স্বদেশ

ছালাত আদায় বাধ্যতামূলক করতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী

প্রত্যেক মুসলমানের ছালাত আদায় বাধ্যতামূলক করতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উঠেছে জাতীয় সংসদে। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম এ দাবী জানালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতায় ব্যাপকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারী সিদ্ধান্তের প্রয়োজন রয়েছে। তাজুল ইসলাম এ সংক্রান্ত প্রশ্নে বলেন, আমাদের দেশের ৮৫% লোক মুসলমান। কিন্তু অধিকাংশ মানুষের ছালাত আদায়ে গাফলতি দেখা যায়। তাই ছালাত আদায়কে বাধ্যতামূলক করার জন্য সরকার কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কী-না? জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, যথাসময়ে ছালাত আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। ছালাতে গাফলতির প্রধান কারণ ব্যক্তিগত। ব্যক্তি, অভিভাবক ও সমাজ সচেতন হ’লে এ গাফলতি হ্রাস পাবে।

[ধর্মনিরপেক্ষ মন্ত্রী এর বেশী আর কি বলবেন? অথচ মুসলিম নারীর সর্বাঙ্গ ঢাকা ও পর্দা করা ফরয। এটাও তাদের ব্যক্তিগত ফরযের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সেখানে মন্ত্রীরা জেন্ডার বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংসদ গরম করেন। এমনকি তাদের হিজাবের ব্যাপারে কড়াকাড়ি না করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়। ভোট নেওয়ার সময় ইসলামপন্থী আর মন্ত্রী হওয়ার পরে ধর্মনিরপেক্ষ। এই ধরনের দ্বিমুখী নীতি অবশ্যই পরিত্যাজ্য (স.স.)]

চিকিৎসায় অবহেলায়  ২২৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ  পেলেন এক বাংলাদেশী

শিশুর চিকিৎসায় অবজ্ঞা ও গাফলতির খেসারত হিসাবে নিউইয়র্ক সিটির এলমহার্স্ট হাসপাতালকে ২৮ মিলিয়ন ডলার (২২৪ কোটি টাকা) দিতে হচ্ছে এক বাংলাদেশীকে। যুক্তরাষ্ট্রে কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে এই প্রথম কোন বাংলাদেশী এত অধিক পরিমাণের ক্ষতিপূরণ পেলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশী এক শিশুর পক্ষে নিউইয়র্ক সিটির এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলায় এ রায় প্রদান করা হয়। মামলার বিবরণে প্রকাশ, গত ২০০৯ সালে ৩ বছরের একটি বাংলাদেশী শিশুকে জ্বর ও খিঁচুনী নিয়ে এলমহার্স্ট হাসপাতালের যরূরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাৎক্ষণিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু ডাক্তাররা সঠিক রোগ শনাক্ত করতে না পারায় প্রায় ৪দিন পর শিশুটি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে পিতা-মাতার অনুরোধে ডাক্তাররা শিশুটিকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানকার ডাক্তাররা ব্যাপক প্রচেষ্টার পর শিশুটিকে সুস্থ করতে সক্ষম হ’লেও তার মস্তিষ্কের নার্ভ ড্যামেজ হয়ে যায়। এর ফলে শিশুটি চির জীবনের জন্য বোধশক্তি হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্ট পিতা-মাতা এহেন অবস্থায় প্রায় এক বছর পর যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের লাইসেন্সপ্রাপ্ত এটর্নী-এট-ল মঈন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করেন। অতঃপর তিনি তার সহযোগী এটর্নী এডওয়ার্ডের সহযোগিতায় এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে হলফনামাসহ অভিমত সংগ্রহ করে নিশ্চিত হন যে, এলমহার্স্ট হাসপাতালের ডাক্তারদের অবহেলার কারণেই এ মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়। অতঃপর তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ দিন বিচার কার্য চলার পর রায়ের নির্ধারিত তারিখে আদালত শুরু হওয়ার পূর্বক্ষণে বিবাদীরা মামলায় তাদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে ২৮ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব নিয়ে এলে বাদী পক্ষ তা মেনে নেয় এবং আদালতের মাধ্যমে মামলাটির সুষ্ঠু নিষ্পত্তি হয়।

[বাংলাদেশী চিকিৎসকরা সাবধান হবেন কি? (স.স.)]

