
ভারতের
আসাম ও কয়েকটি রাজ্য যখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দুই সন্তান নীতি চালু করেছে,
তখন মিজোরামের এক মন্ত্রী উল্টো পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন। রাজ্যটির
ক্রীড়ামন্ত্রী রবার্ট রমাইয়া রয়তে ঘোষণা দিয়েছেন, তার সংসদীয় আসনে যে
পরিবার সবচেয়ে বেশী সন্তান জন্ম দেবে তাদেরকে এক লাখ রুপি নগদ পুরস্কার
দেওয়া হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এখবর জানিয়েছে। গত ২০শে জুন তিনি এই ঘোষণা
দেন। তিনি রাজ্যটির আইজাউল পূর্ব-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি
মিজোদের বড় পরিবার গড়ে তুলতে উৎসাহিত করছেন। সন্তানের সর্বনিম্ন বা
সর্বোচ্চ সংখ্যা কত থাকলে অভিভাবক আর্থিক পুরস্কার পাবেন তা তিনি ঘোষণা
করেননি।
তিনি বলেন, মিজোরামে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫২ জন। যা জাতীয় জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩৮২ থেকে অনেক কম। কয়েক বছর ধরে মিজো জনগণের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব ও জন্মের হার কমে যাওয়া গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মিজোরামের জনসংখ্যা ১০ লাখ ৯১ হাযার। এটি ভারতের সবচেয়ে কম জনবহুল রাজ্যের তালিকায় দ্বিতীয়। রাজ্যটির আয়তন প্রায় ২১ হাযার ৮৭ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৯১ শতাংশই পাহাড়ী জঙ্গল।
[পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যাসাম্য রক্ষার দায়িত্ব আল্লাহর। তিনি কাউকে অধিক সন্তান দিবেন, কাউকে দিবেন না। কিন্তু মানুষ যখন এর উপরে হাত লাগায়, তখনই ঘটে বিপত্তি। ফ্রান্স, জাপান, চীন প্রভৃতি দেশ এর কুফল ভোগ করছে। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। অতএব কোনরূপ বাড়াবাড়ি কাম্য নয়। উল্লেখ্য যে, ভারতের সবচেয়ে কম জনবহুল রাজ্য হ’ল সিকিম। আর জনসংখ্যা ২০১১ সালের হিসাবে ৫ লাখ ৪০ হাযার ৮৫১ জন। প্রতি বর্গললোমিটারে ৭৬ জন। স্বাধীন এই রাজ্যটিকে সেদেশের ভারত ১৯৭৫ সালের ২৭শে মার্চ দখল করে নেয়। এভাবে ভারত কাশ্মীর, জুনাগড়, গয়া, হায়দরাবাদ, মানভাদর প্রভৃতি স্বাধীন রাজ্যগুলিকে চাতুরী ও গায়ের যোরে দখল করে নেয়। এরপরেও ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র! অতএব বাংলাদেশী নেতারা সাবধান! সিকিমের লেন্দুপ দর্জি থেকে শিক্ষা নিন! (স.স.)]।