আমি নূরুল ইসলাম, পিতা- মৃত আবুল হোসেন। আমি রাজশাহী বিভাগের নাটোর যেলার গুরুদাসপুর থানাধীন ধাদুয়া গ্রামের সন্তান। ২০০৫ সালে আমি সঊদী আরবে এসেছিলাম। একদিন আমি দাম্মাম যেলার জুবাইলের অন্তর্ভুক্ত এক মসজিদে গেলাম ছালাত আদায় করতে। দেখলাম তারা ছালাত আদায় করে আমাদের দেশের চেয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে। তারা বুকের উপরে হাত বাঁধে। দুই হাত উত্তোলন করে। ইমাম ছাহেব সূরা ফাতিহা পড়ার পর জোরে আমীন বলে। আমি অবাক হ’লাম এই ভেবে যে, কুরআন এক, রাসূল এক, অথচ ছালাতের মধ্যে কেন এত পার্থক্য? এরপর থেকে ছালাত আদায় করতে গেলে মনে সন্দেহ জাগে। এরকম চলতে থাকে। একদিন ছালাত শেষে দেখলাম, কিছু লোক মসজিদের এক কোণে বসে আছে। তাদের মধ্যে একজন কুরআন ও হাদীছ থেকে আলোচনা করছে। এক পর্যায় সে বলছিল নবী করীম (ছাঃ) মাটির তৈরী। একথা আমি মানতে পারছিলাম না। কারণ সারা জীবন শুনেছি এবং কাছাছুল আম্বিয়া পড়েছি। তাতে লেখা ছিল নবী নূরের তৈরী। অথচ এরা বলছে, নবী মাটির তৈরী। তাদের নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, নবী যে মাটির তৈরী তার প্রমাণ কি? তারা আমাকে কুরআন খুলে সূরা কাহফের ১১০ নম্বর আয়াত দেখালেন। তা দেখে আমি একদম চুপ হয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবতে লাগলাম, সারা জীবন কি তাহ’লে ভুলের মধ্যে ছিলাম? ঐ মুহূর্তে তারা সকলেই আমাকে মজলিসে আসার জন্য আহবান জানালেন। তখন থেকে আমি ঐ মজলিসে নিয়মিত বসি। কিছু দিন যাওয়ার পর আমি ছহীহ বুখারীর ১ম খন্ড পড়তে লাগলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতের পদ্ধতি লক্ষ্য করলাম। রাসূল (ছাঃ) বুকে হাত বাঁধতেন, রাফউল ইদায়েন করতেন, জোরে আমীন বলতেন। এগুলো দেখে আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পদ্ধতিতে ছালাত আদায় করতে শুরু করি।

এর কিছু দিন পর আমি ছুটিতে দেশে আসার প্রস্ত্ততি নিলাম। তখন ঐ সকল ভাইয়েরা আমাকে ভাল করে নছীহত করলেন যে, দেশে যাওয়ার পর দাওয়াতী কাজ করবেন। যতটুকু হক জেনেছেন, ততটুকু প্রচার করবেন। আমি বাড়ীতে গিয়ে ছালাত আদায় করতে মসজিদে গেলাম। মসজিদে ছালাত আদায়ের জন্য দাঁড়ালাম, লোকেরা আমার দিকে তাকিয়ে থাকল। ছালাত শেষ হ’লে তারা বলতে লাগল, নূরুল তুমি এরকম ছালাত কেন পড়? আমি বললাম, মক্কা-মদীনার লোকেরা এভাবেই ছালাত আদায় করে। তারা বলল, আগে তারা মুশরিক ছিল। এজন্য রাসূল (ছাঃ) ছালাতে রাফউল ইদায়েন করতেন। কারণ তাদের বগলের নিচে পুতুল রাখত। আর রাফউল ইয়াদায়েন করলে তা পড়ে যেত।

