যে পিতার হাত ধরে মসজিদে যাওয়া শিখেছি, নিজের জন্মদাতা পিতাকে যেভাবে ছালাত আদায় করতে দেখেছি, যে সকল আলেমের সান্নিধ্যে বসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছি, জীবনকে স্বার্থক ভেবেছি, যাদের ওয়ায নছীহত শুনে ছোট থেকে বড় হয়েছি এবং তাদের মুখ থেকে বের হওয়া বুলিকে ইসলামের বাণী মনে করে তিলে তিলে গড়ে উঠেছি তারা সবাই কি ভুলের মধ্যে নিমজ্জিত? মাত্র দু’চার জন ছহীহ আক্বীদার আলেমের বক্তব্য শুনে সেটা হুট করে মেনে নেওয়া কি সহজ? না, মোটেও সহজ ছিল না। মেনে নেওয়ার সাহসও ছিল না। কিন্তু উপায়ও ছিল না। কারণ আহলেহাদীছ আলেমদের কথায় এত দৃঢ়তা দেখেছি যে, তাদের স্পষ্ট রেফারেন্স ও গ্রহণযোগ্য যুক্তিকে পাশ কাটিয়ে নিজের মন মস্তিষ্ক ও সহজ-সরল বিবেককে সন্তুষ্ট করতে পারিনি। সত্যি বলতে কি অনলাইন জগতে না আসলে তাদের বক্তব্য না শুনলে হয়তো বুঝতে পারতাম না অহী কত যুক্তিনির্ভর। অহি-র জ্ঞান কত বিশুদ্ধ এবং ইসলামের অলৌকিক সৌন্দর্য ও মৌলিক বৈশিষ্ট্য কত সুন্দর। ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাতের পাশাপাশি শবেবরাতের হালুয়া রুটি, মৃত্যুবার্ষিকীর নামে খানা-পিনার উৎসব, মীলাদ মাহফিলের নামে জিলাপী, মিঠাই, ঈদে মীলাদুন্নবী ইত্যাদির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল আমার প্রচলিত ইসলাম। কখনও বুঝিনি, বুঝার চেষ্টাও করিনি কোন্টা চূড়ান্ত আর কোন্টা চলমান ধর্ম।

কোনদিন বুঝার চেষ্টাও করিনি যে, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের গুরুত্ব কত বেশী। কেউ কখনো বলেনি সারাজীবনের ছালাত, ছিয়াম, ইবাদতের এক পয়সা দাম নেই আক্বীদা বিশুদ্ধ না হ’লে। সারা জীবন আখেরী মুনাজাত ও কেরামতির কেচ্ছা-কাহিনীর সংস্কৃতিতে কেউ কখনো হয়তোবা বলার সুযোগ পায়নি কোন্টা শিরক আর কোন্টা বিদ‘আত। কোন্টা তাওহীদ আর কোন্টা সুন্নাত। মন্ত্রের মতো মুগ্ধ হয়ে খুৎবা শুনেছি। বোঝার প্রয়োজন আছে কোনদিন তা মনেও করিনি, কেউ বলেও দেয়নি। ছওয়াব হয় তাই শুনেছি। চার মিনিটের ছালাত শেষে চল্লিশ মিনিটের মোনাজাতের ট্রেডিশন দেখেছি। যখন কেউ বলেছে, আল্লাহর আকার নেই তখন তা বিনা দলীলে বিশ্বাস করেছি। আবার যখন কেউ বলেছে, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) আল্লাহকে নিরানববই বার স্বপ্নে দেখেছেন তাও বিনা দলীলে বিশ্বাস করেছি। কখনো প্রশ্ন করিনি, নিরাকার হ’লে দেখলেন কিভাবে? আর দেখে থাকলে নিরাকার হন কিভাবে?

সবাই যেটা বলেছে, সেটাই ধর্ম মেনে নিয়েছি। সবাই যা করে তাকেই ইবাদত ভেবেছি। কিন্তু যখন জানতে পারলাম, আল্লাহ প্রদত্ত ইসলাম ও আমরা যে ইসলাম নিয়ে আছি তা এক নয়। রাসূল (ছাঃ) যে ইসলাম শিক্ষা দিয়েছেন সেই ইসলাম ও আমরা যে ইসলামকে ইসলাম ভেবে আমল করছি তা এক নয়। তখন আকাশ-পাতাল এই পার্থক্য ও তার কারণ না জেনে, না বুঝে কোন পক্ষ নেওয়া কিংবা কোন পক্ষে স্থির থাকা আমার মত একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিল না। যেহেতু আক্বীদাগত দিক থেকে কোন ঝুঁকি নিতে চাই না ও ঝুঁকি নেওয়ার সুযোগও নেই। কারণ আগে সত্যটা জানা প্রয়োজন।

তাই আল্লাহর অশেষ রহমতে, আমার প্রবল ইচ্ছা ও ক্ষুদ্র জ্ঞানে খোলা মনে গভীর গবেষণা ও অধ্যয়নের মাধ্যমে যে সত্যগুলো সামনে এসেছে তা অকপটে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি এবং এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, কোন বাবা, পীর, খাজা, ইমামের কথা মানতে হ’লে তার কথাতে অবশ্যই কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর দলীল থাকতে হবে। দলীল ব্যতীত কারো কোন কথা কখনোই আমলযোগ্য নয়। আমি উপলব্ধি করেছি যে, ‘চলমান ধর্ম আর চূড়ান্ত ধর্ম এক নয়’। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হকের উপরে অবিচল রাখুন-আমীন!







থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দেব - -আব্দুল্লাহ, গাযীপুর।
তোমাকে দাওয়াতী কাজের জন্য ঘর ভাড়া দেইনি - ডা. মুহাম্মাদ ফযলুল হক, সফিপুর, গাযীপুর।
হক-এর পথে টিকে থাকা বড় চ্যালেঞ্জ - .
‘সকলের সামনে কান ধরে দাঁড়িয়ে বল, এখন থেকে ইমাম আবু হানীফার আদর্শ অনুযায়ী জীবন-যাপন করব’ (!)
মাযহাবীদের চাপে নিজের মসজিদ ছাড়তে হ’ল - * মুহাম্মাদ দেলাওয়ার হোসাইনকুঠিপাড়া, ফরিদপুর।
যেভাবে আহলেহাদীছ আক্বীদা গ্রহণ করলাম - আত-তাহরীক ডেস্ক
ছালাতে রাফঊল ইয়াদায়েন করার কারণে চাকুরীচ্যুতি - .
হক-এর পথে যত বাধা - হাসান আলী ঈশ্বরদী,পাবনা
তুমি বেলাইনে চলে গেছ - মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান
আহলেহাদীছ আক্বীদায় বিশ্বাসী, এটাই কি আমার অপরাধ!
আহলেহাদীছ হওয়ার কারণে বাড়ীছাড়া! - -মুহাম্মাদ ইবরাহীম, দাগনভূঞা, ফেনী।
ও চটি বই পড়ে পাগল হয়ে গেছে...
আরও
আরও
.