শুকনো জমিতে বীজতলা করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন

নতুন পদ্ধতিতে শুকনো জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরী করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন নওগাঁর মান্দা উপযেলার দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আফযাল হোসায়েন। বেসরকারী সংস্থা সিসিডিবির সহায়তায় চলতি মৌসুমে চারজাতের বীজতলা করে এলাকার কৃষকদের তিনি অবাক করে দিয়েছেন।

কৃষক আফযাল হোসেন জানান, সিসিডিবির সীড বিষয়ক ব্যবস্থাপকের একান্ত আগ্রহে তিনি জমিতে হালচাষ দিয়ে বীজতলার উপযোগী করে তোলেন। বীজে অঙ্কুর দেখা দিলে তা শুকনো বীজতলায় ছিটিয়ে হালকা মাটি দিয়ে ঢেকে দেন। এরপর বীজতলা পলিথিন পেপার দিয়ে ঢেকে দেন। কয়েকদিন পরে পলিথিন সরিয়ে শতভাগ চারা গজানো ও চারার সবুজ রং দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। আফযাল জানান, বীজতলা তৈরীর সময় জমিতে ডিএপি ও গোবর সার প্রয়োগ করেন। বীজতলায় আলাদাভাবে সেচ বা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়নি। মাত্র ২১ দিনেই চারাগুলো লাগানোর উপযোগী হয়েছে। নতুন পদ্ধতির এ বীজতলায় উৎপাদিত ২০ কেজি চারা দিয়ে ১২ বিঘা জমি রোপণ করা যাবে বলে তিনি দাবী করেন। এ বীজতলায় পরিশ্রম ও খরচ কম। পানি সেচ দেয়ার দরকার পড়ে না। জলীয়বাষ্পের প্রভাবে পলিথিনে জমাটবাঁধা পানি পড়ে বীজতলা ভেজা থাকে। এতে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। তিন সপ্তাহের মধ্যেই চারা লাগানো যায়। চারার বয়স কম হওয়ায় ফলনও বেশী হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বনাশা প্রভাব : চরম ঝুঁকিতে উপকূলীয় অঞ্চল

সিডর ও আইলার পর চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে উপেক্ষিত গোটা উপকূলীয় অঞ্চল। পাউবো’র বেড়িবাঁধগুলো নিচু ও দুর্বল। আগামী ২০ বছরের মধ্যে উপকূলের ৪ হাযার কিলোমিটার বাঁধ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বেড়িবাঁধের ঝুঁকি ছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট যেলার উপকূল এলাকার ১০টি উপযেলা ২ থেকে ৩ ফুট লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ারও আশংকা করা হচ্ছে। এমনি একটি বিপদাপন্ন অবস্থায় উপকূলের চিরচেনা পরিবেশে জীবন-জীবিকাসহ ৩ কোটি মানুষের টিকে থাকার অবলম্বনই এখন ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ সেল’ প্রণীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ইমপ্যাক্ট এবং ভালনারেবেলিটি শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, উপকূলজুড়ে সিডরের ভয়াবহ আঘাতের পর ঘা শুকাতে না শুকাতেই আইলায় তছনছ করে দেয় উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ। এখনো হাযার হাযার পরিবার বাড়ি ফিরতে পারেনি। বেড়িবাঁধের উপর ঝুপড়ি ঘর বেঁধে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে ও পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। হাযার হাযার গৃহস্থ পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।

[সরকার আছে কেবল বিরোধীদল ঠেকাতে ও আগামীতে পুনরায় ক্ষমতায় আসার নেশায় বুদ হয়ে। জনগণের বিপদে সাহায্য করার অঙ্গীকার তারা ভুলে গেছেন! কি কৈফিয়ত দেবেন তারা আল্লাহর কাছে? (স.স.)]

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটি

সাবমেরিন (ডুবো যুদ্ধজাহাজ) ঘাঁটি হচ্ছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপযেলায়। কুতুবদিয়া চ্যানেলকে ঘিরে এ পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এ জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কক্সবাজার যেলা প্রশাসনের কাছে প্রায় ৪২০ একর জমি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নৌবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ১০ বছরব্যাপী একটি পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যে নৌবাহিনীর বহরে সাবমেরিন যুক্ত হ’তে পারে। এতে খরচ হ’তে পারে প্রায় আট হাযার কোটি টাকা। সাবমেরিন হচ্ছে বিশেষ ধরনের ডুবো জাহায, যা পানির গভীরে ও ওপরে সমানভাবে চলতে পারে। এটি সব ধরনের যুদ্ধসরঞ্জামে সজ্জিত। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জার্মানি, ভারত ও রাশিয়াসহ মাত্র কয়েকটি উন্নত দেশে এটি ব্যবহৃত হয়।

[এ যুগে যুদ্ধ করে কেউ জিততে পারে না। অতএব জনগণের কল্যাণে অর্থ ব্যয় করুন (স.স.)]

