পায়রায় স্থাপিত কয়লা বিদ্যুতের কারণে উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণসহ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের মতো মহামারিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

বায়ুর মান, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বাংলাদেশের পায়রায় প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব-এর উপর আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ)-এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ আরও বাড়বে, যদি পায়রায় প্রস্তাবিত ৭টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব কটি নির্মাণ করা হয়। খুবই ছোট একটি এলাকার মধ্যে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণ প্রতিরোধী ব্যবস্থাও খুব দুর্বল। শেষ পর্যন্ত যদি সব কটি কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র এখানে নির্মিত হয়, তবে এটি হবে দক্ষিণ এশিয়া এবং বিশ্বের বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান উৎস। ভবিষ্যতে এই বিদ্যুৎ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াবে এবং করোনাভাইরাসের মতো আরেকটি মহামারী এলে অসংখ্য মৃত্যুর কারণ হবে।

সম্প্রতি এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি যৌথভাবে প্রকাশ করে সিআরইএ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

গবেষণা অনুসারে, পায়রায় নির্মিতব্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ৩০ বছরের মেয়াদকালের দূষণের কারণে সর্বোচ্চ ৩৫ হাযার মানুষ মৃত্যুবরণ করতে পারে। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাযার দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ, ১১ হাযার ইসকেমিক হৃদরোগ, প্রায় ৩ হাযার ফুসফুসের প্রদাহ, প্রায় ২ হাযার ফুসফুসের ক্যানসার, প্রায় ৯ হাযার স্ট্রোক এবং প্রায় আড়াই হাযার জন নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে মারা যেতে পারেন।

অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ৭১ হাযার বার হাসপাতালে যরূরী চিকিৎসা, শ্বাসকষ্টের নতুন ১৫ হাযার অসুস্থ শিশু, নির্ধারিত সময়ের আগে ৩৯ হাযার শিশুর জন্ম, ২ কোটি ৬০ লাখ অসুস্থতাজনিত ছুটি এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য অক্ষম হয়ে প্রায় ৫৭ হাযার বছরের সমান সময় বেঁচে থাকা।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি কোভিড-১৯ মহামারিতে আক্রান্ত দেশের খাদ্যনিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখার জন্য বাংলাদেশের পটুয়াখালীর পায়রায় সব কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘পায়রার কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পরিকল্পনা শুরুর সময়েই এই সম্ভাব্য দূষণের মাত্রা নিয়ে আলোচনা দরকার ছিল’।






সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর
চাউল চিকন করতে গিয়ে প্রতি বছর ১৬ লাখ টন চাল মিলে নষ্ট হচ্ছে -খাদ্যমন্ত্রী
বিচারকগণ যখন দুর্নীতির মাধ্যমে রায় বিক্রি করেন, তখন সাধারণ মানুষের আর যাওয়ার জায়গা থাকে না
হিজড়াদের জন্য বিনা খরচে মাদ্রাসা শিক্ষা
রফতানি হচ্ছে পাটখড়ির ছাই
প্রতি বছর দেশে কোটি টনেরও বেশী খাবার অপচয় হয়!
পাশ্চাত্য ১০০ প্রকার রাসায়নিক গ্যাস তৈরী করেছে
মদের জন্য ভিক্ষা চাইছে কনস্টেবল
শূকরের মাংস, মদ ও গাঁজা খেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলেন, তারা পারভারটেড - -প্রধানমন্ত্রী
করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জার্মানীর মন্ত্রীর আত্মহত্যা
ধানের নাম ‘ফাতেমা’, ফলন বিঘায় ৫০ মণ!
মধ্য আফ্রিকায় চলছে মুসলিম উচ্ছেদ
আরও
আরও
.