এভাবে তারা আমাকে অনেক কিছু বলল। তাদের কথায় কান না দিয়ে আমি আমার মতে চলতে থাকি। কিন্তু এভাবে চলে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না। কারণ হক জানি, কিন্তু প্রচার করতে পারছি না। আমি সর্বপ্রথম আমার বন্ধু ইখলাছকে দাওয়াত দিলাম। সে দাওয়াত কবুল করল। সে বলল, আচ্ছা তুমি যেভাবে ছালাত আদায় কর, সেভাবে কি মক্কা-মদীনায় ছালাত আদায় করে। আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর আমরা দু’জনে মিলে ভাবতে থাকি, কিভাবে সঠিক দ্বীন প্রচার করা যায়। আমরা আব্দুল আউয়াল নামের এক জন লোককে দাওয়াত দিলাম, সে আমাদের কথা অতি সহজে মেনে নিল। কারণ তার শ্বশুররা ছিল আহলেহাদীছ। যখন আব্দুল আউয়াল আমাদের দাওয়াত কবুল করলেন তখন আমরা জোরেসোরে দাওয়াত দিতে লাগলাম। আমাদের দাওয়াতের কাজ অতি সহজ হয়ে গেল। মানুষ ধীরে ধীরে ছহীহ আক্বীদা গ্রহণ করতে লাগল। এভাবে অনেকে যখন ছহীহ আক্বীদা গ্রহণ করল তখন এলাকার মানুষ ঠাট্টা-বিদ্রূপ শুরু করে দিল। তারা বলতে লাগল, নূরুলের কথা যদি সঠিক হয়, তাহ’লে আমাদের হাফেয ছাহেব কেন বলে না? আমি হাফেয ছাহেবের কাছে গিয়ে বললাম, ভাই আমি তো আপনাকে অনেক কিতাব দিয়েছিলাম; ছহীহ বুখারী, কুরআনুল কারীম ও ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম। আপনি এগুলো পড়ে কি বুঝতে পারলেন? তিনি আমাকে বললেন, আমাকে কিছু দিন সময় দিন, আমার উস্তাদের কাছে জানতে হবে। তিনি উস্তাদের কাছে গেলেন। সেখান থেকে আসার পর দেখি, আছরের ছালাতে তিনি রাফউল ইয়াদায়েন করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, উস্তাদের কাছে গিয়ে কি বুঝতে পারলেন? তিনি বললেন, ছহীহ হাদীছ মতে আপনারাই সঠিক। আমি বললাম, যদি আমরাই সঠিক হই, তাহ’লে আপনি সকলের সামনে এই বিষয়টা উপস্থাপন করুন। উত্তরে তিনি আমাকে বললেন, আমার কথা কি জনগণ মানবে? আমি বললাম, কেউ মানবে না বলে কি হকের প্রচার করবেন না? এরপর তিনি আমার পরামর্শ অনুসারে রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্য সম্পর্কে জুম‘আর দিন খুৎবায় আলোচনা করলেন। শেষে বললেন, ছালাতের শুরুতে মুখে নিয়ত পড়বেন না, অন্তরে নিয়ত করতে হবে এবং বুকে হাত বাঁধতে হবে। রাফউল ইয়াদায়েন করতে হবে এবং জোরে আমীন বলতে হবে। ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে। একথা  বলে বক্তব্য শেষ করলেন। মুছল্লীরা তখন ইমাম ছাহেবকে বলতে লাগল, আপনি একথা আগে বলেননি কেন? এগুলো সব সঊদী আরবের হাদীছ। এগুলো পড়লে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। ইমাম ছাহেব বললেন, এগুলো ছহীহ হাদীছের কথা। জনগণ বলল, আগে কেন বলেননি? তিনি বললেন, আমার কাছে বড় কোন ছহীহ কিতাব ছিল না। এ সময় দাঁড়িয়ে গেল মসজিদের সেক্রেটারী, তিনি আমার বড় ভাই। তিনি বললেন, আমি পাঁচ বছর সঊদী আরবে ছিলাম। কিন্তু এই নূরুল যা বলে তা আমি কখনো শুনিনি বা দেখিনি। ঐ মুহূর্তে আমি চুপ হয়ে গেলাম। কারণ তখন আমি কিছু বললে ঝগড়া হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। এই ঘটনার পর ইমাম ছাহেব অনেকটা মনঃক্ষুণ্ণ হ’লেন। আমি তাকে বললাম, ইমাম ছাহেব! চলুন এলাকাবাসীদেরকে নিয়ে আমরা বড় আলেমের কাছে যাই। আমাদের এলাকা থেকে ইমাম ছাহেব সহ ৭ জন লোক নিয়ে বড় আলেমের কাছে গেলাম। আলেমের নাম ছিল ইছামুদ্দীন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কেন এসেছেন? আমি বললাম, আমরা দ্বীনের ব্যাপারে কিছু জানতে এসেছি। তিনি বললেন, কোন বিষয়ে? আমি বললাম, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া, রাফউল ইয়াদায়েন করা ও জোরে আমীন বলা যাবে কি-না? তিনি উত্তরে বললেন, না, পড়তে হবে না। আমি বললাম, বুখারীর ৭৫৬নং হাদীছে রাসূলুল্লাহ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ছালাতে সূরা ফাতিহা পড়ল না, তার ছালাত হবে না’। তিনি বললেন, তোমরা কি শুধু বুখারীই বুঝ আর কিছু বুঝ না? আমি জিজ্ঞেস করলাম, শবেবরাত ও মীলাদ পড়া কি ঠিক? তিনি বললেন, এটা বিদ‘আত। তারপর আমি মাযহাব সম্পর্কে একটি প্রশ্ন করলাম যে, মাযহাব মানা কি ফরয? এরপর আমি জিজ্ঞেস করলাম, মাযহাব মানা যে ফরয এর দলীল কি? তখন তিনি ক্ষেপে গিয়ে বললেন, এই ছেলে তুমি কি কর?