 দেশে ডায়াবেটিস রোগ বাড়ছে

বাংলাদেশে বর্তমানে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ। প্রাক-ডায়াবেটিস অবস্থায় আছে এক কোটি ২০ লাখ মানুষ। ‘ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনে’র চিকিৎসা ব্যয়ের হিসাবে একজন রোগীর একটি মৌলিক ওষুধের জন্য বার্ষিক খরচ ২৮ মার্কিন ডলার। তাই এই এক কোটি ৭০ লাখ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রয়োজন দুই হাজার ৯৬ কোটি টাকা, যা স্বাস্থ্য বাজেটের ২৫%। ইনসুলিন বা অন্য চিকিৎসার খরচ এই হিসাবের মধ্যে ধরা হয়নি। দেশে এই রোগ দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপে দেখা গেছে, ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সী তিনজন নারীর একজন এবং পাঁচজন পুরুষের একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। তবে গবেষকেরা বলছেন, এই পরিসংখ্যান রক্ষণশীল হিসাবের ভিত্তিতে করা।

[এইসব দুরারোগ্য ব্যাধি নির্মূলের পিছনে গবেষণাকর্মে অর্থ ব্যয় করা উচিত। যা সত্যিকার অর্থে জনকল্যাণ বয়ে আনে। সরকার সেদিকে লক্ষ্য দিন (স.স.)]

 বিদেশ

বিশ্বের প্রধান সন্ত্রাসবাদী দেশ যুক্তরাষ্ট্র : নোয়াম চমস্কি

যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের প্রধান সন্ত্রাসবাদী দেশ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির শীর্ষ দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ নোয়াম চমস্কি। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের নিরিখে দেখলে আমেরিকা অবশ্যই প্রধান সন্ত্রাসবাদী দেশ হবে। চমস্কি বলেন, আমি সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা দেখেছি, যা খুব চমৎকার। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে সন্ত্রাসবাদের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাও বেশ ভালো। কিন্তু এসব সংজ্ঞা বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী দেশ। তিনি জানান, ১৯৮০’র দশকে যখন রোনাল্ড রিগ্যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন থেকেই তিনি বর্তমানের কথিত সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী যুদ্ধের আশঙ্কা করে আসছিলেন।

[ধন্যবাদ নোয়ামকে। তিনি যে এখনো কারাগারে জাননি বা গুম ও অপহরণের শিকার হননি, এজন্য ধন্যবাদ সেদেশের সরকারকে। বাংলাদেশে হ’লে এতক্ষণে তিনি গুম হয়ে যেতেন অথবা রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধে জেল-হাজতে যেতেন (স.স.)]

জঙ্গীবাদ সমর্থনযোগ্য নয়; মালিতে ফরাসি সৈন্যের উপস্থিতি অনভিপ্রেত

জঙ্গীবাদ এবং উগ্রবাদ কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়, মালির সরকারের প্রতি সমর্থন আছে। কিন্তু সে দেশে ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি অনাকাংখিত। কারণ তারা সেখানে পুরোপুরি ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটাচ্ছে। সম্প্রতি ওআইসি সম্মেলনে মুসলিম নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। উল্লেখ্য যে, গত জানুয়ারী মাসে মালি সরকারের অনুরোধে আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পরিচিত জঙ্গীদের দমনে সে দেশে সেনাবাহিনী পাঠায় ফ্রান্স। সেই থেকে পশ্চিম আফ্রিকার এদেশটির উত্তরাঞ্চল দখল করে নেয়া জঙ্গীদের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে ফরাসি বাহিনীর। মালিসহ আফ্রিকার আরো কিছু দেশের বাহিনীও অংশ নিচ্ছে সেই যুদ্ধে। মালিতে বর্তমানে ফ্রান্সের চার হাযার সেনা মোতায়েন রয়েছে। ফ্রান্স জানিয়েছে, সবকিছু পরিকল্পনা মতো থাকলে তারা মার্চ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে।

[সে দেশের মানুষ ইসলামী শাসন চায়। অথচ সাবেক দখলদার ফ্রান্স তা চায় না। তাদের সহযোগী আyু করি (স.স.)]

আফগানিস্তান কি ভিয়েতনাম হ’তে চলেছে?

