাংক ও অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ক্ষোভের কারণেই চলমান গণঅসন্তোষ শুরু হয়েছে ওয়াল স্ট্রিটসহ গোটা আমেরিকায়। উল্লেখ্য, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করছে।

দিল্লীতে দিনে ৩৮ জন ধর্ষণের শিকার হন

ভোর  ৬-টা থেকে বেলা ১২-টার মধ্যেই ভারতের রাজধানী দিল্লীতে ৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বেলা ১২-টা থেকে সন্ধ্যা ৬-টার মধ্যে ১৭টি এবং সন্ধ্যা ৬-টা থেকে রাত ১২-টা পর্যন্ত ১৪ জন ধর্ষণের শিকার হন। সেখানে একদিনে মোট ৩৮ জন ধর্ষণের শিকার হন। ‘সেন্টার ফর সোশ্যাল রিসার্চে’র একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১১’র জুলাই পর্যন্ত পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া ৫৮টি এফআইআর বিশ্লেষণ করে এই চিত্র মিলেছে।

ব্রিটেনের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ সুখী; সামাজিক অবক্ষয়ে ৫৯ শতাংশের উদ্বেগ প্রকাশ

অপরাধপ্রবণতা ও সহিংসতার হার বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের কারণে ব্রিটিশরা দিন দিন হয়ে উঠছে অসুখী। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনের চেয়ে কম আয়তনের দেশ বিশেষ করে পোল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালী, স্পেনের মানুষ যেখানে সুখী ও সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করছে, সেখানে মাত্র পাঁচ শতাংশ ব্রিটিশ বলছে তারা সুখী। ইউরোপের ১০টি দেশের মধ্যে ঐ গবেষণা চালায় ‘ইউসুইচ ডটকম’ নামের একটি ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ। গবেষণায় দেখা যায়, লন্ডনের ৫৯ শতাংশ মানুষই দেশটির সামাজিক অবক্ষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক দাঙ্গার পর তাদের এই উদ্বেগ আরো বেড়েছে। ৪৯ শতাংশ মানুষ বলেছে, সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা তাদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ৪৭ শতাংশ অপরাধ ও সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় রীতিমত আতংকিত।

ইরাক ও আফগান যুদ্ধকে অপচয় মনে করেন মার্কিন সৈনিকেরা

ইরাক ও আফগান যুদ্ধফেরত প্রতি তিনজনের একজন মার্কিন সেনাসদস্য মনে করেন, এই যুদ্ধ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আন্তর্জাতিক বিষয়ের দিকে নজর কম দিয়ে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া। ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ পরিচালিত ঐ জনমত জরিপ গত ৫ অক্টোবর প্রকাশ করা হয়। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে এবং সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে জরিপটি করা হয়। প্রথমবার এক হাযার ৮৫৩ এবং দ্বিতীয় দফায় দুই হাযার তিনজনের ওপর ঐ জরিপ করা হয়। উল্লেখ্য, টাইম অনলাইনের প্রতিবেদন মতে, ইরাকে এ পর্যন্ত সাড়ে চার হাযার এবং  আফগানিস্তানে এক হাযার ৭শ’ মার্কিন সেনাসদস্যের প্রাণহানি হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করছে ডাচ সরকার

সব ধরনের মাদক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ড সরকার। গত ৭ অক্টোবর ডাচ সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথমেই কোকেন বা এক্সটেসি জাতীয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নেশার দ্রব্য চিহ্নিত করা হবে। এরপর ধাপে ধাপে সব ধরনের মাদকদ্রব্য পৃথক করে নিষিদ্ধ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের হুমকি

আন্তর্জাতিক বাজারে চীনা মুদ্রা ‘ইওয়ানে’র বিনিময় হার বাড়ানো সংক্রান্ত বিল কংগ্রেসে পাস করলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করবে বলে হুমকি দিয়েছে চীন। গত ৪ অক্টোবর এক বিবৃতিতে চীন বেশ ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছে, চীনা মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির জন্য বেইজিংকে চাপ দেয়ার উদ্দেশ্যে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাবিত বিল পাস হ’লে তা বিশ্বের এ দুই শীর্ষ ধনী দেশের অর্থনীতিকে বাণিজ্যযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। গত ৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট বিলটি নিয়ে এক সপ্তাহ বিতর্কের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। তার আগে গত বছর মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি কক্ষ এরকম একটি মুদ্রা বিল পাস করেছিল। ঐ সময়ও চীন এ ব্যাপারে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। এ বিল পাস হ’লে মার্কিন সরকার যেসব দেশ মুদ্রার অবমূল্যায়নের মাধ্যমে রফতানী উৎসাহিত করতে চায়, সেসব দেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে পারবে।

২০১১ সালের নোবেল বিজয়ীরা

চিকিৎসা : ২০১১ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুস বিউটলার, লুক্সেমবার্গের জুলেস হফম্যান ও কানাডার র‌্যালফ স্টেইনম্যানকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় অসামান্য অবদানের জন্য তাদের এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এদের মধ্যে স্টেইনম্যান ৩০ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন।

পদার্থ : এবার পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী সল পার্লমুটার, ব্রায়ান শ্মিট ও অ্যাডাম রিস। মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল বিষয়ে গবেষণার জন্য তাদেরকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

রসায়ন : রসায়নে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইসরাঈলী গবেষক দানিয়েল শেকতমান (৭০)। পরমাণু নিয়ে গবেষণার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