আমি বললাম, সঊদী আরবে থাকি। তখন তিনি বললেন, আচ্ছা তোমাকে সঊদী আরবের ভূতে ধরেছে। আর এ কারণেই গ্রামবাসীদের বিভ্রান্ত করছ? তখন আমার সাথে যারা গিয়েছিল তারা বলতে লাগল, বুঝতে পেরেছি মাওলানা ছাহেব, আর বলতে হবে না। এখন মাগরিবের ছালাত আদায় করে নেই। ছালাত শেষে অনেক মুছল্লী বলতে লাগল, কি ব্যাপার ইমাম ছাহেব এত মানুষ কেন? তিনি বললেন, এই ছেলেটাকে সঊদী আরবের ভূতে ধরেছে। তাই সে এলাকাবাসীকে বিভ্রান্ত করে নিয়ে এসেছে। ফলে ঐ গ্রামবাসী আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গেল। এ অবস্থা দেখে আমি কিছুটা ভীত হয়ে পড়লাম। তাই দ্রুত চলে আসলাম। লক্ষ্য করলাম, আমার গ্রামের অবস্থাও খুব ভাল না। আমার ছুটিও শেষ হয়ে গেল। আমার সাথীদেরকে বললাম যে, সবকিছুই তো দেখলে। কোন মানুষের কথা চলবে না। সর্বদা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ মেনে চলবে। এ বলে চলে আসলাম সঊদী আরবের মক্কা নগরীতে। মনের মধ্যে একটি ব্যথা ছিল যে, আমি না হয় ছহীহ আক্বীদা গ্রহণ করেছি। কিন্তু এলাকার অন্য ছেলে-মেয়েদের কি হবে? এ ভেবে আমি ফোন করলাম আমার উস্তাদ আব্দুর রব আফফানের কাছে। জানতে চাইলাম ছহীহ আক্বীদার মাদরাসা কি কোথাও আছে? তিনি বললেন, ঢাকায় ও রাজশাহীতে আছে। তিনি বিস্তারিত জানার জন্য ফোন নম্বর দিলেন পাবনার সোহরাব ভাইয়ের। তার কাছে ফোন করে বিস্তারিত জানতে পারলাম। তখন আমার ছেলেকে নওদাপাড়া মাদরাসায় ভর্তি করে দিলাম।