ভিয়েতনামে মার খেয়ে বিতাড়িত হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক’বছর আর সরাসরি পৃথিবীর কোন দেশে হস্তক্ষেপ বা যুদ্ধে জড়িত হয়নি, হয়তবা সাহসই করেনি। তারা যৌক্তিক কারণ ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ দেশ ইরাকে হামলা চালায়। এর আগে তারা হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ-গরীব দেশ আফগানিস্তানের উপর। এখানে তারা মার খাচ্ছে। প্রতিদিনই তারা প্রচুর সম্পদ ও সেনা হারাচ্ছে। পৃথিবীব্যাপী বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে তাদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে, বাড়ছে ক্ষোভ ও ধিক্কার। পরিস্থিতি এমনই দাড়িয়েছে যে, মার্কিন সেনাবাহিনী নিজেদের নিরাপত্তার জন্য লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলার ঘুষ দিচ্ছে আফগানিস্তানের নেতাদের। মার্কিন কংগ্রেসের তদন্ত রিপোর্টেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যুদ্ধ বিশ্লেষকদের প্রশ্ন : মার্কিন বাহিনীর জন্য আফগানিস্তান কি আরেকটি ভিয়েতনামে পরিণত হ’তে চলেছে?

[যালেমের জন্য এটাই দুনিয়াবী পাওনা। আখেরাতে এদের জন্য জাহান্নাম প্রস্ত্তত হয়ে আছে (স.স.)]

দিনে ২২ জন করে আত্মহত্যা!

যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রবীণ কর্মকর্তাদের আত্মহত্যার হার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাদের মধ্যে এখন প্রতিদিন গড়ে ২২ জন বা প্রতি ৬৫ মিনিটে একজন আত্মহত্যা করছেন। সরকারী এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে আসে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০০৭ থেকে ০১০ সাল পর্যন্ত এই আত্মহত্যার হার প্রায় ১১ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০১২ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার হার ছিল রেকর্ডসংখ্যক।

যত ধনী, তত অসুখী!

আহা, যদি অঢেল অর্থবিত্তের মালিক হওয়া যেত, তাহ’লে জীবন কতই না সুখের হ’ত! এমন আক্ষেপ অনেকেই করে থাকেন। তবে চীনে ধনকুবেরদের উপর চালানো এক জরিপে এই ধারণার উল্টো চিত্র মিলেছে। এতে দেখা গেছে, যে ব্যক্তি যত বেশি ধনী, তিনি তত অসুখী। এর কারণ ব্যাখ্যা করে সাময়িকীটির প্রতিষ্ঠাতা রুপার্ট হুগওয়ার্ফ বলেন, ‘আপনি অর্থবিত্তের মালিক হচ্ছেন, এর সঙ্গে নানা সমস্যাও কিনে আনছেন। আপনার ব্যবসা বিকশিত হয়েছে, এর মানে আপনার ভোক্তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য আপনার উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এছাড়া নানা ধরনের সমস্যা প্রতিনিয়তই আপনার সঙ্গী হয়ে উঠছে।’ জরিপে অংশ নেওয়া ধনী ব্যক্তিদের ৩০ শতাংশ বলেছে, তারা কাজ ও জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না। ৫০ শতাংশেরও বেশি ধনকুবের জানিয়েছে, নিজের পরিবারের সদস্যদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারে না। এজন্য তারা অসুখী বোধ করে। ২৫ শতাংশের বেশি উদ্বিগ্ন থাকে তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে। জরিপে দেখা গেছে, চীনের ধনকুবেররা কর্মদিবসে গড়ে ৬ দশমিক ৬ ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন। এ কারণেও তাদের মধ্যে অসুখী ভাব জাগে। জরিপে অংশ নেওয়া ধনবতী নারীদের ৩৫ শতাংশই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটিয়েছে কিংবা অবিবাহিত থেকে গেছে।

ক্ষুধার জ্বালায় সন্তানের গোশত ভক্ষণ!

