পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হ’ল কঙ্গো। দেশটির ২০ শতাংশ মানুষ অনাহারে মারা যায়। ৪০ শতাংশ মানুষ আধপেটা খেয়ে বাঁচে। দারিদ্রে্যর সব মাপকাঠিতেই দেশটি সবার প্রথমে থাকে। গৃহযুদ্ধে একেবারে জরাজীর্ণ হাল। সরকারও উদাসীন। কর্মসংস্থান বলতে কিছু নেই। প্রতিদিন মানুষ মারা যায় অনাহারে। রাস্তায় রাস্তায় মানুষ খিদের জ্বালায় ছোটাছুটি করে। জিডিপি পার ক্যাপিটা ৩৪৮ মার্কিন ডলার। কিন্তু কিভাবে সৃষ্টি হ’ল এই পরিস্থিতি! ২০০৮ সালে সংঘটিত হয় দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধ। এযুদ্ধই দেশটির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। আধুনিক আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহতম যুদ্ধের নাম দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধ। যুদ্ধ যে কতটা রক্তাক্ত, কতটা বিধ্বংসী হ’তে পারে তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত বয়ে বেড়াচ্ছে এ যুদ্ধ। ভয়াবহতম এই যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল আফ্রিকার সাতটি জাতি এবং সঙ্গে সমরাস্ত্রে সজ্জিত ২৫টি আর্মড গ্রুপ। গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রতিষ্ঠা বা খনিজ সম্পদের ওপর প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুদ্ধটি বাধে। স্বার্থের কাছে অন্ধ হয়ে ভাই ভাইয়ের রক্ত দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করার এ ছিল এক নিকৃষ্ট উদাহরণ। এ যুদ্ধে কমপক্ষে ৫৪ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। আর লাখ লাখ মানুষ নিজেদের সম্পদ ও ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে উদ্বাস্ত্ত হিসাবে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকে চলমান এই পরিস্থিতি। আজও লাখ লাখ গৃহহীন মানুষ যেন প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সাথে লড়াই করে চলেছে। খাদ্যাভাব আর অপুষ্টিতে ভোগা নিরীহ মানুষগুলোকে দেখলে মনের অজান্তে যুদ্ধকে ধিক্কার জানাতে ইচ্ছা হবে।