হামাসের শাসনাধীন অবরুদ্ধ গাযায় তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। যুদ্ধবিগ্রহ আর দারিদ্রে্যর কষাঘাতে জর্জরিত এখানকার মানুষ। ২০০৮ সাল থেকে অভিশপ্ত ইহূদীদের সাথে তিন তিনবার যুদ্ধ হয়েছে তাদের। গত বছরের ইসরাঈলী হামলার পর গাযার অবস্থা সবচেয়ে বেশী করুণ হয়ে পড়ে। এখন সেখানে খাবার নেই, কাজ নেই, নানা সমস্যা। ১৮ লাখ মানুষের দারিদ্রে্যর ভারে নুয়ে পড়েছে গাযা। এখানে একদিকে চলছে ইসরাঈলী অবরোধ। অন্যদিকে মিসরও সীমান্ত পথ বন্ধ করে রেখেছে। পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা সীমিত। বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশী বেকার এখানে। ৬০ শতাংশের বেশী মানুষের কোন কাজ নেই। ৩৯ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করছে। ৮০ শতাংশ মানুষই সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। মুসলিম অধ্যুষিত গাযায় ঐতিহ্যগত ও ধর্মীয়ভাবে আত্মহত্যা নিষিদ্ধ। তাই সরকারীভাবে আত্মহত্যার হিসাব না পেলেও নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, আত্মহত্যার সংখ্যা আতঙ্কজনক। ৩০ বছরের মুহাম্মাদ আবু আসী তাদের একজন। বিষ পান করার পর কয়েক দিন তিনি কোমায় ছিলেন। তিনি বলেন, সন্তানদের মুখে খাবার জুটাতে পারি না আমি। তাই পিতা হয়ে চোখের সামনে ওদের মৃত্যু দেখার চেয়ে বরং নিজে মরতে চেয়েছিলাম। আবু আসী বলেন, এখানে তরুণ, বৃদ্ধ সবাই গরীব। একটা মানুষকে যখন জীবন-মৃত্যুর মধ্যে একটাকে বেছে নিতে হয়, তখনই বোঝা যায় আসলে আমাদের আর কিছু নেই। জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা বলছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গাযা সামাজিক, স্বাস্থ্যগত ও নিরাপত্তাজনিত জটিলতার কারণে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

[আল্লাহ তুমি মযলূমদের সাহায্য কর (স.স.)]






আরও
আরও
.