গৃহযুদ্ধের ১০ বছর পর সিরিয়া যেন ভুতুড়ে এক নগরী। প্রভাবশালী দেশগুলোর ক্ষমতার পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে দেশটি। দশ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাযারের বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে ১০ হাযার শিশুসহ রয়েছেন ৮৮ হাযারের বেশি বেসামরিক নাগরিক। বুলেটের মুহুর্মুহু গুলি, পিতা-মাতা হারানো শিশুদের চিৎকার আর বাস্ত্তচ্যুত মানুষের ছোটাছুটি- এ যেন সিরিয়ার নিত্যদিনের চিত্র। দেশটিতে ২০১১ সালের মার্চে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কেবলই বেড়েছে লাশের সারি। সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ লাখ ৮০ হাযারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৮৮ হাযারই বেসামরিক নাগরিক। রয়েছে ১০ হাযারের বেশি শিশু। এছাড়া যুদ্ধের কারণে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২ লাখ ৫ হাযার নাগরিক। তাদের বেশির ভাগই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এখন পর্যন্ত বাড়ি-ঘর হারিয়ে বাস্ত্তচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ সিরীয়। বিধ্বস্ত হয়েছে বিপুল সংখ্যক অবকাঠামো। শরণার্থী হিসাবে ইরাক, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি জমিয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। এমন অবস্থায় যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতোরেস। ১০ বছর আগে সিরিয়াতে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তা আজ এক বৈশ্বিক সমস্যা। এক দশক পরে এসেও সিরীয় যুদ্ধ বন্ধে নেই কোন অগ্রগতি। এজন্য প্রভাবশালী দেশগুলোর ইচ্ছের অভাবকেই দায়ী করছেন তারা।

[আল্লাহ ফেরাঊনকে ডুবিয়ে যেমন নির্যাতিত বনু ইস্রাঈলকে রক্ষা করেছিলেন, তেমনিভাবে হে আল্লাহ! যালেম পরাশক্তিগুলিকে ধ্বংস করে তুমি মানবতাকে রক্ষা কর (স.স.)]






আরও
আরও
.