সাহিত্য : এবার সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন সুইডিস কবি টমাস ট্রান্সমার। অল্প কথায় চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়ে নতুন এক বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয়ে করিয়ে দেয়ার জন্য তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

শান্তি : শান্তিতে এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন নারী। তারা হ’লেন, লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন-শারলিফ এবং তার স্বদেশী লোমা বোয়ি ও ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান। নারীর নিরাপত্তা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণের অধিকার আদায়ে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা এ পুরস্কার পান।

অর্থনীতি : সূদের হার বৃদ্ধি বা কর কমানোর মতো পদক্ষেপগুলো জিডিপি ও মূল্যস্ফীতির মতো সামষ্টিক অর্থনীতির বিষয়গুলোকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা নিয়ে গবেষণার জন্য চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ থমাস সার্জেন্ট ও ক্রিস্টোফার সিমস।

আফগান যুদ্ধের প্রভাবে কানাডার প্রতিরক্ষা বিভাগে কাটছাঁট

কানাডা সরকার প্রতিরক্ষা খাতে নানাভাবে কাটছাঁট করছে। আফগান যুদ্ধে খরচের প্রভাবেই এই কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বড় ধরনের ছাটাইয়ের অংশ হিসাবে এরই মধ্যে ২৫০টি সিভিলিয়ান পজিশন কমানো হচ্ছে মিলিটারী থেকে। আগামী ৩ বছরে ২ হাযার ১শ’ সিভিলিয়ান পজিশন কমানোর ঘোষণাও দিয়েছে প্রতিরক্ষা বিভাগ।

অপরাধ বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্রিটেনের ধনীরা দেশ ছাড়ার চিন্তা করছেন

ব্রিটেনের ধনীরা দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও বসতি গড়ার চিন্তা করছেন। বিশেষ করে গত আগষ্টে লন্ডনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শহরে দাঙ্গার পর এই প্রবণতা বেড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘লয়েড টিএসবি ইন্টারন্যাশনাল ওয়েলথ’ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬১ শতাংশ ব্রিটেন ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রেখেছেন। দেশে অপরাধ ও সমাজবিরোধী কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়াই এর প্রধান কারণ বলে তারা উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার ১৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

যুক্তরাজ্যে ১৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব দেখা দিয়েছে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন থেকে আগষ্ট পর্যন্ত তিন মাসে বেকারের সংখ্যা বেড়ে ২৫ লাখ ৭০ হাযারে দাঁড়িয়েছে। এই তিন মাসে নতুন করে এক লাখ ১৪ হাযার লোক বেকার হয়েছে। ১৯৯৪ সালের পর দেশটিতে এত বেশি বেকারত্ব দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবেই যুক্তরাজ্যের বর্তমান সংকট দেখা দিয়েছে।

ভারতের ৭৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে

ভারতের সরকারী হিসাব মতে, দেশটির ১২১ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৩৭ ভাগ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। কিন্তু বেসরকারী হিসাব মতে সেখানে দারিদ্র্যসীমার নীচে ৭৭ শতাংশ মানুষের বসবাস।

মানুষ কতটা পাষাণ হ’তে পারে!

গত ১৩ অক্টোবর চীনের গুয়াংদং প্রদেশের শিল্পনগর ফশানের একটি পাইকারী বাজারে পারিবারিক দোকানের অদূরে এক রাস্তায় দুই বছরের মেয়ে শিশু ইউ ইউকে প্রথমে একটি সাদা ছোট যান এসে ধাক্কা দেয়। এরপর একটি ট্রাক এসে আঘাত করে। তখন সে মরণ- যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। এমতাবস্থায় তার পাশ দিয়ে কমপক্ষে ১৮ জন পথচারী যাতায়াত করে। কিন্তু কেউ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি। ঐ ছোট্ট শিশুটির গগণবিদারী আর্তনাদ কোন পাষাণের হৃদয়জগতে সামান্যতম দয়ার উদ্রেক করেনি। অবশেষে চেন জিয়ানমেই (৫৮) নামের এক ছিন্নমূল, ময়লা-আবর্জনা ঘাঁটাই যার কাজ, তিনি শিশুটিকে দেখামাত্র হাতের ব্যাগ ফেলে ছুটে যান তার কাছে। তিনি তাকে উদ্ধার করে তার মাকে খুঁজে বের করেন। মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। শিশুটি শহরের একটি সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছে।






পারিশ্রমিক ছাড়াই এক হাযার কিডনী প্রতিস্থাপন করেছেন ডা. কামরুল ইসলাম
বিশ্বে এখনো ৮০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত
অনলাইনে ঋণ প্রদানের সর্বনাশা ফাঁদ!
রেস্তোরাঁ ভরা, বাধা পেয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেন নিউজিল্যান্ডের মহিলা প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা
যে দেশে মুসলিমদের মরদেহ দাফন করা কঠিন
স্বদেশ-বিদেশ
রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো মানচিত্র থেকেও মুছে ফেলছে মিয়ানমার
মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর
সুইডেনে শ্রেণীকক্ষে কম্পিউটার স্ক্রিন নিষিদ্ধ হচ্ছে
দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখের বেশী
২০২২ সালে ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ কোটি মানুষের (২০৫০ সালের মধ্যে ক্যান্সার বাড়বে ৭৭ শতাংশ!)
স্বদেশ-বিদেশ
আরও
আরও
.