জার্মান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে অগসবার্গ এবং মেইঞ্জের মধ্যে খেলা চলার সময় রেফারী ম্যাথিয়াস জোলেনবেক মুসলিম ফুটবলার মূসা নিয়াখাতকে রামাযানের ছিয়াম ভাঙতে এবং ইফতার করার সুযোগ দিতে ম্যাচটি বন্ধ করে দেন। প্রথমবারের মত এভাবে ম্যাচ বন্ধ করার এই উদ্যোগটিকে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে যে, ভবিষ্যতেও এটি করা হবে। ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানী এভাবেই দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তারা ইসলামের বিষয়ে অনেক বেশী উদারনীতি গ্রহণ করেছে।
গত শরৎ থেকে দেশটির পাবলিক স্কুলে ইসলামের পাঠ চালু করা হয়েছে। যেসব স্কুলে অভিবাসী শিক্ষার্থী বেশী সেখানকার ক্যান্টিনগুলোতে হালাল খাবারের ব্যবস্থা করতে সরকারীভাবে পাইলট প্রকল্প নেয়া হয়েছে। মুসলিম নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মসজিদের লাউড স্পিকার দিয়ে আযান দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। শারঈ পদ্ধতিতে পরিচালিত তুর্কী ব্যাংকগুলোকে জার্মানিতে শাখা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মুসলিম দম্পতিদের পারিবারিক সমস্যা সমাধানে শারঈ আইন ব্যবহার করছেন জার্মান বিচারকরা।
এসবের প্রেক্ষিতে সিরিয়ান বংশোদ্ভূত জার্মান ইসলামবিদ বাসাম টিবি লিখেছেন, ‘জার্মানী আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে’। এ নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ১৯৫০ সালে প্রায় ৮ লাখ মুসলমান পশ্চিম ইউরোপে বাস করত। ২০১৯ সালে, সেই সংখ্যা হয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটির মধ্যে। জার্মানীতে মোট জনসংখ্যার অনুপাতে মুসলমানের সংখ্যা ৬ দশমিক ১ শতাংশ। যা ২০৫০ সালে ২০ শতাংশে দাঁড়াবে।
[এভাবেই শত বাধা সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী কার্যকর হবে ইনশাআল্লাহ। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘ ভূ-পৃষ্ঠে এমন কোন মাটির ঘর বা পশমের ঘর (অর্থাৎ তাঁবু) বাকী থাকবে না, যেখানে আল্লাহ ইসলামের বাণী পৌঁছাবেন না’... (আহমাদ হা/২৩৮৬৫; মিশকাত হা/৪২) (স.স.)]।