উদ্বোধনের অপেক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশ বান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা। নির্ধারিত সময় ডিসেম্বর থাকলেও অক্টোবরেই উৎপাদন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। দেশে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বাড়াতে নরসিংদীর পলাশে নির্মিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এ সার কারখানাটি। এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাযার ৮০০ মেট্রিক টন সার। আর বছরে উৎপাদন হবে ৯ লাখ ২৪ হাযার মেট্রিক টন। সার কারখানাটি উৎপাদনে আসলে বিদেশ থেকে সার আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে এবং প্রান্তিক কৃষকরা কম দামে সার কিনতে পারবে। বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ২২ হাযার কোটি টাকা। এতে খরচ হবে সাড়ে ১০ হাযার কোটি টাকা।
সার কারখানাটি নির্মাণে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হ’ল বাংলাদেশে যত সার কারখানা আছে তার গ্যাস আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু সার কারখানা নয়, দেশের সবগুলো পাওয়ার প্লান্টেও এই দূষিত গ্যাসগুলো আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এটিই বাংলাদেশের প্রথম সার কারখানা হবে, যেখানে দূষিত গ্যাসগুলো আকাশে ছেড়ে না দিয়ে তা প্রসেসিং করে অতিরিক্ত ১০ ভাগ ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হবে।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে সরকারকে ইউরিয়া সার আমদানিতে প্রতি বছর ৩ হাযার ৬০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। এটি উৎপাদনে আসলে আর তা দিতে হবে না। এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ৯৬৮ জন স্থায়ীসহ প্রায় ৩০ হাযার মানুষের।