আমিও মক্কা থেকে চলে আসলাম জেদ্দায়। আর এখানে এসে দেখি যে, মসজিদের এক কোণে আমাদের দ্বীনি ভাই প্রায় ৯০ থেকে ১০০ জনের মত। এর কিছু দিন পর আমরা কিছু দ্বীনি ভাই একটি বাস নিয়ে মদীনায় গেলাম। মদীনায় জুম‘আর ছালাত আদায় করলাম। এখানেও হাযার হাযার মুছল্লীকে দেখলাম ছহীহ হাদীছ মোতাবেক ছালাত আদায় করতে। তারাও বুকের উপরে হাত বাঁধা, রাফউল ইয়াদায়েন, সূরা ফাতিহা পাঠ এবং জোরে আমীন বলা ইত্যাদি আমল করছে। ঐ দিকে আমি বাড়িতে ফোন করে জানতে পারলাম যে, আমাদের এলাকার আরও কিছু লোক ছহীহ আক্বীদা গ্রহণ করেছে। আর তারা যখন ছালাতে জোরে আমীন বলে এলাকার মুছল্লীরা বিরক্তিবোধ করে। এমনকি তারা বলে যদি তোমরা রাফউল ইয়াদায়েন কর, জোরে আমীন বল তাহ’লে হাত-পা ভেঙ্গে দিব। এই বলে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। আমি ফোন করে বললাম, তোমরা ধৈর্য ধারণ কর।

আমি দ্বীনি ভাইদেরকে বিস্তারিত বিষয় জানালাম। তারা আমাকে বললেন, ধৈর্য ধারণ করুন। কারণ হকের প্রচার করতে গেলে অনেক বাধা আসে। এর কিছু দিন পর শায়েখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ ও মুযাফফর বিন মহসিন এবং আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈলকে দাওয়াত করা হ’ল। তারা মূল্যবান বক্তব্য রাখলেন। বক্তব্য শেষে আমি এলাকার সমস্যার কথা জানালাম। শুনে ওনারা আমাকে ধৈর্য ধারণ করার উপদেশ দিলেন। আর বললেন, যে কোন সমস্যা হ’লে আমাদেরকে বলবেন, আমরা সাহায্য-সহযোগিতা করব ইনশআল্লাহ।

