সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। চার বছর আগে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর তার এ ফিরে আসা যুক্তরাষ্ট্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যা দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প প্রয়োজনীয় ২৭০ ভোটের স্থলে ৩১২টি এবং কমলা মোট ২২৬ টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। এছাড়া পপুলার ভোটেও তিনি প্রায় ২৭ লাখ ভোটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
দু’বার অভিশংসিত এবং একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হ’লেও কম জনসমর্থনের মধ্যেই ট্রাম্প এ বিজয় অর্জন করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলা কাঁধে নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা চলমান। তার এ জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন নীতি, ইউক্রেন যুদ্ধ, কর ব্যবস্থা এবং অভিবাসন নীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা যে ট্রাম্পকে ফাইভ-সিক্সের বাচ্চাদের মতো বলে মন্তব্য করেছেন; যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে আগের ৪ বছরে ৩০ হাযার ৫৭৩টি মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন; যার কথাবার্তা, আচার-আচরণ ও ক্ষমতার দাপট বিশ্ববাসীকে রীতিমতো ত্যক্ত-বিরক্ত করে আসছে। যিনি আদালতে দোষী সাব্যস্ত একজন অপরাধী, সুষ্ঠু নির্বাচনের গণরায় অমান্যকারী, দাঙ্গার উসকানিদাতা, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত, নারীবিদ্বেষী কিংবা বর্ণবাদী এসব নেতিবাচক পাবলিক ইমেজ তাকে নির্বাচিত হওয়া থেকে থামাতে পারেনি। তার এ প্রত্যাবর্তনে অধিকাংশ জাতিরাষ্ট্র বিচলিত ও উদ্বিগ্ন। কিন্তু কারও কিছু করার নেই। এটিই আজকের বিশ্বের ঘাড়ে চেপে বসা এক অদ্ভুত অসহায়ত্ব।