উত্তর কোরিয়ায় ‘নীরব দুর্ভিক্ষ’ চলছে। এতে মারা গেছে ১০ হাযারের বেশি মানুষ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, মানুষ নরখাদক হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ ওয়াংহে প্রদেশের একজন ‘নাগরিক সাংবাদিক’ গণমাধ্যমকে জানান, ‘গত মে মাসে আমার গ্রামে এক ব্যক্তি তার দুই সন্তানকে হত্যা করে গোশত খাওয়ার চেষ্টা করে। এ অপরাধে তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি জানান, ঘটনার দিন ঐ ব্যক্তির স্ত্রী বাড়িতে ছিল না। এই সুযোগে সে তার বড় মেয়েকে হত্যা করে। বিষয়টি দেখে ফেলে তার ছোট ছেলে। ফলে তাকেও সে হত্যা করে। যখন তার স্ত্রী বাড়িতে আসে, তখন সেই গোশত তাকেও খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে সন্দেহ হওয়ায় স্ত্রী গণনিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে খবর দেয়। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা তল্লাশি চালিয়ে ঘরের ছাদ থেকে সন্তানদের দেহাবশেষ উদ্ধার করে।

ক্ষমতাসীন কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির একজন মধ্যম সারির নেতা জানান, চোংডান কাউন্টির এক বাসিন্দা ক্ষুধার জ্বালায় নিজ সন্তানকে হত্যা করে সেই মাংস সিদ্ধ করে খায়। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১২ লক্ষাধিক সৈন্যসমৃদ্ধ কোরীয় সেনাবাহিনী সৈন্য সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বাহিনী।

[সৈন্য লালন ও পরমাণু অস্ত্র তৈরীতে রাষ্ট্রের প্রায় সব অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অথচ জনগণ না খেয়ে মরছে। সবকিছুই হচ্ছে জনকল্যাণের নামে ও তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে। ধর্মহীন বস্ত্তবাদী শাসনের এটাই হ’ল পরিণতি। হে মানুষ! আল্লাহকে ভয় কর (স.স.)]

ভারতে গর্ভ ভাড়ার ব্যবসা রমরমা

নিঃসন্তান দম্পতিরা সন্তান উৎপাদনের জন্য নারীর গর্ভাশয় ভাড়া নিয়ে থাকেন। ভারতে নারীদের গর্ভাশয় ভাড়া দেওয়া নিয়ে রীতিমতো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। স্বল্প খরচে গর্ভাশয় ভাড়া পাওয়ার সুবাদে বিদেশী নাগরিকদের ভারত সফরের হার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো থেকেও নিঃসন্তান দম্পতিরা একই পদ্ধতিতে সন্তানলাভের আশায় ভারতে ছুটে আসছেন।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গর্ভাশয় ভাড়া দেওয়া নিয়ে এখন বছরে গড়ে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিতে সন্তানলাভের লক্ষ্যে প্রায় ২৫ হাযার দম্পতি প্রতিবছর ভারত সফর করেন এবং এতে অন্তত দুই হাযার সন্তান জন্ম নেয়। ভারতীয় নারীরা প্রতিটি সন্তান ধারণের বিনিময়ে সাধারণত ১৬ থেকে ৩২ হাযার মার্কিন ডলার নিয়ে থাকেন।

[মানুষ এখন গরু-ছাগলের চাইতে নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হয়েছে। টাকার জন্য হেন কাজ নেই যা এরা পারে না। হে ভারতীয় নারী! ক্বিয়ামতের মাঠে তোমার এই অপকর্মের কৈফিয়ত আল্লাহর কাছে দিতে পারবে কি? (স.স.)]






প্রাণঘাতী ‘সুপারবাগ’ থেকে ভয়ঙ্কর মহামারির আশঙ্কা, বাড়ছে আতঙ্ক!
ঢাকা লিট ফেস্টে ৩ রোহিঙ্গা কবির দেশে ফেরার আকুতি
৪০ বছর ধরে অন্যের কবর খুঁড়ছেন মিরসরাইয়ের মুহাম্মাদ আলী
জন্মদাতা বা জন্মদাত্রী থেকে যাচ্ছে অদৃশ্যে (বাড়ছে নবজাতক হত্যাকান্ড)
মিয়ানমারে কোর্ট মার্শালে অভিযুক্ত তিন সেনা কর্মকর্তা
ইসলামী ব্যাংকের ঋণ সূদে-আসলে পরিশোধ করেও কারাগারে রহনপুরের কৃষক আফযাল
মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর রেডিয়েশন : আন্তর্জাতিক সংস্থার মতামত নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ছাত্রদের সঙ্গে একই হ’লে থাকার দাবীতে আন্দোলনে কলিকাতার ছাত্রীরা!
ব্যাংকে টাকা রাখলে প্রতি বছর দুই শতাংশ কমবে
সূদের ফাঁদে নিঃস্ব
হেপাটাইটিস ভাইরাস আক্রান্ত ১ কোটি মানুষ
ভারতীয় বিমান বাহিনীতে দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ
আরও
আরও
.