পরবর্তীতে বাড়ীতে ফোন করে জানতে পারলাম যে, আমাদের দ্বীনি ভাইয়েরা বাড়ীতে ছালাত আদায় করে। আমরা একটি জায়গা কিনে সেখানে একটি মসজিদ করতে যাচ্ছি। আমরা মসজিদ বানানোর চেষ্টা করছি এলাকার মানুষ শুনে খুবই ক্ষিপ্ত হ’ল। একদিন আমাদের এক ভাইকে (ইখলাছকে) এলাকার লোকেরা রাতে বাড়ী থেকে ডেকে স্থানীয় মাদরাসার মাঠে নিয়ে গেল। সেখানে পূর্ব থেকে সমবেত বহু মানুষ তাকে মারতে উদ্যত হ’ল। বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকমের কথা বলতে লাগল। কেউ বলতে লাগল, তুমি কি মুফতী না বড় মাওলানা? তুমি নাকি ফৎওয়া দাও যে, আমরা ভ্রান্ত তোমরা সঠিক? তুমি নাকি বল, আমরা মাযহাব মানি আর তোমরা মাযহাব মানো না? এসব বলে তাকে অনেক গালমন্দ করতে লাগল। এরপর তারা বলল, যা করছ তা ছেড়ে দিয়ে বাপ-দাদা যেভাবে ছালাত আদায় করেছে, সেভাবে ছালাত আদায় কর। কিন্তু সে সেভাবে  ছালাত আদায় করতে অস্বীকার করল। ফলে জনগণ তাকে মারার জন্য এগিয়ে আসল। সে পরিস্থিতির শিকার হয়ে বলল, আমি আর কখনও জোরে আমীন বলব না, রাফউল ইয়াদায়েন করব না, বুকে হাত বাঁধব না। এই বলে, সেখান থেকে চলে আসে। পরে রাত ১২-টায় আমাকে ফোন করে বিস্তারিত বলল। আমি তাকে বললাম, তারা হাত-পা ভাঙ্গার কথা বলেছে, এখনও ভাঙ্গেনি। এতেই হক থেকে কি তুমি সরে যাবে? তুমি ছাহাবীদের ইতিহাস পড়নি? তারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। কিন্তু সঠিক দ্বীন থেকে সরে দাঁড়ায়নি। আর তুমি সরে দাঁড়ালে? আমি সরে যাব না ইনশাআল্লাহ। আমার কথা শোনার পর সে বলল, আমি ওদেরকে ওয়াদা দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবায়ন করব না এবং হক থেকে সরে যাব না ইনশাআল্লাহ। ইখলাছ ওয়াদা পূরণ না করায় কিছু লোক তার কাছে গিয়ে বলল, তুমি গতকাল আমাদের কাছে ওয়াদা করেছিলে, ফজরের ছালাত আমাদের সাথে আদায় করবে অথচ তা করনি। এ বলে তাকে গালাগালি করতে লাগল। এতে ইখলাছের ভাইয়েরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল। তারা বলল, গতকাল অনেক কিছু করার পরেও আজ আবার বাড়ীতে এসেছ। তারা তাদের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চলে গেল। এর কিছুদিন পর আমি দেশে গিয়ে সকলকে নিয়ে আলোচনা করে মসজিদে এক সাথে ছালাত আদায় করার চিন্তা করলাম। কিন্তু তারা বলল, তোমরা যেভাবে ছালাত আদায় কর, সেভাবে ছালাত আদায় করতে দেওয়া হবে না। ফলে আমরা সবাই মিলে চাঁদা দিয়ে জায়গা কিনে একটি মসজিদ করেছি। নাম দিয়েছি ‘ধাদুয়া-খাকড়াদা আহলেহাদীছ জামে মসজিদ’। আমরা বর্তমানে এখানেই ছালাত আদায় করছি। সবার নিকটে দো‘আ চাই।

-নূরুল ইসলাম

ধাদুয়া, গুরুদাসপুর, নাটোর।






অবশেষে হক-এর সন্ধান পেলাম - কামাল আহমাদ, লাকসাম, কুমিল্লা
ছহীহভাবে ছালাত আদায় করায় নিজের পিতাও বিদ্রূপ করা শুরু করলেন - আত-তাহরীক ডেস্ক
আহলেহাদীছ আক্বীদায় বিশ্বাসী, এটাই কি আমার অপরাধ!
মাযহাব না মানার কারণে আশ্রয় হারাতে হ’ল - -খালিদ সাইফুল্লাহ, গাযীপুর।
হকের উপরে অবিচল থাকতে দৃঢ় প্রত্যয়ী
ভ্রান্ত আক্বীদার বেড়াজাল ছিন্ন হ’ল যেভাবে - -আরিফ হাসান আল-গালিব, শার্শা, যশোর।
‘সকলের সামনে কান ধরে দাঁড়িয়ে বল, এখন থেকে ইমাম আবু হানীফার আদর্শ অনুযায়ী জীবন-যাপন করব’ (!)
স্রেফ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হোক আমাদের পথচলা
হক-এর পথে যত বাধা
কোন মুফতী লাগবে না... তুই কাফের হয়ে গেছিস - ডা. মুহাম্মাদ মাহবূবুর রহমান
হক-এর পথে যত বাধা - হাসান আলী ঈশ্বরদী,পাবনা
ও চটি বই পড়ে পাগল হয়ে গেছে...
আরও
আরও
.